শ্রম আদালতে করা মামলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই।
সোমবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান ড. শাজাহান স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া, দুলাল মিত্র, মুনজুর আলম, মবিনুল ইসলাম ও ইনাম মোহাম্মদ খানসহ ১৫ থেকে ২০ জন আইনজীবী। এ সময় আদালতে তারা বলেন, বিএফইউজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক সময়ে সময়ে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা-ও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছিল। কিন্তু বাদীপক্ষ পুরো বিষয়টির জন্য অপেক্ষা না করে তড়িঘড়ি করে আদালতে চলে আসে।
এসময় বিচারক বলেন, 'নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু বাদীপক্ষ পুরো প্রক্রিয়া না দেখে ৫ তারিখ সকালেই আদালতে চলে আসে।'
শুনানির সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন বিএফইউজে নির্বাচনে মহাসচিব প্রার্থী শাবান মাহমুদ। আদালত তার বক্তব্য শুনে প্রসংসা করেন। এছাড়া শুনানিতে সভাপতি প্রার্থী ওমর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই। এখন কমিশনকে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরে বিএফইউজের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালতের আদেশের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিএফইউজের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকেই পরবর্তী প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সিদ্ধন্ত আসবে।
শ্রম আদালতের স্থগিতাদেশে সাংবাদিক ইউনিয়নের এই ভোট আটকে যাওয়ায় নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছিলেন ইউনিয়নের সদস্য সাংবাদিকরা। বিএফইউজের একাংশের এই নির্বাচনে গত শুক্রবার ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুই সদস্য শ্রম আদালতে গেলে নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
ঢাকাসহ ১০টি অঙ্গ ইউনিয়ন নিয়ে বিএফইউজের এই নির্বাচনে সারাদেশে ৪ হাজার ৩৪৩ জন ভোটার তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব বেছে নিবে।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জুলাই ২০১৮/এনায়েত করিম/আরাফাত