দানি আলভেজ ও নেইমারের মতো ব্রাজিল দলের কোচ লুইস ফেলিপ স্কোলারিও চান এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলুক। সেই সঙ্গে তিনি নিজের দেশের বিশ্বকাপে শিরোপাটা ঘরে রাখার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা হট ফেভারিটদের অন্যতম। দানি আলভেজ তো আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনিও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা স্বপ্নের ফাইনাল চান। তবে এবারের বিশ্বকাপে যে ফিক্সচার করা হয়েছে তাতে করে ফাইনালের আগে এ দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ব্রাজিল কোচ স্কোলারি বলেন, “আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। আশা করি, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল হবে। যা হবে দক্ষিণ আমেরিকান ফাইনাল। দুই দলের খেলোয়াড়দের দারুণ কৌশলগত দক্ষতা রয়েছে।”
আর্জেন্টিনার অমঙ্গল চান না জানিয়ে ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী এই কোচ বলেন, “আগেভাগেই আর্জেন্টিনা বিদায় নিক, এটা আমি চাই না। তারা যদি বিদায় নেয়, সেটি আমার সমস্যা নয়। আমার সমস্যা ব্রাজিল। ব্রাজিল দলকে আমার ফাইনালে তুলতে হবে। ফাইনালে আমাদের প্রতিপক্ষ কে হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।” এবার যদি সত্যিই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়, তবে তা হবে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ও দ্রুপদি লড়াইগুলোর একটি।
বিশ্বকাপের মঞ্চে শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে ব্রাজিল তাদের প্রবল প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনার চেয়ে যোজন-যোজন এগিয়ে থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
গত এক শতাব্দীতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মোট ৯৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আর্জেন্টিনা জয়লাভ করেছে ৩৬ ম্যাচে আর ব্রাজিল জিতেছে ৩৫ ম্যাচে। অবশিষ্ট ২৪ ম্যাচ অমীমাংসিত রয়েছে।
দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয় আজ থেকে এক শতাব্দী আগে ১৯১৪ সালে। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ারসে প্রথমবার মুখোমুখি হয় ফুটবলের দুই সুপার পাওয়ার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে স্বাগতিকরাই জয়লাভ করে। সপ্তাহ না পেরুতেই এর প্রতিশোধ নেয় সেলেসাওরা। ২৭ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিল।
তবে বিশ্বকাপে দুই দলের সাক্ষাতে ব্রাজিল এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বমঞ্চে চারবারের সাক্ষাতে দুইবার জয়লাভ করে সেলেসাওরা। আর্জেন্টিনা জয় পায় এক ম্যাচে আর অন্য ম্যাচ ড্র হয়।
বিশ্বকাপের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অপরদিকে আর্জেন্টিনা মাত্র দুবার শিরোপা জয় করেছে। ব্রাজিলের জন্য এ বিশ্বকাপে ব্যবধানটাকে ৬-২ এ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে মেসিদের সামনেও সুযোগ রয়েছে আরেকটি বিশ্বকাপ জিতে দু'দেশের মধ্যকার ব্যবধান ৫-৩ এ নামিয়ে আনার।