এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুই থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। স্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। এছাড়া শিক্ষক এমপিওভুক্তিতেও ৫ থেকে ১০ হাজার ও শিক্ষক বদলিতে এক থেকে ২ লাখ টাকা মধ্যসত্বভোগী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে দিতে হয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার টিআইবি কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষক তাসলিমা আক্তার গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। এ সময় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
এতে বলা হয়, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার ও অন্যান্য একাডেমিক সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৫৭৭ জন শিক্ষকের জাল সনদে নিয়োগ পেয়েছে। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী তিন বছর পর পর বদলির বিধান থাকলেও তা নিয়মিত হয় না। আইসিটি প্রকল্প-২ এ দরপত্র ছাড়াই দুই কোটি ২৫ লাখ দুই হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, সার্টিফিকেট, প্রশিক্ষণ সামগ্রীতে। প্রকল্প পরিচালকের বছরে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করার ক্ষমতা থাকলেও ৯৬ কোটি টাকা অগ্রিম তোলার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
একই সময়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপস্থিত না থেকেও প্রকল্প পরিচালক সম্মানী নিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ টাকা। বেসিক টিচার ও প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রশিক্ষণের এক হাজার ১২১টি ব্যাচের ভেন্যু বাবদ প্রায় দুই কোটি টাকা সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে অর্থের অপচয় করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের আত্তীকরণ হয়নি। প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী সরকারি আর্থিক সুবিধা হতে বঞ্চিত।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা