গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েম করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা গুম করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা ভোটারবিহীন’ নির্বাচন করে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দ মতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে শনিবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকের (আগামীকাল) এ মহান দিনে আমি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে আমি উনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যূত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিল স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।’
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব
