জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার দায়ে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে খাদের কিনারে রেখে যাওয়াসহ সংবিধানের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বিনষ্ট করে দিয়েছে বিদায়ী এই কমিশন।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জেএসডি সভাপতি।
আ স ম রব বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা ও লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই নির্বাচন কমিশন রাতের আঁধারে ভোট সম্পন্ন করে সরকারের হাতে জনগণের ক্ষমতা অবৈধভাবে তুলে দেয়ার মত অপরাধ করে এখন নিরাপদে প্রস্থান করছে। যা গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনকে বিচারের সম্মুখীন না করলে রাষ্ট্রীয় যে কোনো প্রতিষ্ঠান সংবিধান লঙ্ঘনে আরো উৎসাহিত হবে। আর এই প্রবণতা ভবিষ্যতে দেশকে সর্বগ্রাসী শাসনের দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা ধরে রাখার স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছে। আর তারা সরকারের অনুগ্রহভাজন হয় জনগণকে প্রতারিত করেছে। হুদা কমিশনের ‘জন্ম এবং অপকর্ম’ সবই এই সরকারের মদদেই হয়েছে।
অনিয়মের গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত এম নূরুল হুদা কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের নামে দিনের ভোট রাতে করার মত গর্হিত কলঙ্কের স্মৃতি গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে অবিরাম কষ্ট দিতে থাকবে। একের পর এক নির্বাচন হয়েছে আর ব্যর্থতার ঝুলি পূর্ণ করেছে এই কমিশন। তারপরও আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সিইসিসহ অন্য তিন কমিশনার নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বরাবরই। ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি সময়ে সময়ে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছেন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অস্বীকার এবং দুর্নীতি ও অসদাচরণে অভিযুক্তদের আনুগত্যের প্রতিদানে বিচারের আওতায় আনতেই হবে। না আনলে ভবিষ্যতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ হয়ে পড়বে। গণতন্ত্রের সাথে জড়িত থাকা বিকৃতিসমূহ এখনই সংশোধন করা প্রয়োজন, নইলে জাতিকে অতি উচ্চমূল্য দিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন