শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৮ জুন, ২০১৪

আগরতলা \\\'ষড়যন্ত্র\\\' মামলা : কিছু স্মৃতি

ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী
অনলাইন ভার্সন
আগরতলা \\\'ষড়যন্ত্র\\\' মামলা : কিছু স্মৃতি

অনেকেই আমাকে স্মৃতিকথা লিখতে বলেন। বিশেষ করে পুরনো দিনের বন্ধুরা, যারা নিজেরাই স্মৃতি-কাতর। মানুষ মাত্রেই নস্টালজিয়ায় কাতর হয়। স্মৃতির সুতার এক প্রান্ত ধরিয়ে দিলে সেই সুতা ধরে দূরদূরান্তে হারিয়ে যায়। একটা থেকে আরেকটা ঘটনার স্মৃতি মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। ষাটের দশকের 'ছয় দফা' আন্দোলন এবং '৬৬-র ৭ জুনের হরতাল নিয়ে কিছু কথা ইতিপূর্বে লিখেছি। তারপর '৬৭ সালে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ কাছাকাছি থাকার যে দুর্লভ সুযোগ হয়েছিল তার উল্লেখ করেছি। আমার ইচ্ছা ষাটের দশক নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখি। পুরনো দিনের বন্ধু-সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং বই-পত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে ঝাপসা স্মৃতির ধুলো-বালি ঝেড়ে-মুছে তারপর লিখতে বসব। কিন্তু রাধার নাচন দেখার জন্য সেই দশ মণ গব্যঘৃত কখনো পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। শেষতক স্থির করেছি স্মৃতির পাতা থেকে যখন যেটুকু সম্ভব উদ্ধার করে ষাটের দশকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে যখন যেটুকু সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ হয়েছে, যা দেখেছি এবং উপলব্ধি করেছি, তা আজকের দিনের পাঠকদের জন্য লিপিবদ্ধ করি, বিচ্ছিন্নভাবে হলেও।

'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' : '৬৭ সালে প্রায় সাত মাস জেলখানায় থাকার পর ডিসেম্ব্বরের শেষ দিকে হঠাৎ করেই আমার রিলিজ অর্ডার আসে। পাকিস্তানি শাসনেও রাজনৈতিক বন্দীদের সঙ্গে আচরণে কিছু বিচার-বিবেচনা ছিল! বন্দীদের ছয় মাস পর পর 'বিভিউ বোর্ডের' সামনে হাজির করা হতো। আমাকে এমন এক সময় জেলে নেওয়া হয় যখন আমি এমএসসি ফাইনাল পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। '৬৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো 'সদাচরণের মুচলেকা' দিতে অস্বীকার করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। অতঃপর প্রায় দুই বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে, তারপর ডাকসুর সহসভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকায় ঠিকমতো ক্লাস করা হয়ে ওঠেনি। বরাবরের মতো এবারও সহকর্মীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে পরীক্ষার আগের কয়েকটা সপ্তাহ পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলাম। পরীক্ষার ফরম পূরণের পালা শেষ হয়েছে। মাসখানেক পরে পরীক্ষা। আমার বিভাগীয় শিক্ষকরা সবাই আমার প্রতি খুব সহানভূতিশীল ছিলেন। আমার পার্সেন্টেজ (ক্লাসে উপস্থিতি) খুব কম ছিল। শিক্ষকরা বিশেষ বিবেচনায় সেটা মার্জনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করেন। এমন সময় এই বিপত্তি।

জেলখানা থেকে পরীক্ষা দেবার অনুমতি চাইলাম। বিজ্ঞানের ছাত্রদের জেলে বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো না। কারণ জেলের ভেতরে প্রাকটিকাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় না। জেল কর্তৃপক্ষ আমার প্রতি সদয় ছিলেন। তারা সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে জানালেন যে, যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজি হন তাহলে প্রাকটিকাল পরীক্ষার দিনে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা-নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা তারা করবেন। শুনেছিলাম গভর্নর মোনায়েম খাঁ, যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জেলে গেছি, তিনিও এতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজি হলেন না। বললেন, ওকে জেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আনা হলে গোলযোগ হবে, আমি দায়িত্ব নিতে পারব না। ফলে আমার আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। প্রিলিমিনারিতে ফার্স্টস ক্লাস পাওয়া সত্ত্বেও আমার পদার্থবিদ্যার পাঠ সেখানেই সমাপ্তি। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। আমার খুব ইচ্ছা ছিল পদার্থবিদ্যায় আরও পড়াশোনা করব। তা আর হলো না। এ বিষয়টি রিভিউ বোর্ডকে জানাতে গিয়ে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলাম। সম্ভবত সেজন্যই অপ্রত্যাশিত মুক্তি।

সে বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দিক থেকেই জেলখানা হঠাৎ করে খুব 'গরম' হয়ে উঠেছিল। কী ঘটেছে ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। নানা গুজব ডালপালা বিস্তার করছে। নিত্য নতুন লোককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তন্মধ্যে সামরিক বাহিনীর লোকজনই বেশি। জেলখানার ভেতরে মুখে মুখে এ নিয়ে নানা আলোচনা। ওরা নাকি আইয়ুব খানকে বোমা মেরে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের একজোট করে অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইত্যাদি। তাদের জেল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাইরে নিয়ে ভীষণভাবে টর্চার করা হচ্ছে। যখন ফেরত আনা হচ্ছে তখন আর লোকটিকে চেনাই যাচ্ছে না। (একজনের চেহারা নাকি এতই বদলে গিয়েছিল যে জেল কর্মকর্তারা তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।) কয়েকজন সিএসপি অফিসার এবং আওয়ামী লীগের কিছু মধ্যম সারির নেতাও আছেন তাদের মধ্যে। তন্মধ্যে চট্টগ্রামের মানিক চৌধুরী, বিধান কৃষ্ণ সেন ও ডা. সৈয়দুর রহমান ছিলেন আমার খুব কাছের ও প্রিয় মানুষ। চট্টগ্রামে থাকতে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তারা চট্টগ্রাম থেকে কোনো কাজে ঢাকায় এলে হলে এসে খোঁজখবর নিতেন। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বৈঠকে শরিক হয়েছিলাম। সে কারণে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। আমাকে আবার তাদের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলবে না তো? জেল থেকে মুক্তি দিয়ে জেল গেটেই আবার অন্য মামলায় গ্রেফতার নতুন কিছু নয়। সেই আশঙ্কা মনে উঁকি দিচ্ছিল।

এমন সময় একজন 'মেট' (জেলখানার কয়েদিদের মধ্য থেকে বাছাই করা ব্যক্তি, যাদের জেলখানার প্রশাসনিক কাজে খাটানো হয়) হাসপাতালের স্লিপ নিয়ে হাজির। আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এ সময় হাসপাতাল! 'মেট' ইসমাইল মিটি মিটি হাসছে। একটা কিছু আঁচ করে তার সঙ্গে ওয়ার্ড থেকে বের হলাম। জেল হাসপাতালটি জেলখানার আরেক প্রান্তে। কিছু দূর যেতেই পাশে শেখ সাহেবের ওয়ার্ড। যা অনুমান করেছিলাম তাই। দেখলাম তিনি তার ওয়ার্ডের গেট খুলে দাঁড়িয়ে আছেন। ঝট করে গেটের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। মুজিব ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকলেন, তুমি এ সময় বাইরে যাচ্ছ। এটা খুব খুশির ব্যাপার। আমরা সবাই তো জেলে। সংগঠনের দিকে খেয়াল রাখবে। তোমার ওপর অনেক চাপ পড়বে। সামনে খারাপ সময় আসছে। ওরা তোমাকে আবার আটকাতে পারে। তোমাকে বাইরে থাকতে হবে। খুব সাবধানে থাকবে। কিছুতেই ধরা দেবে না ইত্যাদি।

তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিয়ম রক্ষার জন্য জেল হাসপাতাল ঘুরে আসলাম। ফেরার পথে অন্য ওয়ার্ডের গ্রিল ধরে বন্ধুরা চিৎকার করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। শেখ মণি, ওবায়দুর রহমান, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, নূরে আলম সিদ্দিকী, আরও অনেকে। সবার এক কথা_ 'তুমি সাবধানে থাকবে। সবাইকে আমাদের সালাম জানাবে'। মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। ওদের ভেতরে রেখে বাইরে যাচ্ছি। মুক্তির আনন্দটা যেন ম্লান হয়ে গেল। আমার মুক্তির খবর বাইরে দেওয়ার কোনো সময় পাওয়া যায়নি। অন্যবারে খবর পেয়ে বন্ধুরা জেলগেটে ভিড় করেছে। সেদিন কেউ নেই। পরদিন ছিল ঈদ। একটা রিকশা চেপে ফজলুল হক হলে গিয়ে দেখলাম সব খাঁ খাঁ করছে। রিকশা ঘুরিয়ে চলে গেলাম বনগ্রাম রোডে হাসুদের বাড়ি। শামসুল আলম হাসু তখন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র। আমাদের নগর কমিটির প্রাণ। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা মাওলানা তর্কবাগীশের ছেলে। বাড়ির গেট খুললেন মাওলানা তর্কবাগীশ নিজে। আমাকে দেখেই শিশুর মতো চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাকতে থাকলেন, হাসু, আলম, দ্যাখো দ্যাখো, কে এসেছে!

রাতে সেখানে থেকে পরদিন পল্টন ময়দানে মাওলানা সাহেবের পাশে বসে ঈদের নামাজ পড়লাম। তারপর চট্টগ্রামে বাবা-মা, ভাই-বোনদের দেখার জন্য ছুটলাম। সেখানে তিন-চার দিন থাকার পরই একদিন কাগজের হেডলাইন : 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা'! 'শেখ মুজিব প্রধান আসামি'! বুঝলাম মুজিব ভাই কেন 'সামনে খারাপ সময়' বলেছিলেন।

সেদিনই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সহকর্মীদের নিয়ে ফজলুল হক হলে গিয়ে দেখলাম আমার কক্ষটি অন্য একজনকে বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। তোফায়েল আহমদ তখন ইকবাল হলের ভিপি (এখনকার সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)। বলল, 'আমাদের হলে চলেন। সেখানে আপনি আমার রুমে থাকবেন। আমি পাশের রুমে থাকব'। সবাই তাতে সায় দিল। তখনকার দিনে ইকবাল হল ছিল ছাত্র সংগঠনগুলোর অলিখিত কার্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বাকি কয়েকটা মাস সেখানে থেকেই সংগঠনের কাজ চালিয়েছি।

ছাত্রলীগের সিনিয়র সহকর্মীরা সবাই তখন জেলে। ভয়ানক দুঃসময়। এই দুঃসময়ে কীভাবে কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে লড়াকু সহযোদ্ধারা এগিয়ে এসেছে। কার নাম বাদ দিয়ে কার নাম বলব!

শুরু হয়ে গেল আমাদের যুদ্ধ। 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার' বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সে যুদ্ধের কাহিনী এবং কাহিনীর পেছনের কাহিনী অনেক দীর্ঘ। পত্রিকার কলামে দু-চার কিস্তিতে লেখার মতো নয়। এই মামলাকে কেন্দ্র করে আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম পেয়েছে নতুন মাত্রা। এর মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির আত্দ-পরিচয়ের লড়াই চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। ছাত্র-তরুণ-যুব সম্প্রদায়ের আবেগ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সর্বস্তরের মানুষের মনে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশ স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছে। স্বায়ত্তশাসনের দাবির উত্তরণ ঘটেছে 'স্বাধীনতার' দাবিতে। সে কাহিনী বিস্তারিত বর্ণনার ইচ্ছা রইল।

ওরা এখন কোথায়?

দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিষয়টি ফুটনোটের অধিক গুরুত্ব পায় না। এ নিয়ে আশির দশকে একটা নিবন্ধ লিখেছিলাম। যা চার কিস্তিতে ছাপা হয়েছিল 'সাপ্তাহিক রোববার' পত্রিকায়_ 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা : ওরা এখন কোথায়?' এই শিরনামে (সাপ্তাহিক রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর, ৫ অক্টোবর, ১২ অক্টোবর ও ১৯ অক্টোবর, ১৯৮৬)। সেই লেখায় আক্ষেপ ছিল_ ওই মামলায় অভিযুক্ত হয়ে যারা সেদিন পাক বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার দুঃসাহস দেখিয়ে আমাদের দুঃসাহসের পথ দেখিয়েছেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনটি ঘটিয়েছেন, এই জাতি তাদের সম্মান বা মর্যাদা দিতে এত কৃপণ কেন? আমাদের আন্দোলনের মুখে 'ষড়যন্ত্র মামলার ষড়যন্ত্র' নস্যাৎ হওয়ার পর সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে (আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সংবর্ধনা সভার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই ঘটেছে আমাদের কৃপণতার নিষ্ঠুর বহিঃপ্রকাশ। সবার প্রত্যাশা ছিল সেই বিশাল জনসমাবেশের মঞ্চে থাকবেন মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ আসামি। ইতিহাসের এই নায়কদের সবাই এক নজর দেখতে উদগ্রীব ছিলেন। ভেবেছিলাম আমাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান নিজে তার এই সহবন্দীদের এক এক করে জাতির সামনে তুলে ধরবেন। কিন্তু তা হয়নি। তাদের মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি। নেতা একাই মঞ্চে উঠলেন। তাদের অনেকে জনতার কাতারে এতিমের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আক্ষেপ করে লিখেছিলাম, 'ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তদের কাউকেই মঞ্চে দেখলাম না, একমাত্র রুহুল কুদ্দুস সাহেব ছাড়া'। কয়েক দিন পর 'সাপ্তাহিক রোববার' অফিসের মাধ্যমে একখানা চিঠি পেলাম। চিঠিটা লিখেছেন স্বয়ং রুহুল কুদ্দুস সাহেব। তিনি পাকিস্তান সরকারের জাঁদরেল সিএসপি অফিসারদের একজন। বলা হয়, শেখ সাহেবের ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' দাবিনামা তিনি এবং আরও দুই সিএসপি শামসুর রহমান খান ও আহমদ ফজলুর রহমান তৈরি করেছিলেন। তারা তিনজনই ওই মামলায় আসামি হয়ে চাকরিচ্যুত ও চরম নিগ্রহের শিকার হন। রুহুল কুদ্দুস সাহেব আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং বিলম্বে হলেও তাদের স্মরণ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সব শেষে লিখেছেন, 'তবে আপনি যে লিখেছেন আমি ওই দিন সভামঞ্চে ছিলাম, তা ঠিক নয়। আমিও সেদিন অন্যদের মতো মঞ্চের বাইরে জনতার কাতারেই ছিলাম'!

ওরা সব স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন চিরদিনের মতো স্তব্ধ করে দেওয়া। 'রক্তের ভাষায়' ৬-দফার জবাব দেওয়ার হুংকার দিয়েছিলেন আইয়ুব খান। তারই প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই 'ষড়যন্ত্র মামলার ষড়যন্ত্র'। মূল টার্গেট শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা সেদিনের ছাত্র সমাজ, বিশেষ করে সেদিনের ছাত্রলীগের অকুতোভয় সৈনিকরা, তার বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে নেমেছিলাম। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা তো বটেই, দ্বিতীয় সারির নেতারাও প্রায় সবাই তখন কারাগারে। তাই এ যুদ্ধের দায়-দায়িত্ব বারোআনাই পড়েছিল ছাত্রসমাজের ওপর।

কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় 'মুজিব ভাইকে' যে কথা দিয়েছিলাম তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। সামরিক সরকারের নির্মম দমন-পীড়ন ও দলের ভেতরে ভাঙন ধরানোর নানামুখী প্রয়াস ঠেকিয়ে আন্দোলন জোরদার করার জন্য আমরা সারা দেশ চষে বেড়িয়েছি। সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছিলাম। কীভাবে জয়ী হয়েছিলাম, সেজন্য কতটা জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে, কী অমানুষিক শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়েছে, সে কাহিনী স্বাধীনতার সর্বোচ্চ বেনিফিশিয়ারি আজকের শাসকশ্রেণি ভুলেও মনে করতে চায় না। বঙ্গবন্ধুর পরিবারও না। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে সেদিন আমরা যদি সেই যুদ্ধে জয়ী হতে না পারতাম, তথাকথিত 'ষড়যন্ত্র মামলার' বিশেষ আদালতে পাকিস্তানি বিচারপতি এস এ রহমান যদি তার 'পূর্ব-নির্ধারিত' রায় পড়ে শোনানোর সুযোগ পেতেন, তাহলে ওই অভিযুক্তদের কাউকেই হয়তো আর আমরা ফিরে পেতাম না। তার জের কি শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারকেই সবচেয়ে বেশি বহন করতে হতো না? যেমন বহন করতে হচ্ছে কর্নেল তাহের, জেনারেল মনজুর এবং অন্য অনেক পিতৃহারা পরিবারকে?

আল্লাহতায়ালা অনেক মেহেরবান। তিনি শেখ হাসিনাকে স্বজন হারানোর রক্তক্ষরা বেদনার মূল্যে জয়মাল্য দিয়েছেন। সেজন্য তিনি শোকর-গোজার করবেন। তবে ক্ষমতার মঞ্চের চোখ-ধাঁধানো আলোকচ্ছটায় ইতিহাস ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। সেই চরম দুঃসময়ে ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্মাণ-শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তার পক্ষেও নয়।

লেখক : রাজনীতিক, ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর