মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গাড়ির জট লেগে আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাট এলাকা ঘিরে ৭ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। নদীতে তীব্র স্রোত ও ছোট ছোট ঢেউয়ের কারণে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবার কোরবানির গরুবাহী ট্রাকের চাপও অনেকটা বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরি স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পারায় বহু আলোচিত দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়াঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি। তবে গতকাল বুধবারের চেয়ে গাড়ির চাপ এদিন অনেক বেশি। অপেক্ষারত গাড়ি বহররের অধিকাংশই প্রাইভেটকার।
এদিকে যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য লঞ্চ এবং স্প্রীড বোটে আগে ওঠার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক মো. খালিদ নেওয়াজ জানান, শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। গত টানা তিনদিনের তুলনায় আজ ছোট বড় সকল প্রকার গাড়ির চাপ সকাল থেকেই বেড়েই চলছে। ফেরিতেও যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি।
তিনি আরও জানান, ঈদ মাত্র একদিন বাকি থাকায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাস রয়েছে। এই প্রতিকূল অবস্থার পরও দ্রুত পারাপারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফেরিগুলো পদ্মার বড় বড় আঁছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলাচল করেছে। সংশ্লিষ্ট ফেরি মাস্টারদেরকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, নদীতে স্রোত ও বাতাসের কারণে নির্ধারিত এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে ফেরিগুলোকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে কাঁঠালবাড়ির কাওড়াকান্দি পৌঁছাতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় নিচ্ছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের নৌরুটে নির্বিঘ্নে পারাপারের লক্ষ্যে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘাট এলাকায় সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার এবং অস্থায়ী অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার, কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে। ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপারে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহরে ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক ঘাটে রয়েছেন। কোনো অনিয়ম হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘরমুখো মানুষের পথের বিড়ম্বনা সৃষ্টি কোনভাবেই সহ্য করা হবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব