বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সিনিয়র পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন গতকাল সকালে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়েছে। মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলে মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। অন্যদিকে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক ফায়ারিং, মিয়ানমার নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ প্রভৃতি।

সহ আরও , সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ও ড্রোন চলাচল, শূন্য লাইন থেকে মাইন, আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) অপসারণ, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বা অসতর্কতাবশত সীমান্ত অতিক্রমের কারণে আটক বা কারাভোগের পর নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন এবং সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। বৈঠক শেষে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষর এবং একই দিনে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।