৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:৪৯

আওয়ামী লীগ সরকার দুর্বল সরকার নয় : হানিফ

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকার দুর্বল সরকার নয় : হানিফ

মাহবুবউল আলম হানিফ (ফাইল ছবি)

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সময় এসেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার। দেশের জনগণকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো সংগঠন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে তারা টিকতে পারে নাই। এখানেও যারা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীদের পেট্রল বোমায় হামলায় ট্রাক ড্রাইভার বেলাল হত্যার প্রতিবাদে’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার দুর্বল সরকার নয় জানিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি প্রধান নেতা কে সেটা বলতেই কর্মীরা সংকোচ বোধ করেন। কারণ তাদের নেতা খালেদা জিয়া অসুস্থ। রাজনীতি করার মতো তার শারীরিক সক্ষমতা নেই। তাদের নেতা হচ্ছে তারেক রহমান, লন্ডনে বসে আছে। তারেক রহমান রাজনৈতিক নেতা নয়, তারেক রহমান হচ্ছে সন্ত্রাসী নেতা। এমন সন্ত্রাসী নেতার মাধ্যমে দেশে কোনো কল্যাণ আসতে পারে না। 

তিনি বলেন, জনগণের কোনো উপকারে আসতে পারে না। এটা জনগণ জানে বলেই তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তার প্রতিশোধে বিএনপি আজকে আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই পেট্রল বোমা দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বাসে আগুন দিয়ে কোন রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা যাবে না। এ সরকার এত দুর্বল সরকার নয়।

হানিফ বলেন, আপনারা ভেবেছেন তথাকথিত গণতন্ত্রের নাম করে দুই একটি জায়গায় পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন দিলেই আপনাদের সফলতা হয়ে যাবে। এখন আপনাদের আন্দোলন হচ্ছে পেট্রল বোমার এবং সেটি নিজেদের না, আউটসোর্সিং করে করাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে দেশকে কিছুই দিতে পারে নাই। দেশকে বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতি রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এ দেশকে সন্ত্রাসীর চারণভূমি বানিয়ে ছিল। জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছিল। সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। অন্য দেশের জঙ্গিদের এখানে আশ্রয় দিয়ে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সেই বিএনপি কোন মুখে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সেটা ভাবলে অবাক হয়ে যাই।

হানিফ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সারা দেশের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নির্বাচন বানচাল করা অপরাধীদের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই, তারা জেনে রাখবেন ভুল করছেন।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খুসরু, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শহীদ ডাকোয়া, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মাতবর প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর