লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারণায় দুই মেয়েকেই অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ভাবছেন মহানায়িকা সুচিত্রার কন্যা মুনমুন সেন। আর এ কারণেই কলকাতার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় প্রচারণায় ইমরান খানের প্রসঙ্গ টানলে কিছুটা তেতে ওঠেন তিনি। বলে বসেন, আমার দুই মেয়ে রিয়া-রাইমা যথেষ্ট ভিড় টানতে পারে। আমার দুই মেয়ে ও স্বামী পাশে থাকলে আমার আর কাউকে লাগবে না। রিয়া আর রাইমা আমার সঙ্গে সারাদিন ঘুরে যাচ্ছে একটানা।
মা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সুচিত্রা তনয়া মুনমুন। এমনকী, শরীর এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে মুনমুনের দুই মেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে। সে সময় অভিভাবকের মত হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু সুচিত্রা সেনের শেষকৃত্য সম্পন্নই নয়, তার পরেও টেলিফোনে ও সশরীরের নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বর্মা পরিবারের সঙ্গে। সেই ‘দিদি’ যখন বাঁকুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে বললেন, তখন আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি। ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছেন। যে মুনমুনের নাম একসময় সাধারণ মানুষ ভুলতে বসেছিল, রাজনীতিতে নামায় আবার সে চায়ের টেবিলের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বাঁকুড়ার তীব্র গরমে স্বামী ভরত দেব বর্মা ও দুই মেয়ে রিয়া-রাইমা নিয়েই রাত-দিন ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুনমুন।
সাক্ষাতকারে মুনমুন বলেন, দেখুন আমি রাজনীতিতে নতুন হতে পারি। কিন্তু বাঁকুড়ায় আমি বহুবার এসেছি। মুকুটমনিপুরে আমি বাংলা সিনেমার শুটিং করেছি। গরম-রোদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে জানি। আমি এই জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। কত ভাল ভাল টুরিস্ট স্পট হতে পারত এখানে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি এতদিন।
প্রসঙ্গক্রমে, প্রচারণায় ইমরান খানের বিষয় উঠে আসলে তিনি বলেন, ভীড় টানতে আমার দুই মেয়ে রিয়া-রাইমাই যথেষ্ট। আর কাউকে দরকার নেই।