বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন তখনই হবে, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু বক্তব্য দেন।বিএনপিপন্থী কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এ আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে বাঁচাতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে তখনই নির্বাচন হবে, যখন সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কৃষকরা দিয়ে থাকেন। কৃষকরা ভালো নেই, কৃষকরা উৎপাদিত মূল্য পান না। উৎপাদন খরচ বেশি। আইএমএফের ঋণের কারণে সার কেজিতে ৫টা বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। বিএনপির সময় কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। কৃষকদের বাঁচাতে হলে পরিবর্তন প্রয়োজন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার একটার পর একটা আইন করে দেশকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে পরাজিত করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ