মেয়র এম,মনজুর আলম বলেছেন, মুলত, চট্টগ্রাম উন্নয়নের ড্রেনেজ মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার সংকট কাটবে। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ। এছাড়াও বহদ্দারহাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত ২৯৭ কোটি টাকার বিকল্প একটি খাল খননের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আরো দুটি নতুন খাল খননের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার দায় নিতে নারাজ চট্টগ্রামের মেয়র শুরু থেকেই চসিকের মাধ্যমে উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতার অভিযোগ করে আসছিলেন। মেয়রের দাবি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) তুলনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)-এর জন্য সরকারি বরাদ্দ চার বছরে ছিলো নগণ্যই। গেল চার বছরে সরকারিভাবে চসিক বরাদ্দ পেয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে চউককে শুধু চারটি ফ্লাইওভারের জন্যই বরাদ্দ দেয়া হয় ৭২৮ কোটি টাকা। মনজুর আলম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের উদ্যোগ ও আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত চসিকের প্রথম সভায় এ লক্ষ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র জানান, পাহাড়ি ঢলের বিপরীতে ক্রমে কর্ণফূলী ও খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিস্কাশন গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।