কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই জানাজায় মরহুমের পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজার পর তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, সকালে বাংলাদেশ বেতারে প্রথম জানাজা শেষে বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়
জয় বাংলা বাংলার জয়, সালাম সালাম হাজার সালামসহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী আবদুল জব্বারের মরদেহ। সেখানে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হারমোনিয়াম হাতে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম শহীদ ভাইয়ের স্মরণে’ গাওয়া জননন্দিত শিল্পী আবদুল জব্বার অগণিত ভক্ত, অনুরাগী, সুহৃদদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। আব্দুল জব্বার কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সালাম সালাম হাজার সালাম, জয় বাংলা বাংলার জয়সহ অনেক দেশাত্মবোধক গানের গায়ক। তার গাওয়া তুমি কী দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়, সালাম সালাম হাজার সালাম ও জয় বাংলা বাংলার জয় গান তিনটি ২০০৬ সালে মার্চ জুড়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নেয়।
আব্দুল জব্বার ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬) ছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৩), বাচসাস পুরস্কার (২০০৩) ও আজীবন সম্মাননা (সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-২০১১) লাভ করেন তিনি।
১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবুদল জব্বার।
বিডি প্রতিদিন/৩১ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম