জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের আমলাদের হোল্ডিং বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেছেন, হঠাৎ করে হাজার গুণ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কারণে জণগন এ সরকারকে আর ভোট দেবে না। তিনি বলেন, হঠাৎ এবারে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে সমস্ত ঢাকা শহরকে অশান্ত করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। অথচ এই সামনে নির্বাচন, এখন ট্যাক্স বাড়ান হলো কেন? জনগণ আর আপনাদের ভোট দেবে না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে আজকের সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব ওয়ার্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিরোজ রশিদ বলেন, এতদিন কেন তাদের (আমলাদের) মনে পড়লো না, যখন ভোট এগিয়ে আসছে, তখন তাদের মনে পড়লো হাজার গুণ ট্যাক্স বাড়াতে হবে। মগের মুল্লুক আর কি। এই বিষয়ে মামলা হবে। এখন যখন আমরা ভোটে যাব তখন এটা ফেস করতে হবে। এখানে মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীসহ অনেকেই রয়েছেন, যারা ঢাকা শহরের এমপি, তারা সরকারী দল করেন বলে এখন কিছু বলছেন না। কিন্তু যখন নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে যাবেন তখন কে সরকারী দলের আর কে অন্য দলের তা কিন্তু ভোটাররা দেখবে না। তারা বলেবে, আপনারা সরকারের মন্ত্রী আপনাদের নির্দেশে ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছে আপনাদের ভোট দেব না। আমাকেও তারা এখনি এসব কথা বলছেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, সম্প্রতি ধানমন্ডী একালায় ৬টি থানার নাগরিকরা বসেছিল, তারা বলেছে ট্যাক্স যদি বাস্তব সম্মত না হয়, যদি সিটি কের্পারেশনের কোন নাগরিক সুবিধা না পাওয়া যায় তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোন ট্যাক্স দেবেন না। তারা বলছেন, আপনারা ভোট নেবেন না ট্যাক্স নেবেন। আজ তো আমাদের কোন কথা আপনারা শুনছেন না, কিন্তু ভোটের বেলায় তো ঠিক আমাদের কাছে আসতে হবে। তখন কিন্তু এ বিষয়টি ফেস করতে হবে। কোন কোন এলাকায় প্রায় হাজার পার্সেন ট্যাক্স বাড়ান হয়েছে, যা কোন ভাবেই বাস্তব সম্মত নয়। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার একজন বাড়ির মালিকের ট্যাক্স ছিল ৯ লাখ তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। যা বাস্তব সম্মত নয়। এটা কি সম্ভব?
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন যদি ট্যাক্স ধরেন তো তাদের ধরেন, যারা অনেক বেশী নাগরিক সুবিধা পায়। তাদের ট্যাক্স ৫ লাখ-১০ লাখ গুণ বাড়ান আপত্তি নেই। গুলশান-বারিধারায় ১০ লাখ টাকা বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। তারা সবার চেয়ে বেশী নাগরিক সুবিধা ভোগ করে। তাদের ট্যাক্স বসান। যারা ওয়াসার অর্ধেক পানি গাড়ি ধুয়ে ও বাগানে পানি দিয়ে নষ্ট করে। তাদের বেশী ট্যাক্স বসান।
ফিরোজ রশিদ বলেন, আগে ঢাকার বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করতো, খেত, আজ আর সে সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। কেননা, এখন অনেক বেশী বাড়ি হয়ে গেছে। তাই অনেক বেশী ট্যাক্স বাড়ানোর ফলে তারা অসুবিধায় পড়েছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন