আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের ১৬তম লোকসভার নির্বাচন। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে মোট ৯ দফায় (৭ এপ্রিল-১২ মে)। প্রথম দফায় উত্তরপূর্ব ভারতের ছয়টি আসনে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ত্রিপুরা একটি এবং আসামের পাঁচটি লোকসভার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৭টা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আসামের তেজপুর, জোরহাট, কালিয়াবর, ডিব্রুগড় এবং লখিমপুর এই পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬৪ লক্ষ ১০ হাজার ৮৮৩ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৫১ জন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে আছেন: আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর পুত্র গৌরব গগৈ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন সিং ঘাটোয়ার এবং রানি নরহ, কংগ্রেস সংসদ সদস্য বিজয় কৃষ্ণ হান্ডিক, বিজেপি সভাপতি সর্বানন্দ সনোয়াল। প্রথম দফার ভোটে অবশ্য অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে কংগ্রেস। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি।
এদিকে, ত্রিপুরার পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে মোট ভোটার আছেন ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৯৪ জন। এই আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন প্রার্থী। সিপিআই(এম)-এর হাতে থাকা এই আসনটিতে এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। ২০০৯ সালে এই আসনটি থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএম-এর খগেন দাস।
অন্যদিকে, সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে রাজ্য পুলিশ। নজর রাখা হবে আকাশপথেও। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য থাকছে হেলিকপ্টারও। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক্স ভোটযন্ত্রে ভোটাররা 'নোটা' (উপরের কোন প্রার্থীই পছন্দ নয়/নান অব দ্য এবাভ) প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
এর আগে গত শনিবারই শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচরণার কাজ। কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএমসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিও যে যার সাধ্যমতো প্রচারণা চালিয়েছে। ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা আগামী ১৬ মে।