খালি কন্টেইনারে করে রোহান হোসেন নামে এক যুবকের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমে যাওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সারোয়ারকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- টার্মিনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ সরওয়ার, উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কমান্ডার মো. নিজাম উদ্দিন ও হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহির।
বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল গাফ্ফার জানান, কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা যায়, ভারতের বিশাখাপত্তম বন্দরে কন্টেইনার খুলে পাওয়া যুবক ১৩দিন আগে কন্টেইনারে প্রবেশ করেছিলেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে, পেশায় এসি মেকানিক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খবর নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কন্টেইনারটি সিনার বাটাম নামে পানামা পতাকাবাহী একটি জাহাজে ছিল, যেটি গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পরদিন বিশাখাপত্তম বন্দরে পৌঁছায়। যে কন্টেইনারে রোহানকে পাওয়া গেছে সেটি ঢাকার রূপগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানের।
তদন্ত কমিটির প্রধান পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমরা তার সাথে (রোহান) আগে ফোনে হলেও যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টায় আছি। এরপরেই তদন্তের কাজ শুরু করবো।’
এদিকে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বিকডার নেতাদের অভিযোগ বন্দরের নিরাপত্তা ও পরিবহন বিভাগের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সিনার বাটাম নামে জাহাজ গত ৭ অক্টোবর এনসিটির ২ নম্বর জেটি থেকে ছেড়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ