রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবিরাজকে জবাই করে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ফরিদ মিয়া (৫০) নামে এক গ্রাম্য কবিরাজকে শুক্রবার রাতে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গতকাল কসবা থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাক ওরফে হুরন মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি পেশায় কাজ করে আসছিলেন। তার স্ত্রী বিউটি বেগম বাবার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় রোগী সেজে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কবিরাজ ফরিদ মিয়াকে ডাক দেয় একজন লোক। ঘরে থাকা ফরিদ মিয়ার স্কুলপড়ুয়া দুই নাতনি রোগীকে বলে, তার নানা ঘরে নেই। প্রতিবেশী আবদুল মজিদের বিয়েবাড়িতে আছে। তখন রোগী সেজে আসা ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে ডেকে ফরিদ কবিরাজকে তার বাসায় নিয়ে আসে। রোগী সেজে আসা ব্যক্তি সঙ্গে করে বিস্কুট, আপেল ও এক বোতল প্যারাসুট নারিকেল তেল সঙ্গে করে আনে এবং ফরিদ মিয়ার ঘরে রাত যাপন করে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় ওই রোগী তার সঙ্গীদের ঘরে নেয় এবং পরিকল্পিতভাবে ফরিদ মিয়াকে হত্যা করে।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের ভাতিজা মো. মানিক মিয়া দুর্বৃত্তদের দেখতে পায়। ওই সময় মানিক মিয়া বাড়ির পাশে ধানিজমিতে সেচ দিচ্ছিলেন। এদিকে ভোরবেলা বাড়ির কাজের লোক এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রবেশ করেন। ফরিদ মিয়াকে গলা কাটা ও পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত ফরিদ কবিরাজের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’ কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গতকাল সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিহতের নিজ বাড়ির বারান্দা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এ নিয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কবিরাজি পেশার সূত্র ধরে তার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোকে যাওয়া-আসা ছিল। রোগী সেজে মোবাইলে ফোন করে ফরিদ কবিরাজকে বিয়ের আসর থেকে ডেকে আনা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর