মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির ১২৪ নেতা-কর্মী জামিনে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা ও আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েল হোসেনসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের আটজন নেতা-কর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন এসব নেতা-কর্মী। জামিন প্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন— রাজীব মিয়া, এমডি মনির হোসেন, গাজী আহসান উল্লাহ, সুজন খান ও সুলতান উদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, রবিবার হাই কোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি খোরশেদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পান নজরুল ইসলাম আজাদসহ বিএনপির আট নেতা-কর্মী। সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি লাভ করেন। আসামিদের এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

নাশকতার তিন মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৪৫ জনের জামিন : সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত তিনটি নাশকতা এবং বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ ৪৫ জনকে আগাম জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল হাই কোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন।

নাশকতার ৩ মামলায় কাউন্সিলরসহ ৭১ জনের জামিন : অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের সদর, ফতুল্লা ও বন্দরের নাশকতার তিন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গতকাল হাই কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের দ্বৈত বেঞ্চে খোরশেদের আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে। এ ছাড়া বন্দর, ফতুল্লা ও সদরের মামলায় ৭০ জনের আগাম জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তৈমূর জানান, এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই। সাজানো ঘটনায় মামলা দিয়ে শুধু রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এসব মামলা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর