পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যেখানে সেখানে পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকতে এবং কোরবানির পুরো কার্যক্রম চলাকালে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় উল্লেখ করা হয়, ঈদুল আজহা উদ?যাপনে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কোরবানির মাধ্যমে পালন করা হয় সুমহান ধর্মীয় অনুশাসন। কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, হাড়, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, গোবর ইত্যাদি উচ্ছিষ্টাংশের মাধ্যমে যাতে পরিবেশ দূষিত হয় না হয় সেজন্য সুনির্দিষ্ট গর্তের মধ্যে পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটিচাপা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা মাংস বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ’ তাই সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে জনগণ ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে বলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা।
কোরবানির পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে অপসারণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
গণযোগাযোগ অধিদফতর হাটবাজার ও উন্মুক্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়ে জনগণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। ঈদের আগের জুমা ও ঈদের নামাজের খুতবায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমামদের অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আন্তমন্ত্রণালয় সভায় অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।