শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

বান কি মুন কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ দেখতে চান!

মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান
অনলাইন ভার্সন
বান কি মুন কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ দেখতে চান!

সম্প্রতি জাতিসংঘ সদর দফতরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে এক আলোচনায় আগামী নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা হবে বলে জানান। দেশের সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। সংবিধানের পঞ্চম ভাগে আইনসভা এবং তার প্রথম পরিচ্ছেদ- সংসদ গঠনের সাংবিধানিক ক্ষমতার ৬৫ (১) ধারায় পরিষ্কার বলা আছে যে, 'জাতীয় সংসদ নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকিবে এবং এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত হইবে'। একই ধারার (২) উপধারায় বলা আছে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকারিতা কালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন'।

রাষ্ট্রপতি সংসদ গঠনের জন্য সংবিধানের ১১৯(১)(খ) ধারায় সংসদ-সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানের ১১৮ ধারা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগদান করে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। ওই নির্বাচন কমিশন ৫ জানুয়ারি-২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করিয়ে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্তে ওই নির্বাচনকে বৈধ বলে ঘোষণা ও স্বীকৃতি দিয়েছেন। যদিও অনেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এমন কি অনেক রাজনৈতিক দল তখন নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সাংগঠনিক অক্ষমতার কারণে সেদিন তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি যা ছিল ওই সব দলের ব্যর্থতা। সেদিন কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিনিধি তারানকো দুটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক ও সংলাপ করে সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারেননি। তারানকো তার ব্যর্থ মিশনের পরে সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে না পারার কথা স্বীকার করে সরকারকে একতরফা নির্বাচনের কথা বলে গিয়েছিলেন। তিনি ১১ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখে বলে গিয়েছিলেন 'বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট-কাল উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব' এবং তিনি আরও বলেছিলেন, 'বর্তমান সংকট-কাল উত্তরণের জন্য প্রয়োজন লাগাতার সংলাপ যা আমি সফলতার সঙ্গে শুরু করে যেতে পারলাম'। সেদিন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেছিলেন, 'নেতৃত্বের বিষয়টিই সংকটের মূল কারণ'। তারানকোর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে ১২ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখে ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিয়েছিলাম এবং এর কপি জাতিসংঘের ই-মেইলেও পাঠিয়েছিলাম। তারানকো সেদিন ওই সময়কার রাজনৈতিক সংকট-কালের জন্য বিএনপির নেত্রীকেই দায়ী করে সরকারকে একতরফা নির্বাচনের সবুজ সংকেত দিয়ে গিয়েছিলেন। কোনো সদাশয় মহোদয় এ ব্যাপারে বিস্তারিত অবগত হতে আগ্রহান্বিত হলে ১২ ডিসেম্বর-২০১৩ তারিখের আমার স্টেটাসটি দেখার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ রাখব।

সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঐকমত্যে পেঁৗছতে হলে সংলাপের চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প নেই এবং এটি জানার জন্য বাল্যশিক্ষারও প্রয়োজন নেই। তবে শক্তির কাছে যে সংলাপের কোনো গুরুত্ব নেই তা জানার জন্য অনেক বিদ্যা-বুদ্ধির প্রয়োজন পড়ে, তা না হলে মার খেয়ে সে সত্যি উপলব্ধি করতে হয়।

কোনো রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সরকার মনে করেনি। প্রধানমন্ত্রী যোগ্যতার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট-কাল অতিক্রম করে আসছেন। বিএনপি শত চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর সফলতায় কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারছে না। আগামী সাড়ে চার বছরেও প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে কোনো সমস্যা মনে করছেন না, এমন কি আগামীতে তিনি বিএনপির অস্তিত্বই দেখতে পাচ্ছেন না। বিষয়টি কোনো ভবিষ্যৎ কল্পকথা নয়। বিএনপির বর্তমান হাল-হকিকত, সাংগঠনিক ক্ষমতার ধস, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের তীব্র অভাব, নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে পারস্পরিক অশ্রদ্ধা, দলের ওপর চেয়ারপারসনের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ, যোগ্য উত্তরসূরির অনিশ্চিত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং সর্বোপরি তথাকথিত আন্দোলনের ফাঁকা বুলি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে এখন আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন না এবং মনে করার কোনো কারণও নেই। তাই বিএনপি কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন না। যার ফলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর নেই।

সংলাপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বসে নেই। তিনি ভালো করেই জানেন আগামী দিনে তাকে সামলাতে হবে কোনো বড় রাজনৈতিক সমস্যা। তাই তিনি ইতিমধ্যেই ওই সমস্যার একটি আপস সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো মনে করেন জামায়াত আগামী দিনে তার অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ওই বাধাকে অতিক্রম করার জন্য তিনি যে ইতিমধ্যেই জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ শুরু করে দিয়েছেন এবং সেই সংলাপের সুফলও তিনি পাচ্ছেন তার ইতিবাচক নিদর্শন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জামায়াত প্রকাশ্যে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য ভেঙে চলে না এলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে প্রকাশ্যে বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে একা চলা শুরু করে দিয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না গেলেও গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে নামিয়ে দিয়ে জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করে জয়ের সুফল তার নিজ ঘরে তুলে নিয়েছে। জামায়াত তথাকথিত আন্দোলনের পথ ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ উল্টা পথে সরকারের সঙ্গে হাত মিলাতে তাদের নতুন রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপির সঙ্গে গত পাঁচ বছরে ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বাত্মক সহিংস আন্দোলন করেও যুদ্ধাপরাধের বিচারের করালগ্রাস থেকে তাদের নেতাদের ও দলকে বাঁচাতে প্রচণ্ডভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। জামায়াতের মূল চালিকাশক্তি গোলাম আযম বৃদ্ধ বয়সে কারা নির্যাতন ভোগ করছেন। জামায়াতের প্রধান থেকে শুরু করে প্রায় সব শীর্ষনেতাই মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা নিয়ে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করছেন। ইতিহাসের ভয়ংকরতম সহিংস আন্দোলন করেও জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকানো যায়নি। আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য জামায়াত মূলত বিএনপিকে দায়ী করে। তাই জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে দিয়ে তথাকথিত সহিংস আন্দোলনের পথ পরিহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সার রাজনীতি থেকে সরে এসে আবারও অস্তিত্ব রক্ষার রাজনীতি চরম বাস্তবতার আলোকে গ্রহণ করেছে। ৫ জানুয়ারির পরে জামায়াত বিএনপির কোনো কার্যক্রমে তেমন কোনো অংশগ্রহণ করেনি এবং আলাদাভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া সরকারবিরোধী কোনো প্রকার আন্দোলনেও অংশ নেয়নি। সরকারের সঙ্গে অাঁতাতের নতুন রাজনীতির সুফল জামায়াত ইতিমধ্যেই দর্শনীয়ভাবে পেতে শুরু করেছে। আইনমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আইনগত ক্ষমতা সরকারের নেই। ব্যাপক আন্দোলন করেও হেফাজতে ইসলামের মতো একটি বিশাল ধর্মীয় শক্তি যেখানে গণজাগরণ মঞ্চকে শাহবাগ থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি, সরকার সেখানে নিজে থেকেই তারুণ্যের নতুন মুক্তিযোদ্ধা গণজাগরণ মঞ্চকে ঠেঙ্গিয়ে নরসিংদী নিয়ে গেছে। জামায়াতের আমির নিজামী সাহেবের অসুস্থতার জন্য রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে তড়িঘড়ি করে দেওয়া ফাঁসির আদেশের আপিল এখনো সদয় বিবেচনাধীন। সচেতন মানুষের ধারণা, ফাঁসির আদেশের আপিল হয়তো অনেক ধুলার নিচে মাটিচাপা পড়ে যেতে পারে।

জামায়াতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সমস্যা বা সংকটের মূলত দুটি দিক। প্রথমত হলো, প্রধানমন্ত্রী যদি তার ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মহীন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথামতো জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করেন তাহলে জামায়াত দেশে কতটা সংকট সৃষ্টি করতে পারবে এবং ওই সংকট উত্তরণে কী পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করা প্রয়োজন পড়বে। দ্বিতীয়ত ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মহীন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথামতো জামায়াতকে নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর না করেন তাহলে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার জন্য কতটুকু সংকট সৃষ্টি করতে পারবে এবং সেই সংকটে প্রধানমন্ত্রীর কতটুকু ক্ষতি হবে। উভয়দিকের সংকটের চুলচেরা বিশ্লেষণই বর্তমান রাজনীতিতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে দিবে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে পরিকল্পনার ছক অাঁকছেন যদিও অতি উৎসাহীরা মাঝে-মধ্যে ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী তাতে খুব বিচলিত বলে মনে হয় না।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সংলাপ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রকাশ্য বক্তব্য দেওয়ার পরে একই ব্যাপারে বিপরীত বক্তব্য দেওয়ায় মহাসচিবের অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে তা জনগণের সামনে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিও সার্বভৌম ও স্বাধীন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য জনগণের বক্তব্য। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে জনগণ দুঃখ ও কষ্ট পেতে পারে, এমনকি সেই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমতও পোষণ করতে পারে কিন্তু তা কখনোই অমান্য করতে পারে না। রাষ্ট্রপতি বান কি মুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সেই সাক্ষাতের আলোচনাও ছিল সৌজন্যমূলক। কিন্তু বান কি মুন সাহেব সেই আলোচনায় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছেন তা সত্যিই নিন্দনীয়। বান কি মুন ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে তথাকথিত সংলাপের নামে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীকে উসকিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। জাতিসংঘ একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রতিটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অশান্তি থেকে প্রতিটি রাষ্ট্রকে মুক্ত রাখা। ৫ জানুয়ারি-২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশে যখন প্রচণ্ড সহিংস রাজনীতি চলছিল তখন পরম পরাক্রমশালী মহাসচিব সেই সহিংসতা নিরসনে কিছুই করতে পারেননি। তিনি তখন দেশের সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায় কিছুই করেননি। অথচ বান কি মুন সাহেবের বিশেষ দূত তারানকো তখন বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট-কাল উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব' এবং 'নেতৃত্বের বিষয়টিই সংকটের মূল কারণ'।

সেদিন তারানকো নেতৃত্বের বিষয়টি সংকটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সংকট উত্তরণের সমাধান রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আপসমূলক মনোভাব বলে প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন। সে প্রেসক্রিপশন মোতাবেক দেশের রাজনীতিতে শান্তি ফিরে এসেছে। স্বভাবতই বান কি মুনের উসকানিমূলক বক্তব্যের হেতু নিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারিত হয়েছে।

৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে হয়েছে এবং উচ্চ আদালতও এই সংসদকে বৈধতা দিয়েছে। আমি হয়তো ব্যক্তিগতভাবে এই সংসদকে মেনে নিচ্ছি না। আমার ব্যক্তিগত মতামত- এই সংসদ নির্বাচন আমার সুবিধামতো হয়নি এবং এ জন্য সংসদ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্বাচন প্রতিহত করারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচন প্রতিহত করতে পারিনি এবং সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো নির্বাচন প্রতিহত কর্মকাণ্ডে আমাকে সাহায্য করতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। মনে হয় আমার এই ব্যক্তিগত অবস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক সাধারণ মানুষ একমত আছেন, হয়তো দেশের জ্ঞানী, গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিরাও একমত, সুশীল সমাজের বাঘা বাঘা সচেতন বুদ্ধিজীবীরাও একই মত পোষণ করেন, হয়তো অনেক রাজনৈতিক নেতাও একমত। কিন্তু আমরা তো সম্মিলিতভাবে কেউ এক পতাকার তলে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের বিপক্ষের শক্তিকে প্রমাণ করতে পারিনি। গণতন্ত্রের হিসাব বড় বেশি অসভ্য, মূর্খ, অশালীন এবং জঙ্গি! গণতন্ত্রে মাথাগুলো কাদের সেটি বিচার্য নয়, মাথা কতগুলো সেটি বিচার্য। ঘরে বসে লক্ষ কোটি না এর কোনো মূল্য নেই। কিন্তু ব্যালট পেপারে একটি নাম বা মার্কা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাঙ্ েএকটি সিল মারা ব্যালট পেপারই বিজয়ের জন্য যথেষ্ট। এই বিজয় বক্তৃতা, বিবৃতি, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম বা প্রেসক্লাব বা গণমাধ্যমে সুন্দর সুন্দর বা তির্যক বচন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাবে না, ঠেকাতে হলে রাজপথে মাথা গুনতে হবে এবং সেই মাথার কতগুলো রাজপথে লুটে পড়েছে তার হিসাব করতে হবে। তাই বান কি মুন সাহেব বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পাল্টাতে রাজপথে মাথা গোনার জন্য সংলাপের তাগিদ দিচ্ছেন।

বর্তমান সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে জাতিসংঘের সমস্যা কোথায়? আমরা যারা এই সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই আমরাও তো সাত বছর আগে ক্ষমতায় ছিলাম। ওই সময় তো বান কি মুন সাহেবই জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। কই সেদিন তো তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়াননি। এমনকি বর্তমান সরকারি দলের পক্ষেও দাঁড়াননি। উল্টা উভয় দলের নেতা-কর্মীদের ঠেঙ্গাতে সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু সেদিন দেশের সাধারণ জনগণের সামনে সেনাবাহিনীকেও ঠেকিয়ে রাখতে তো পারেনইনি, উল্টা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এমনভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন যে, এখনো তা পুনরুদ্ধার করতে পারা যায়নি। সরকার পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচন দিতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। কিন্তু পাঁচ বছরের আগে নির্বাচন দিতে হলে জনগণকে রাস্তায় নেমে সহিংস আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার নিশ্চয়ই সুবোধ বালকের মতো বসে বসে সেই আন্দোলন গড়ে ওঠা দেখবে না। আন্দোলন ও আন্দোলন ঠেকাও- এই নিয়ে বাধবে লড়াই। সৃষ্টি হবে অশান্তির। সাম্প্রতিক সময়ের ইউক্রেন ও ইরাকের অভিজ্ঞতা আমাদের আগাম সতর্কতা দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে পাশের শক্তিধররা যে কোনো পক্ষকে সাহায্য করতে এতটুকু দেরি করবে না। তাই কি সংলাপের এত প্রয়োজনীয়তা? তাবৎ বিশ্ব জানে, হয় সংলাপ যুদ্ধের আগে হবে, না হলে যুদ্ধের পরে হবে। সংলাপ করে যদি ফায়সালা না হয় তা হলে তো যুদ্ধ করেই ফায়সালা করতে হবে এবং আবার সংলাপ করে যুদ্ধ থামাতে হবে।

এখন তো আমাদের কোনো যুদ্ধ নাই, তা হলে কি আগামীতে কোনো যুদ্ধের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছেন যুদ্ধের বাজারের সওদাগর বান কি মুন!

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী)।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৫৪ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে