কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পায়ে পা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গাছতলা ঘাট নার্সারি রোড এলাকায় ৪০ বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পৌর শহরের কমলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকার আলাইনা টেলিকমে মোবাইলে এমবি রিচার্জ করতে আসেন কামাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ইমন, সাইমন, রায়হান ও খালেক মিয়ার বাড়ির অনিক, রিফাদ, সাহিদ, আরাফাত ও সৌরভ। এদের মধ্যে ইমন এমবি রিচার্জ শেষে দোকানিকে একটি ভেজা টাকার নোট দেন। এ নিয়ে দোকানির সঙ্গে ইমন ও সাইমনের বাগবিতন্ডা হয়। এ সময় অনিক দোকান থেকে বের হওয়ার সময় ইমনের পায়ে পা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়া ও পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন মীমাংসার দায়িত্ব নিলেও যুবকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে তাৎক্ষণিক মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষ দা, লাঠি, বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কামাল মিয়া বলেন, মোবাইলে এমবি রিচার্জ করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। প্রথমে সংঘর্ষটি বাসস্ট্যান্ড আল আজিজিয়া হোটেলের সামনে হয়। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কমলপুর নার্সারি রোডে ফের সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।