শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাসানীকে সম্মান না দেওয়া মুক্তিযুদ্ধেও অপমান : সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আমাদের রাজনীতির অভিভাবক। তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা উচিত। কিন্তু তা এই রাষ্ট্র করেনি। ভাসানীকে সম্মান না দেওয়ার অর্থ মুক্তিযুদ্ধের অপমান। ভাসানী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আন্দোলন করেছেন যাঁরা তাঁরাই মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে ভাসানীর যথার্থ মূল্যায়ন করা হয় না।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

সেলিম বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে প্রথম সংগ্রামী ছিলেন ভাসানী। ইতিহাস বিচার করতে হলে সারা জীবনের সংগ্রাম বিবেচনায় নিতে হবে।

 শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিলেন প্রথম ভাসানী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যেমন পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধেও তেমন।

আজ উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীকে স্মরণ করা; কিন্তু তিনি আজ অবহেলিত। তাঁকে আমরা সম্মান দিতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘কোনো একক ব্যক্তির কার্যকলাপে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।

এ দেশের মেহনতি মানুষের লড়াই-সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেহনতি মানুষের লড়াই এখনো চলছে। দেশে দুর্নীতি, লুটপাট চলছে। রাতে অন্ধকারে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে শোষণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। দেশ আজ এমন একটি পচা অবস্থায় এসেছে যে সরকারের কোনো কথায় কেউ বিশ^াস করে না। তারা কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না জেনেই মানুষ বিশ্বাস করেছে পিয়াজের দাম বাড়বে লবণের দাম বাড়বে। হয়েছেও তাই। এসব ঘটনা সরকার নিজেই সৃষ্টি করেছে। একটির পর একটি ঘটনা সামনে আসে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হলে এ শোষণ-নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতের মতো এখন আমাদের শোষণ করছে। কেউ কিছু বলতে পারবে না। সরকারের যা ইচ্ছা তা-ই করবে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে, হত্যা-গুম করে একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। কিন্তু এভাবে কত দিন চালাবেন? মানুষ আজ দিশাহারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, সরকারের মন্ত্রী বলে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। জোয়ার চলছে লুটের। এর বিরুদ্ধে মানুষ জাগবে। কখন পতন হবে আপনাদের টেরও পাবেন না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর