চালকদের ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাসের বাধ্যবাধকতার বিধান সংযুক্ত করে ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন আইনে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ১৮ বছরের পাশাপাশি ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। এছাড়া গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শাস্তির বিধানও রাখা হচ্ছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আগের অধ্যাদেশকে নতুন করে আইনে পরিণত করা হয়েছে। 'তবে আইন ও শাস্তিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। '
এছাড়া এবার চালকের সহকারীরও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। আর এখন থেকে সহকারী হতে হলেও বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে হবে। আগের অধ্যাদেশে উভয় ক্ষেত্রেই লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা থাকলেও চালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত ছিল না। তবে গাড়ি চালানোর জন্য চালকের বয়স আগের মতই কমপক্ষে ১৮ বছর রাখা হয়েছে আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।
নতুন আইনে কোন অপরাধে কি শাস্তি:
নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওয়া হবে। যা পূর্বে তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আর চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে নতুন আইনটি পাস হলে চালকরা গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
এছাড়া ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে- এমন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেফতার করতে পারবে। অর্থাৎ, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালেও তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলেন, সেজন্য পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হবে। 'মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।'