সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অস্ত্র চোরাচালান ও খুনের আসামি তারেক রহমানকে আমেরিকা কেন ভিসা দেয় না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের কাছে জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
এস এম কামাল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেন, দেশে মদ-জুয়া-হাউজি শুরু করেন। যেটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়া-হাউজি নিষিদ্ধ করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান ২০০১ থেকে ২০০৬ হাওয়া ভবন তৈরি করে হাওয়া ভবনে বসে বাবার মতো খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেন। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ বানায়, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে এবং ২০০৮ সালে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করে পালিয়ে গিয়ে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। লন্ডনে ক্যাসিনো-জুয়ার আসরে বসে অর্থ উপার্জন করছে, আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাকে আমেরিকা কেন ভিসা দেয় না? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব উত্তর দেবেন কি?
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তির প্রতীক শেখ হাসিনার সমালোচনা করার কোন নৈতিক অধিকার আপনাদের নাই। কারণ শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বের দরবারে বৃদ্ধি করেছেন, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্যসেবা দাঁরগোড়ায়, বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছে, বিধবাদের ভাতা দিচ্ছে, প্রতিবন্ধীদের ভাতা দিচ্ছে, বছরের শুরুতে ১ সেট নতুন বই দিচ্ছে, আমার বাড়ি আমার খামার এই প্রকল্প করেছেন, গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করেছেন, সমুদ্র বিজয় করেছেন, শান্তি চুক্তি করেছেন, গঙ্গার পানি চুক্তি করেছেন, ছিটমহল চুক্তি করেছেন, পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করেছেন, দেশের অসহায়, দুস্থ, ছিন্নমূল মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন, ঘর দিয়েছেন, জমি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছিন্নমূল মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে শেখ হাসিনার জন্য চোখের পানি ফেলে আর দোয়া করে। সংকট মোকাবেলায় শেখ হাসিনা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী, মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা। আজকে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিচ্ছেন। ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছে বলেই বিশ্বের এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত আছে। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন, মেট্রোরেল করেছেন, কর্ণফুলী টানেল করেছেন।
মির্জা ফখরুলরা শেখ হাসিনার সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখেন। কারণ আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিদ্যুৎ দিতে পারেন নাই বরং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছেন, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধাতে কৃষককে সার না দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশকে খুনের দেশে পরিণত করেছিলেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী সে দিনের বিরোধী দলীয় নেত্রী ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চেয়েছিলেন আপনার নেতা তারেক জিয়া। তাই মির্জা ফখরুল ও বিএনপির নেতাদের বলবো জনগণের কাছে ক্ষমা চান, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করেন তা নাহলে অতীতের মতো জনগণ আপনাদের ঘরে তুলে দিবে।
শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত