প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাৎকালে বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে,’ বার্নিকাটের এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত-উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ‘চমকপ্রদ’ আখ্যায়িত করে ‘এই প্রজন্মই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে’ বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন বার্নিকাট।
শিক্ষাকে সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়নে এটি একটি বড় বিষয়। বার্নিকাট এদেশে উৎপাদিত আম এবং লিচুরও প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, তার মূল লক্ষ্যই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর বাধ্য হয়ে ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি প্রান্ত ঘুরে বেরিয়ে মানুষের দুরবস্থা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি।’
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায় তার পরিকল্পনা তিনি করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশের আজকের পর্যায়ে উত্তোরণ ঘটেছে।’
দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এক মৌসুমের তরিতরকারি অন্য মৌসুমে পাওয়া যেত না। কিন্তু, আমরা এখন সারাবছর জুড়েই সবধরনের তরিতরকারি পাচ্ছি, এটা আমাদের গবেষণা এবং কৃষি গবেষকদের অবদান।'
পরে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীন সাফল্যও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম