আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, কওমী মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে নিয়ে মন্তব্য করায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যে আহত হয়েছেন কওমী সমাজ।
তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান মর্যাদা দিয়ে এই সংসদে আইন পাস হয়েছে। সকল সংসদ সদস্য একমত হয়েই আইন পাস করেছি। আইন পাস হওয়ার পর এমন ধরণের মন্তব্য কাম্য নয়। তার মন্তব্য আমাদের (কওমী সমাজকে) একটু আহত করেছে। কারণ আমিও কওমী সন্তান। এই আইন পাস হওয়ায় শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী খুশি হননি, সবাই খুশি হয়েছেন। পুরো মুসলিম বিশ্ব খুশি হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের উলামারা খুশি হয়েছেন। শুধু একটা দল খুশি হন নাই সেটা হলো জামায়েতে ইসলামী।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে সোমবার এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে মেননের বক্তব্য এক্সপান্স করতে স্পিকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী আরও বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এমন কোন সিদ্ধান্ত নেন না, যতদিন পর্যন্ত উনি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি না করেন। গভীরভাবে স্ট্যাডি না করেন। উনি কওমী মাদরাসার আইনটা ৯ বছর ধরে স্ট্যাডি করেছেন। ৯ বছর স্ট্যাডি করার পরে দেওবন্দের উসুলে হস্তখানা ৮ নীতিমালা দেখার পর দেওবন্দের নেছাবেই আইন পাস করেছেন। কেন পাস করেছেন? ইনসাফ কায়েম করার জন্য, আদব কায়েম করার জন্য। তিনি ২০ হাজার কওমী মাদরাসায় ২০ লাখ কওমী শিক্ষার্থীর প্রতি ইনসাফ করেছেন। এরপর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন সাহেব কওমী মাদ্রাসা নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। এতে আমরা একটু আহত হয়েছি। কারণ এই সংসদে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়ে আইন পাস হয়েছে। এরপরে কথা বলা কাম্য নয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর