শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

বান কি মুন কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ দেখতে চান!

মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান
অনলাইন ভার্সন
বান কি মুন কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ দেখতে চান!

সম্প্রতি জাতিসংঘ সদর দফতরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে এক আলোচনায় আগামী নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা হবে বলে জানান। দেশের সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। সংবিধানের পঞ্চম ভাগে আইনসভা এবং তার প্রথম পরিচ্ছেদ- সংসদ গঠনের সাংবিধানিক ক্ষমতার ৬৫ (১) ধারায় পরিষ্কার বলা আছে যে, 'জাতীয় সংসদ নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকিবে এবং এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত হইবে'। একই ধারার (২) উপধারায় বলা আছে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকারিতা কালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন'।

রাষ্ট্রপতি সংসদ গঠনের জন্য সংবিধানের ১১৯(১)(খ) ধারায় সংসদ-সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানের ১১৮ ধারা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগদান করে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। ওই নির্বাচন কমিশন ৫ জানুয়ারি-২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করিয়ে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্তে ওই নির্বাচনকে বৈধ বলে ঘোষণা ও স্বীকৃতি দিয়েছেন। যদিও অনেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এমন কি অনেক রাজনৈতিক দল তখন নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সাংগঠনিক অক্ষমতার কারণে সেদিন তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি যা ছিল ওই সব দলের ব্যর্থতা। সেদিন কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিনিধি তারানকো দুটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক ও সংলাপ করে সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারেননি। তারানকো তার ব্যর্থ মিশনের পরে সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে না পারার কথা স্বীকার করে সরকারকে একতরফা নির্বাচনের কথা বলে গিয়েছিলেন। তিনি ১১ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখে বলে গিয়েছিলেন 'বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট-কাল উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব' এবং তিনি আরও বলেছিলেন, 'বর্তমান সংকট-কাল উত্তরণের জন্য প্রয়োজন লাগাতার সংলাপ যা আমি সফলতার সঙ্গে শুরু করে যেতে পারলাম'। সেদিন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেছিলেন, 'নেতৃত্বের বিষয়টিই সংকটের মূল কারণ'। তারানকোর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে ১২ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখে ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিয়েছিলাম এবং এর কপি জাতিসংঘের ই-মেইলেও পাঠিয়েছিলাম। তারানকো সেদিন ওই সময়কার রাজনৈতিক সংকট-কালের জন্য বিএনপির নেত্রীকেই দায়ী করে সরকারকে একতরফা নির্বাচনের সবুজ সংকেত দিয়ে গিয়েছিলেন। কোনো সদাশয় মহোদয় এ ব্যাপারে বিস্তারিত অবগত হতে আগ্রহান্বিত হলে ১২ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখের আমার স্টেটাসটি দেখার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ রাখব।

সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঐকমত্যে পেঁৗছতে হলে সংলাপের চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প নেই এবং এটি জানার জন্য বাল্যশিক্ষারও প্রয়োজন নেই। তবে শক্তির কাছে যে সংলাপের কোনো গুরুত্ব নেই তা জানার জন্য অনেক বিদ্যা-বুদ্ধির প্রয়োজন পড়ে, তা না হলে মার খেয়ে সে সত্যি উপলব্ধি করতে হয়।

কোনো রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সরকার মনে করেনি। প্রধানমন্ত্রী যোগ্যতার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট-কাল অতিক্রম করে আসছেন। বিএনপি শত চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সফলতায় কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারছে না। আগামী সাড়ে চার বছরেও প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে কোনো সমস্যা মনে করছেন না, এমন কি আগামীতে তিনি বিএনপির অস্তিত্বই দেখতে পাচ্ছেন না। বিষয়টি কোনো ভবিষ্যৎ কল্পকথা নয়। বিএনপির বর্তমান হাল-হকিকত, সাংগঠনিক ক্ষমতার ধস, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের তীব্র অভাব, নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে পারস্পরিক অশ্রদ্ধা, দলের ওপর চেয়ারপারসনের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ, যোগ্য উত্তরসূরির অনিশ্চিত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং সর্বোপরি তথাকথিত আন্দোলনের ফাঁকা বুলি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে এখন আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন না এবং মনে করার কোনো কারণও নেই। তাই বিএনপি কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন না। যার ফলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর নেই।

সংলাপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বসে নেই। তিনি ভালো করেই জানেন আগামী দিনে তাকে সামলাতে হবে কোনো বড় রাজনৈতিক সমস্যা। তাই তিনি ইতিমধ্যেই ওই সমস্যার একটি আপস সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো মনে করেন জামায়াত আগামী দিনে তার অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ওই বাধাকে অতিক্রম করার জন্য তিনি যে ইতিমধ্যেই জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ শুরু করে দিয়েছেন এবং সেই সংলাপের সুফলও তিনি পাচ্ছেন তার ইতিবাচক নিদর্শন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জামায়াত প্রকাশ্যে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য ভেঙে চলে না এলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে প্রকাশ্যে বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে একা চলা শুরু করে দিয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না গেলেও গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে নামিয়ে দিয়ে জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করে জয়ের সুফল তার নিজ ঘরে তুলে নিয়েছে। জামায়াত তথাকথিত আন্দোলনের পথ ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ উল্টা পথে সরকারের সঙ্গে হাত মিলাতে তাদের নতুন রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপির সঙ্গে গত পাঁচ বছরে ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বাত্মক সহিংস আন্দোলন করেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের করালগ্রাস থেকে তাদের নেতাদের ও দলকে বাঁচাতে প্রচণ্ডভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। জামায়াতের মূল চালিকাশক্তি গোলাম আযম বৃদ্ধ বয়সে কারা নির্যাতন ভোগ করছেন। জামায়াতের প্রধান থেকে শুরু করে প্রায় সব শীর্ষনেতাই মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা নিয়ে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করছেন। ইতিহাসের ভয়ংকরতম সহিংস আন্দোলন করেও জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকানো যায়নি। আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য জামায়াত মূলত বিএনপিকে দায়ী করে। তাই জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে দিয়ে তথাকথিত সহিংস আন্দোলনের পথ পরিহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সার রাজনীতি থেকে সরে এসে আবারও অস্তিত্ব রক্ষার রাজনীতি চরম বাস্তবতার আলোকে গ্রহণ করেছে। ৫ জানুয়ারির পরে জামায়াত বিএনপির কোনো কার্যক্রমে তেমন কোনো অংশগ্রহণ করেনি এবং আলাদাভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া সরকারবিরোধী কোনো প্রকার আন্দোলনেও অংশ নেয়নি। সরকারের সঙ্গে অাঁতাতের নতুন রাজনীতির সুফল জামায়াত ইতিমধ্যেই দর্শনীয়ভাবে পেতে শুরু করেছে। আইনমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আইনগত ক্ষমতা সরকারের নেই। ব্যাপক আন্দোলন করেও হেফাজতে ইসলামের মতো একটি বিশাল ধর্মীয় শক্তি যেখানে গণজাগরণ মঞ্চকে শাহবাগ থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি, সরকার সেখানে নিজে থেকেই তারুণ্যের নতুন মুক্তিযোদ্ধা গণজাগরণ মঞ্চকে ঠেঙ্গিয়ে নরসিংদী নিয়ে গেছে। জামায়াতের আমির নিজামী সাহেবের অসুস্থতার জন্য রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে তড়িঘড়ি করে দেওয়া ফাঁসির আদেশের আপিল এখনো সদয় বিবেচনাধীন। সচেতন মানুষের ধারণা, ফাঁসির আদেশের আপিল হয়তো অনেক ধুলার নিচে মাটিচাপা পড়ে যেতে পারে।

জামায়াতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সমস্যা বা সংকটের মূলত দুটি দিক। প্রথমত হলো, প্রধানমন্ত্রী যদি তার ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মহীন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথামতো জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করেন তাহলে জামায়াত দেশে কতটা সংকট সৃষ্টি করতে পারবে এবং ওই সংকট উত্তরণে কী পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করা প্রয়োজন পড়বে। দ্বিতীয়ত ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মহীন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথামতো জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর না করেন তাহলে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার জন্য কতটুকু সংকট সৃষ্টি করতে পারবে এবং সেই সংকটে প্রধানমন্ত্রীর কতটুকু ক্ষতি হবে। উভয়দিকের সংকটের চুলচেরা বিশ্লেষণই বর্তমান রাজনীতিতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে দিবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে পরিকল্পনার ছক অাঁকছেন যদিও অতি উৎসাহীরা মাঝে-মধ্যে ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী তাতে খুব বিচলিত বলে মনে হয় না।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সংলাপ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রকাশ্য বক্তব্য দেওয়ার পরে একই ব্যাপারে বিপরীত বক্তব্য দেওয়ায় মহাসচিবের অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে তা জনগণের সামনে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিও সার্বভৌম ও স্বাধীন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য জনগণের বক্তব্য। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে জনগণ দুঃখ ও কষ্ট পেতে পারে, এমনকি সেই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমতও পোষণ করতে পারে কিন্তু তা কখনোই অমান্য করতে পারে না। রাষ্ট্রপতি বান কি মুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সেই সাক্ষাতের আলোচনাও ছিল সৌজন্যমূলক। কিন্তু বান কি মুন সাহেব সেই আলোচনায় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছেন তা সত্যিই নিন্দনীয়। বান কি মুন ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে তথাকথিত সংলাপের নামে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীকে উসকিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। জাতিসংঘ একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রতিটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অশান্তি থেকে প্রতিটি রাষ্ট্রকে মুক্ত রাখা। ৫ জানুয়ারি-২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশে যখন প্রচণ্ড সহিংস রাজনীতি চলছিল তখন পরম পরাক্রমশালী মহাসচিব সেই সহিংসতা নিরসনে কিছুই করতে পারেননি। তিনি তখন দেশের সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায় কিছুই করেননি। অথচ বান কি মুন সাহেবের বিশেষ দূত তারানকো তখন বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট-কাল উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব' এবং 'নেতৃত্বের বিষয়টিই সংকটের মূল কারণ'।

সেদিন তারানকো নেতৃত্বের বিষয়টি সংকটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সংকট উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব বলে প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন। সে প্রেসক্রিপশন মোতাবেক দেশের রাজনীতিতে শান্তি ফিরে এসেছে। স্বভাবতই বান কি মুনের উসকানিমূলক বক্তব্যের হেতু নিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারিত হয়েছে।

৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে হয়েছে এবং উচ্চ আদালতও এই সংসদকে বৈধতা দিয়েছে। আমি হয়তো ব্যক্তিগতভাবে এই সংসদকে মেনে নিচ্ছি না। আমার ব্যক্তিগত মতামত- এই সংসদ নির্বাচন আমার সুবিধামতো হয়নি এবং এ জন্য সংসদ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্বাচন প্রতিহত করারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচন প্রতিহত করতে পারিনি এবং সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো নির্বাচন প্রতিহত কর্মকাণ্ডে আমাকে সাহায্য করতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। মনে হয় আমার এই ব্যক্তিগত অবস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক সাধারণ মানুষ একমত আছেন, হয়তো দেশের জ্ঞানী, গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিরাও একমত, সুশীল সমাজের বাঘা বাঘা সচেতন বুদ্ধিজীবীরাও একই মত পোষণ করেন, হয়তো অনেক রাজনৈতিক নেতাও একমত। কিন্তু আমরা তো সম্মিলিতভাবে কেউ এক পতাকার তলে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের বিপক্ষের শক্তিকে প্রমাণ করতে পারিনি। গণতন্ত্রের হিসাব বড় বেশি অসভ্য, মূর্খ, অশালীন এবং জঙ্গি! গণতন্ত্রে মাথাগুলো কাদের সেটি বিচার্য নয়, মাথা কতগুলো সেটি বিচার্য। ঘরে বসে লক্ষ কোটি না এর কোনো মূল্য নেই। কিন্তু ব্যালট পেপারে একটি নাম বা মার্কা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাঙ্ েএকটি সিল মারা ব্যালট পেপারই বিজয়ের জন্য যথেষ্ট। এই বিজয় বক্তৃতা, বিবৃতি, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম বা প্রেসক্লাব বা গণমাধ্যমে সুন্দর সুন্দর বা তির্যক বচন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাবে না, ঠেকাতে হলে রাজপথে মাথা গুনতে হবে এবং সেই মাথার কতগুলো রাজপথে লুটে পড়েছে তার হিসাব করতে হবে। তাই বান কি মুন সাহেব বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পাল্টাতে রাজপথে মাথা গোনার জন্য সংলাপের তাগিদ দিচ্ছেন।

বর্তমান সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে জাতিসংঘের সমস্যা কোথায়? আমরা যারা এই সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই আমরাও তো সাত বছর আগে ক্ষমতায় ছিলাম। ওই সময় তো বান কি মুন সাহেবই জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। কই সেদিন তো তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়াননি। এমনকি বর্তমান সরকারি দলের পক্ষেও দাঁড়াননি। উল্টা উভয় দলের নেতা-কর্মীদের ঠেঙ্গাতে সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু সেদিন দেশের সাধারণ জনগণের সামনে সেনাবাহিনীকেও ঠেকিয়ে রাখতে তো পারেনইনি, উল্টা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এমনভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন যে, এখনো তা পুনরুদ্ধার করতে পারা যায়নি। সরকার পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচন দিতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। কিন্তু পাঁচ বছরের আগে নির্বাচন দিতে হলে জনগণকে রাস্তায় নেমে সহিংস আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার নিশ্চয়ই সুবোধ বালকের মতো বসে বসে সেই আন্দোলন গড়ে ওঠা দেখবে না। আন্দোলন ও আন্দোলন ঠেকাও- এই নিয়ে বাধবে লড়াই। সৃষ্টি হবে অশান্তির। সাম্প্রতিক সময়ের ইউক্রেন ও ইরাকের অভিজ্ঞতা আমাদের আগাম সতর্কতা দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে পাশের শক্তিধররা যে কোনো পক্ষকে সাহায্য করতে এতটুকু দেরি করবে না। তাই কি সংলাপের এত প্রয়োজনীয়তা? তাবৎ বিশ্ব জানে, হয় সংলাপ যুদ্ধের আগে হবে, না হলে যুদ্ধের পরে হবে। সংলাপ করে যদি ফায়সালা না হয় তা হলে তো যুদ্ধ করেই ফায়সালা করতে হবে এবং আবার সংলাপ করে যুদ্ধ থামাতে হবে।

এখন তো আমাদের কোনো যুদ্ধ নাই, তা হলে কি আগামীতে কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছেন যুদ্ধের বাজারের সওদাগর বান কি মুন!

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী)।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর