গুলশানে হামলার রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশি-বিদেশি লোকজনকে জিম্মি করে হত্যার ভিডিওচিত্র বাইরে পাঠানোর কাজে জঙ্গিরা যে বিশেষ মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করেছিল সেটি হাসনাতের ছিল বলে তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি ওই কাজ করেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যেসব তথ্য দিতে শুরু করেছেন তাতে গুলশানের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা জানান, হাসনাত করিম বলছেন, তিনি সেই রাতে জঙ্গিদের খুব কাছাকাছি ছিলেন। জঙ্গিরা হলি আর্টিজানে কিভাবে ঢোকে, কিভাবে দেশি-বেদেশি লোকজনকে জিম্মি করে এবং তার সামনেই ২০ জনকে হত্যা করে সেসব ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছেন তিনি। তবে তিনি দাবি করেন, এসবের কিছুই তিনি আগে থেকে জানতেন না। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাসনাত করিম এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য দিয়েছেন এর মধ্যে অনেক নতুনত্ব আছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই তিনি জঙ্গিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেন। সেই সঙ্গে সেই রাতে তার হাতে যে অস্ত্রটি ছিল তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে সেই অস্ত্র জঙ্গিরা অনেকটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে নিতে বাধ্য করেছিল বলে তিনি দাবি করছেন।
আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, হাসনাত করিম রিমান্ডে যেসব তথ্য দিচ্ছেন তা কতটুকু সত্য সেটাও যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া হেফাজতে কানাডা প্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানকেও নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি বারবারই বলছেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার।
বিডি প্রতিদিন/৭ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-১২