আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী ও জনগণের মধ্যে আজকে যে উন্মাদনা লক্ষ্য করছি, এই রকম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাকে মুক্ত করার কোনো বিকল্প এদেশে নেই। তার জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে, সেই প্রস্তুতিকে আরও দ্বিগুণ করা, তিন-চারগুণ করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটায় মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমাজউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
আন্দোলনের জন্য আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া, যাকে আমরা গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। সংকীর্ণচেতা সরকারের সিদ্ধান্তে তিনি অস্বাভাবিক অবস্থায় আছেন। এই অবস্থা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, আপনারা তৈরি থাকেন, যখনই প্রয়োজন হবে আন্দোলনের জন্য আত্মত্যাগ করার প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের অগ্রসর হওয়া দরকার। একথা বলে আমি সবাইকে অনশন ভঙ্গ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এমাজউদ্দিন বলেন, আজকে সন্ধ্যায় যে সংলাপ হচ্ছে, এই সংলাপের মূল ব্যাপারটা সুস্থ, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তার আগে কিন্তু আরও কয়েকটা শর্ত আছে, খালেদা জিয়াসহ বাংলাদেশের আড়াই লাখের মতো ব্যক্তি কারাগারে আছেন। তাদের সবার মুক্তি অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনের আগে সংসদকে ভেঙে দেওয়া প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক দেশে যেটা নিয়ম, প্রত্যেকটি দেশে যেটি প্রচলিত আমাদের এখানে ব্যতিক্রম হবে কেন? প্রশ্ন করে এমাজউদ্দীন বলেন, নিরর্বাচন পরিচালনার জন্য সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব ও কতৃত্ব আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলোচনার মধ্যে একথাগুলো আসবে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ অনশন কর্মসূচি বিকাল সোয়া তিনটায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান ড. এমাজউদ্দিন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব