ডাকসুসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ কার্যকর না থাকায় ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্বের যে বন্ধ্যত্ব তৈরি হয়েছে তা দূরীকরণে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সঠিকভাবে ছাত্র রাজনীতিকে উপস্থাপন ও পরিচালনা করতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষকরা তা না চাওয়ায় নির্বাচন সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদও চান না ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। কারণ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে যোগ্যরা উঠে আসবে, যারা জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। এর ফলে রাজনীতিতে ব্যবসায়ী চক্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ছাত্রলীগ চায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক, ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও ছাত্রনেতা হিসেবে আমিও চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রদলের অসহযোগিতাও ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার অন্যতম কারণ। ছাত্রদলের নেতৃত্বে বর্তমানে ছাত্ররা নেই। বয়স্ক, অছাত্র ও বাবারা এখন সংগঠনটির নেতৃত্বে। ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখন চালু ছিল তখন তোফায়েল আহমেদের মতো ছাত্রনেতারা উঠে আসেন এবং বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে জ্বলজ্বল করে জ্বলছেন। সিদ্দিকী নাজমুল বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির কারণে এর প্রভাব পড়ছে জাতীয় রাজনীতিতেও।
ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি প্রথমে সুকৌশলে প্রবেশ করান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র আর টাকা তুলে দিয়েছিলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা আর কলম তুলে দেন। ছাত্র রাজনীতিকে বেশি কলুষিত করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ছাত্রলীগ যে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস থেকে শতভাগ মুক্ত তা বলব না। তবে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে থাকি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগ নামধারীদের ফাঁসির রায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।