স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের রয়েছে বিজয় গাঁথার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, সে কারণেই এগিয়ে গেছে সভ্যতা ও সমাজ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে এদেশের নারীরা এগিয়ে এসেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তারা সফলতার দৃষ্টান্ত রাখছে, যা অনুসরণযোগ্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৪৯তম বার্ষিক আর্ন্তাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘নারী: দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এই ইতিহাস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। সম্মেলনে ইতিহাস পরিষদের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে জীবন্ত ইতিহাস উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন, নারী জাগরণসহ জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে ইতিহাসের নব অধ্যায়ের সূচনা করেন তিনি। বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন, যা ইতিহাসেরই অংশ।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন, ২০১৯/মাহবুব