রাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।
মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিব আসামি সাফাতের ও সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী আসামি সাদমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেফতার অপর দুই আসামি গাড়িচালক বিল্লালের চারদিন ও দেহরক্ষী রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদ তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এছাড়া অরেক আসামি নাঈম আশরাফকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ ধর্ষণের ঘটনায় এক তরুণী বনানী থানায় মামলা করার পাঁচদিন পর ১১ মে সিলেট থেকে প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বনানীর বিলাসবহুল রেইন-ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মাস খানেক আগের এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সাফাত ও নাঈম আশরাফ (হালিম) ওই দুই তরুণীর বন্ধু। জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুননাহার ইয়াসমিনের কাছে জবানবন্দি দেন।
বিডি প্রতিদিন/ ১৮ মে ২০১৭/ আরাফাত