সরকারদলীয় এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেছেন, সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়, পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্যদের সেসব পরামর্শ গ্রহণ করা হয় না। সংসদে কণ্ঠভোটে বাজেট পাস হয়ে যায়্।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার তিনি এ কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বাজেট আলোচনা শুরু হয়।
সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, সংসদ সদস্যদের পরামর্শগুলো গ্রহন করা উচিত। বাজেট পেশ করার আগে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করা উচিত। সেখানে মন্ত্রনালয়ভিত্তিক বাজেটের বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ হতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারদলীয় এমপিরাও সংসদে উপস্থিত না থাকার ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী না থাকলে আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। এ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকাসহ দাউদকান্দিকে জেলা ঘোষণার দাবি জানান।
বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. রুহুল আমিন, গাজী মো. আমজাদ হোসেন. আমিনা আহমেদ, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বেগম খোরশেদ আরা হক প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ বিরোধী দলের
সোমবার সকাল সোয়া ১১ টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার বিরোধী এমপিদের ফ্লোর না দিয়ে বলেন, বাজেট আলোচনা চলছে, এই মুহূর্তে পয়েন্ট অব অর্ডার নেব না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দু'জন কর্মকর্তা এখানে আছেন। আপনাদের বক্তব্য নোট করার জন্য তারা আছেন। বিরোধী দল যখন ফ্লোর নিয়ে কথা বলতে চান তখন সংসদে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠক চলছিল।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ