অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই সনদ একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এটি অতীতের যে কোনো বন্দোবস্তের চেয়ে স্বচ্ছ, সুগঠিত ও সুনির্দিষ্ট। পরাজিত শক্তির ন্যারেটিভ গ্রহণ করে যদি আমরা জুলাই সনদ বানচাল করতে চাই, তবে দেশ পিছিয়ে পড়বে। গতকাল এফডিসিতে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ’৭২-এর সংবিধানকে অনেক কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার আইনের শাসন ব্যাহত করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
জুলাই হত্যার বিচারও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবে। এ বিচারকার্য কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না। বিগত ফ্যাসিস্টদের গুম-খুনের বিচারের সব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে। যুক্তি-তর্ক চলছে, এখন শুধু রায়ের অপেক্ষা। জুলাই চেতনার অঙ্গীকারই এ বিচারের মূল ভিত্তি।
ছায়া সংসদে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক হাসান জাবেদ, মনিরুজ্জামান মিশন ও মাইদুর রহমান রুবেল। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর হাতে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিরা।