জাতীয় ঈদগাহে ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের জামাতে কেউ যেন মোবাইল ডিভাইস সঙ্গে না আনেন, আনলেও যেন হাতে রাখেন। অনেকেই নামাজ শেষে তার মোবাইল খুঁজে পান না। ঈদ জামাতে মুসল্লিদের মধ্যে অনেকেই অসৎ উদ্দেশে আসেন, যাদের আলাদা করা কঠিন। ঈদগাহে ব্যাগসহ অন্য কিছু আনার সুযোগ থাকবে না।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। যে যেখানে নামাজ পড়েন না কেন, ডিএমপি সার্বক্ষণিক মানুষের নিরাপত্তায় রয়েছে।
ঈদের জামাত কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই, এমন বলা যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিদের অনলাইনে তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে পীর সাহেবদের মাজার ও শিয়াদের ঈদগাহগুলোতে বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে ঈদগাহ ময়দানে আসার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা আনতে পারবেন। তবে মুঠোফোন না আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মুঠোফোন আনলে পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে তা যেন হাতে রাখা হয়। কারণ, একশ্রেণির মানুষ নামাজ পড়তে না এসে চুরির সুযোগ খোঁজে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক