শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

২৩ মার্চ পতাকা দিবস ও তার বিশ্লেষণ

নূরে আলম সিদ্দিকী
অনলাইন ভার্সন
২৩ মার্চ পতাকা দিবস ও তার বিশ্লেষণ

২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস বা লাহোর প্রস্তাব দিবস। সম্ভবত মার্চ মাসের ১৮-১৯ তারিখ (১৯৭১) বঙ্গবন্ধু জনাব আবদুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উঠবে। প্রতিটি যানবাহনে, ভবনে, সব কার্যালয়ে, উচ্চ আদালতে ওই পতাকা উত্তোলিত হবে। (আবদুর রাজ্জাক তার স্মৃতিচারণে বলেছেন, ২৩ মার্চ লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান দিবস থেকে পতাকা দিবস পালনের জন্য এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের জন্য আমার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।) এই নির্দেশনার আলোকে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পূর্বঘোষিত ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পতাকা উত্তোলন দিবস পালনের ঘোষণা করা হয়। শুধু পল্টনেই নয়, সারা দেশে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকে ঘরে ঘরে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সেদিন।

সেদিন বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় অবস্থান করছিলেন। পল্টনের পতাকা উত্তোলনের সভায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাযাহারুল হক বাকী, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, এমএলএ ড. আবু হেনাসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এখানে অত্যন্ত স্পষ্ট করে নতুন প্রজন্মকে অবগতি এবং তাদের চেতনাকে সংশয়বিমুক্ত করার জন্য বাস্তবের নিরিখে অন্তর্নিহিত এই বিশ্লেষণটি উদ্ধৃত করতে চাই। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ যে কর্মসূচি পালন করেছে সেটি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়। এর বাইরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অথবা স্বপ্রণোদিত হয়ে যে কোনো কর্মকাণ্ডই ইতিহাসের বিশ্লেষণে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দাবি রাখে না। ২৩ মার্চে যদি পাকিস্তান দিবস বা লাহোর প্রস্তাব দিবস পালিত হতো তাহলে রাষ্ট্রপতি কিংবা তার অবর্তমানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করতেন। তাদের গানস্যালুট প্রদান করা হতো। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ওই দিনটি আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন ও পতাকা দিবস হিসেবে পালন করার সুচিন্তিত সিদ্ধান্তটি আমরা লাভ করি। এখানেও বঙ্গবন্ধু সুদূরপ্রসারী এবং কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই পতাকা উত্তোলনে পল্টনের ঐতিহাসিক ময়দানে তিনি উপস্থিত হলে এবং আমরা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের চার সদস্য পতাকা উত্তোলন করে তাকে গান স্যালুট প্রদান করলে নিঃসন্দেহে বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ তার ওপর পড়ত। এটি বিচ্ছিন্নতাবাদের অপবাদই শুধু নয়, সামরিক জান্তার চক্রান্তের চোরাবালিতে পা রাখার মতো বোকামি হতো। তাই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রলীগের পতাকাটি উত্তোলিত হওয়ার সময় সংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন প্রদান করা হয়। বিউগল বাজিয়ে ড্রামের মাধ্যমে সুরের মূর্ছনায় জাতীয় সংগীত (আমার সোনার বাংলা...) পরিবেশন করা হয়। পরে পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত হয়। মোস্তফা মহসিন মন্টু, খসরু, (খুব সম্ভবত) হাসানুল হক ইনু, মহানগর ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মিলিতভাবে আস্তে আস্তে পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। এ সময় সামরিক কায়দায় মঞ্চে দণ্ডায়মান স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে অভিবাদন প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হিসেবে অথবা চার খলিফা হিসেবে আমরা অভিবাদন গ্রহণ করি। অভিবাদন পর্ব শেষে সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ করে আমরা ৩২ নম্বরে যাই। সূক্ষ্ম নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছিল বলেই ২৩ মার্চ ওই দিবসটিই পতাকা দিবস হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং বছর বছর প্রতিপালিত হচ্ছে। পত্রপত্রিকা ছাড়াও পতাকা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের তৎকালীন প্রায় সব নেতার বক্তৃতা ও স্মৃতিচারণে (ভয়েস রেকর্ড সংগৃহীত) আমার এই কথার সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাযাহারুল হক বাকী বলেন, '২৩ মার্চ পতাকা উত্তোলনের পরে তদানীন্তন ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর হাতে সে পতাকা তুলে দেন। এটি ইতিহাস স্বীকৃত আনুষ্ঠানিক ঘটনা।' আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, '২৩ মার্চ পতাকা দিবস আর এটাই সঠিক ইতিহাস। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। ঘরে ঘরে পতাকা ওড়ানো হয়েছিল এবং ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে নূরে আলম সিদ্দিকী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হাতে পতাকাটি অর্পণ করেন।' আমির হোসেন আমু বলেন, '২৩ মার্চই পতাকা দিবস এবং এটি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় উত্তোলিত হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি বন্ধুবর নূরে আলম সিদ্দিকী সেটি ৩২ নম্বরের বাসায় বঙ্গবন্ধুর হাতে অর্পণ করেন।' তোফায়েল আহমেদ বলেন, '২৩ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ এদিন বাংলার ঘরে ঘরে পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। সেদিন পাকিস্তানের চিহ্ন কোথাও ছিল না। ক্যান্টনমেন্ট এবং গভর্নর হাউস ছাড়া।' জনাব আবদুর রউফ বলেন, '২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে পতাকা দিবস ঘোষিত হয়। ২৩ মার্চ পল্টনে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলিত পাতাকাসহ পল্টন থেকে কুচকাওয়াজ করে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর হাতে সেটি তুলে দেন।' খালেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, 'ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে পতাকাটি উত্তোলিত হলো। ছোট্ট মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা অভিবাদন গ্রহণ করলেন। সারা পল্টন ফেটে পড়ল জয়ধ্বনিতে। জয় বাংলা স্লোগানে, বঙ্গবন্ধুর নামে স্লোগানে আমরা তখন শিহরিত হয়ে উঠলাম। পরে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৩২ নম্বরে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুকে পতাকাটি তুলে দিলেন।' এটা প্রদীপ্ত সূর্যের মতো সত্য যে প্রতিটি যানবাহনে, প্রতিটি গৃহে, সচিবালয়ে, উচ্চ আদালতে, সব সরকারি অফিসে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাধীনতার শাণিত চেতনাকে আরও উদ্দীপ্ত করে পতপত করে উড়তে থাকে। সত্য কথা বলতে গেলে ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের খণ্ডিত অবাঙালি অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকা ছাড়া সর্বত্র থেকে পাকিস্তানের শেষ চিহ্নটি অবলুপ্ত করে দেয়। লাহোর প্রস্তাব দিবসটি স্বাধীন বাংলার পতাকা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করল সগৌরবে। ২৩ মার্চ পতাকা উত্তোলনের মধ্যে একটি নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো, পাকিস্তান দিবসের কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে দেওয়া হয়।

মৃদুমেঘমূর্ছনায় ব্যান্ড বাজছিল। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি- এই গানের সুললিত সুর পল্টনে উপস্থিত সব মানুষের চিত্তকে উদ্বেলিত করছিল। সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রাপ্তির আস্বাদন পাচ্ছিল বাংলার দুর্জয় ও অকুতোভয় জনতা। অনেকগুলো ব্রিগেড সাজানো হয়েছিল একের পর এক। আমরা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃচতুষ্টয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একটা ব্রিগেড অভিবাদন জানিয়ে মঞ্চ অতিক্রম করে পাশে অবস্থান নিচ্ছে। আরেকটি ব্রিগেড মঞ্চের দিকে মাথা বাঁকিয়ে অভিবাদন দিয়ে প্যারেড করে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের দৃপ্ত পদভারে মনে হচ্ছিল তারা যেন দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিংহশার্দুল বাহিনীর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। এটি সম্ভব হয়েছিল প্রত্যয় ও প্রতীতি থেকে উৎসারিত স্বাধীনতার শাশ্বত আকাঙ্ক্ষা থেকে। শেষ ব্রিগেডটি অভিবাদন জানানোর পর আমরা মঞ্চ থেকে নেমে এসে পল্টনের গেটে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে গেলাম। সেখান থেকে ব্যান্ড বাজিয়ে বিউগলে জাতীয় সংগীতের সুর তুলে মিছিল করে দৃপ্ত পদভারে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে এগিয়ে চললাম।

দুই দিকে অযুত মানুষের ঢল। কণ্ঠে 'জয় বাংলা' স্লোগান। বক্ষে স্বাধীনতার প্রতীতি। প্যারেডের পেছনে এসে মিছিলের অবয়বে তারা সবাই অংশ নিতে লাগলেন। ধানমন্ডির দিকে আমরা যতই এগোচ্ছি মিছিলের কলেবর বৃদ্ধি হচ্ছে ততই। বজ্র নির্ঘোষে বার বার উচ্চারিত হচ্ছে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু'। 'এ পতাকার শেষ কথা, বাংলা মায়ের স্বাধীনতা।' শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পৃথিবীর সব সংগ্রামী জাতির মধ্যে এটি এক অনন্য সাধারণ ও অবিস্মরণীয় মার্চপাস্ট এবং তার সঙ্গে লাখো মানুষের পদচারণা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই পুরো কর্মসূচিটি আবর্তিত ছিল। বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরে প্রস্তুত ছিলেন পতাকা মিছিলটি সাদরে বরণ করার উদ্দীপ্ত আকাঙ্ক্ষায়। আমরা যখন ৩২ নম্বরের গেটে উপস্থিত হলাম, তখন মিছিলের শেষ প্রান্তটি কোথায় ছিল, সেটি আমরা বর্ণনা করতে পারব না। বঙ্গবন্ধু নেমে এলেন। পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে গৌরবদীপ্ত হৃদয়ে তার হাতে পতাকাটি অর্পণ করলাম। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্লোগান উঠল 'জয় বাংলা'। সেটাই প্রতিধ্বনিত হলো লাখো কণ্ঠে। ইথারের মধ্যে ছড়িয়ে গেল সেই আওয়াজ। জনসমুদ্রের ঊর্মিমালার মতো ঢেউ খেতে খেতে ৩২ নম্বরের সামনে থেকে মিছিলের শেষ পর্যন্ত পেঁৗছে গেল। সে দৃষ্টান্ত ঐতিহাসিক, অনন্য সাধারণ। এ পতাকা দিবসটি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ দ্বারা পরিচালিত এবং অযুত কণ্ঠের উচ্চারিত স্লোগানে মুখরিত। তখনো যদি কারও মনে বিন্দুমাত্র দুরাশা থাকত যে পাকিস্তান টিকলেও টিকে যেতে পারে সেই দুরাশা চিরকালের জন্য বিলীন হয়ে গেল। মৃত পাকিস্তানে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যরশ্মির অগি্নকণায় দগ্ধ হয়ে নিঃশেষিত হলো ২৩ বছরের শোষণ আর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা।

নতুন প্রজন্মের কাছে আজ এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হোক, সেদিন আমাদের কাছে যে রাইফেল ছিল তার অধিকাংশই ছিল ডামি। কিন্তু সেই উদ্ধত ডামি রাইফেলই পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল ৭ মার্চে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিধ্বনি করে- 'আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো।' আমরা প্রতিটি মুহূর্তে এই অমোঘ সত্যটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই তিল তিল করে মানুষের মননশীলতাকে শাণিত করেছি। হয়তো অনেক রক্ত দান করতে হয়েছে, হয়তো অনেক বোনকে সতীত্ব হারানোর যন্ত্রণায় ডুকরে কাঁদতে হয়েছে, হয়তো অনেক তরুণের বুক নিসৃত তাজা তপ্ত রক্ত আর মায়ের চোখ নিসৃত নোনা অশ্রুতে বাংলার মাটির প্রত্যন্ত অঞ্চল সিক্ত হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতাকে আমরা ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। এই প্রতীতি ও প্রত্যয় তৈরির জন্য আমরা একেকটি আন্দোলনের সোপান তৈরি করেছি। বাংলার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীতির সঙ্গে সব মানুষের চেতনার একটা রাখি বন্ধন অতি সুদৃঢ়ভাবে বাঁধতে পেরেছিলাম বলেই ষড়যন্ত্র, অর্থ ও অস্ত্র শেষ পর্যন্ত পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের চেতনার প্রতীক, ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপকার। ইতিহাসের এই অমোঘ সত্যটি যতই দিন যাবে ততই গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সর্বাংশে।

ঐতিহাসিক বাস্তবতার আঙ্গিকে উপসংহারে প্রাসঙ্গিক কারণেই তরুণ প্রজন্মকে জানাতে চাই, ছয় দফার মধ্য দিয়ে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের আন্দোলনের অন্তর্নিহিত মূল সত্তাটি ছিল স্বাধীনতা। অনেক নির্যাতন, নিগ্রহ, কারাভোগ এমনকি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মতো ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতা উত্তরণ করে প্রত্যয়দীপ্ত বাংলার জাগ্রত জনতা, তার অগ্রভাগে ছাত্রসমাজ এবং বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর চেতনার উত্তরসূরি ছাত্রলীগ প্রজ্বলিত মশাল জ্বেলে '৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে ও সগর্বে উদ্ধার করেছিল। এটি জাতীয় রাজনীতিতে শুধু একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ই নয়, একটি শাণিত চেতনার সৃষ্টি এবং রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় এনে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ছাড়াও ১১ দফা আন্দোলনে বিজয়ের আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল অংশ ছিল '৭০ সালে পাকিস্তানের অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সংখ্যাসাম্যের ভিত্তিতে নয় বরং জনসংখ্যার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠানে বাধ্য করা। জনাব আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, তোফায়েল আহমেদসহ ১১ দফা আন্দোলনের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের সমভিব্যাহারে এই বিজয়ের সিংহদ্বারটি উন্মুক্ত হয়েছিল। সেটাই পরবর্তীকালে '৭০-এর নির্বাচনে স্বাধিকারের অন্তরালে স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের পক্ষে সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট এনে দেয়। এখানে নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত প্রত্যয় দৃঢ়চিত্তে আমি অবহিত করতে চাই যে, আমি '৬৯-এর গণ-আন্দোলনের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করি ছাত্রলীগের প্রবহমান রাজনীতিতে দুটি স্রোতধারার উপস্থিতি। প্রথমত, একটি ধারা নির্বাচনকে বর্জন করে নির্বাচনের আগেই সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের বৈপ্লবিক চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ ও উচকিত। তাদের সব চেতনার আঙ্গিকজুড়ে ছিল সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতীতি ও প্রত্যয়। তাদের বিশ্বাস ছিল, শক্তির উৎস হলো বন্দুকের নল। দ্বিতীয়ত, আরেকটি ধারায় ছিলাম আমরা। '৭০-এর নির্বাচনকে স্বাধীনতার সপক্ষে গণ-ম্যান্ডেট এবং বঙ্গবন্ধুকে একক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করার নিষ্কণ্টক অধিকার অর্জনেই আমরা সচেষ্ট ও সংগ্রামরত ছিলাম। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেই গণ-ম্যান্ডেটটি পাওয়ার পরই স্বাধিকারের মোড়কে স্বাধীনতার দাবি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমাদের প্রতিই ছিল বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ সমর্থন। যদিও তিনি সুকৌশলে দুটি ধারাকেই অনুপ্রাণিত করতেন। তাই পথ ও কৌশলের মতভেদ সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি এবং স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনার প্রত্যয়ে আমাদের কোনো মতভেদ ছিল না। '৭০-এর নির্বাচনের অভূতপূর্ব ও অবিস্মরণীয় গণরায়টি ছাত্রলীগের বৈপ্লবিক মতাবলম্বীদের মধ্যে একটি মারাত্দক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি উভয় ধারার আনুগত্যের কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছাত্রলীগের বৈপ্লবিক অংশটির আস্থা আরও গভীরতর হয়।

যেহেতু আমরা নির্বাচনটিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্য ছিনিয়ে আনার ম্যান্ডেট হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম সেহেতু তার সঙ্গে গভীর সংযোগ ও তারই নির্দেশনায় আমাদের কর্মসূচিগুলো রচিত ও পরিচালিত হতো। ম্যান্ডেটের পর বঙ্গবন্ধুর সুনিপুণ দিকনির্দেশনায় স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের প্রতিটি কর্মসূচিই ছিল স্বাধীনতার প্রত্যয়ে জনগণকে প্রদীপ্ত করার মহান প্রয়াস।

লেখক : স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ নেতা

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে