শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

কে বড়- মেয়র মন্ত্রী বিচারপতি না সংসদ

অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন
অনলাইন ভার্সন
কে বড়- মেয়র মন্ত্রী বিচারপতি না সংসদ

উল্লিখিত শিরোনামে একটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি চট্টগ্রামের মেয়র থাকাকালীন পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছিলাম। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়টি লেখার আগে ঘটনাটির অবতারণা করতে চাই। ১৯৯২ সালের শেষ দিকে সকালে মেয়রের দফতরের কাজ করার সময় একটি টেলিফোন এলো অপর প্রান্ত থেকে, বলছিলেন- 'আমি চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল আপনার সাথে দেখা করতে চাই আপনার অফিসে অথবা বাসায়।' আমি তাকে সরাসরি বললাম, এটা সম্ভব নয়, আমার এই জবাবে তিনি অত্যন্ত অবাক হলেন এবং বলতে লাগলেন আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না। আমি সেই ইফতেকার রসুল চট্টগ্রামের প্রথম সাবজজ আদালতে দায়িত্ব পালন করেছিলাম, তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আমি তাকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে বললাম, ভুলে যাওয়াটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, কিন্তু জীবনে এমন কতগুলো ঘটনা স্মৃতিপটে চিরজাগরুক থাকে, যা কোনো দিন ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আরও বললাম, আমি সহকারী জজের পদ থেকে পদত্যাগ করে ১৯৭৮ সালের প্রথম দিকে পুনরায় যখন চট্টগ্রাম জজ আদালতে আইন পেশা শুরু করি, সেই দিনগুলোতে আপনার আদালতে আমার ওকালতি করার ঘটনা এবং আপনার সহানুভূতি ও সহমর্মিতার কথা আমি জীবনে কোনো দিন ভুলব না। আমার এ কথাগুলো শোনার পরও তিনি আমাকে বার বার বলেছিলেন, 'আমার যে আজকের মধ্যেই আপনার সাথে দেখা করা অত্যন্ত জরুরি, আপনি অফিসে বেশি ব্যস্ত থাকলে আপনার প্রদেয় যে কোনো সময়ে আমি আপনার বাসায় দেখা করতে চাই।' এ ধরনের অনুরোধের পরও আমি পুনরায় বললাম, তাও সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মন খারাপ করে টেলিফোন রেখে দিলেন। আমিও টেলিফোন রেখে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ফিরে গেলাম আমার সেই আইন পেশার দিনগুলোতে। চোখের সামনে ভেসে উঠছিল তার মতো অনেক জজ সাহেবের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করলাম চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ অফিসে বা বাসায় আমার সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে বিচারালয়ের সেই আদি গৌরবের মর্যাদাহানি হবে এবং একটি ভুল বার্তা যাবে সমাজে। আমি যখন সিলেটের জজকোর্টে সহকারী জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম তৎকালীন বিএনপির মন্ত্রী তৈয়ুমুর রাজা আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি সেটা এভয়েট করেছি, কেননা আমারই আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি চলছিল। সিলেটের প্রথিতযশা আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিতেন্দ্র বাবু ও পুরকায়স্ত বাবু, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া সাহেব লড়ছিলেন। যাক ওসব কথা, আমি আমার পিএসকে বললাম সুকৌশলে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল সাহেব ওই দিন সন্ধ্যায় কোথায় থাকবেন তার অগোচরে তার স্টাফদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার জন্য। আমার পিএস মহিবুল হক বর্তমানে জয়েন্ট সেক্রেটারি, আমাকে জানালেন, জেলা জজ সাহেব সন্ধ্যায় বাসায় থাকবেন। আমি তাকে কিছু না বলে আমার সন্ধ্যা ও রাতের সব কর্মসূচি বাতিল করলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধ্যার পর যে কোনো সময় জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনে যাব তার সঙ্গে দেখা করার জন্য, কী কারণে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তা জানার জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে তার বাসায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে সকালে যে তার সঙ্গে দেখা না করায় মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন তা মিটে যাবে। আর আমিও জীবনে একটি সুযোগ পেলাম একজন বিচারকের তার প্রাপ্য সম্মান দেখানোর। একদিকে তার প্রদত্ত সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সহানুভূতির ঋণ পরিশোধ করা, অন্যদিকে আদালতের মান-মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার আমার একটি ছোট্ট প্রয়াস। যাক সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আমার মরহুমা সহধর্মিণী ডালিয়াকে জজ সাহেবকে সকালে সাক্ষাৎ প্রদানে অস্বীকৃতি জানার এবং সন্ধ্যায় তার বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করায় ও অত্যন্ত আনন্দিত এবং পুলকিত বোধ করল। আমি রাত ৮টার দিকে আমার বাসা থেকে জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে জজ সাহেবের আর্দালিদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেল। আমি গাড়ি থেকে নেমে বাসভবনের বারান্দায় পৌঁছামাত্রই দেখলাম চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল সাহেব (মরহুম পরে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন) দৌড়ে এসে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, আল্লাহতায়ালা আপনাকে অনেক বড় করবেন। আপনি যেই অসামান্য সম্মান আমাকে দেখিয়েছেন তার জন্য আমি আপনাকে সারা জীবন দোয়া করব এবং আপনার সঙ্গে দেখা করতে না পারায় আমি খুবই মানসিক কষ্টে ছিলাম এবং ভাবতেও পারিনি, আপনি আমাকে সাক্ষাৎ প্রদানে অস্বীকৃতি জানাবেন, এ কথা বলে তিনি আমার হাত ধরে নিয়ে গেলেন ড্রইংরুমের দিকে। ড্রইংরুমে বসে তাকে বললাম, জজ হিসেবে আপনার সম্মান ও মর্যাদা মন্ত্রী-মেয়রের অনেক উপরে। মন্ত্রী ও মেয়রের আদেশ আইনসম্মত না হলে আপনিই তা বাতিল করতে পারেন, অর্থাৎ লালসালু ঘেরা জজ সাহেবদের এজলাস হচ্ছে এ দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল এবং আইন পেশা থেকে আসা একজন রাজনীতিক হিসেবে আপনার চেয়ারের মান-মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই আমি আপনাকে আমার অফিস বা বাসায় সাক্ষাৎ দেইনি। এতে তিনি আনন্দে উল্লসিত হলেন এবং তার বক্তব্য শুনে ওখানে বসেই সিডিএ-র চেয়ারম্যানকে বলে দিলাম, জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনের বাউন্ডারির মধ্যে কোনো অবস্থায়ই যেন কোনো ENCROACHMENT না হয়। এতদিন পর আমার সেই লেখাটির অবতারণা করলাম এ জন্যই যে, পত্রিকায় দেখলাম বর্তমান সরকার আইন করে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসনের (অপসারণ) ক্ষমতা জাতীয় সংসদে ন্যস্ত করার জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনছে। এ ব্যাপারে আমি শুধু বলতে চাই, রাজনীতিবিদদের স্মরণে থাকার কথা কোনো সামরিক স্বৈরশাসক যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন তাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে প্রথিতযশা রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন, বিশেষ আদালতে তাদের বিচারের নামে প্রহসন করে শাস্তি প্রদান এবং দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে বিচারালয়। অর্থাৎ উচ্চ আদালত। ১৯৫৮ সালের আইউব খানের সামরিক শাসন, ১৯৬৯ সালের ইয়াহিয়া খানের শাসন, ১৯৮২ সালের জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকার এ দেশের রাজনীতিবিদদের সাজা দিয়েছে। পরবর্তীতে সিভিল গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজনীতিবিদদের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে উচ্চ আদালত। সামরিক আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে তা বাতিল করে দেন মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকরা। এমনকি বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক রাজনীতিবিদকে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গ্রেফতার এবং এর বিচারের জন্য বিশেষ আদালত বসিয়ে সাজা প্রদান করা হয়। সেই বিশেষ আদালতের রায়কে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা বাতিল করে দেন এবং সেই দুঃসময়ে আমাদের দেশের উচ্চ আদালতের বিচারপতি সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজনীতিবিদদের জামিন মঞ্জুর করেন। আমাদের দেশের হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বিএ সিদ্দিকী টিক্কা খানকে শপথ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিদের বঙ্গভবনে চা আপ্যায়নের নামে ডেকে নেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আমাদের হাইকোর্টের প্রথিতযশা মহামান্য বিচারপতিরা স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভয়ভীতির ঊর্ধ্ব উঠে বিচারপতির আসনের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখেছেন অথচ আজকের রাজনীতিবিদদের দ্বারা পরিচালিত সরকার হঠাৎ করে বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের আওতায় নেওয়ার কারণ বোধগম্য নয়। সাংবিধানিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতি শাসিত একদলীয় সরকার চালু করে সর্বপ্রথম বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির হাতে নিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এপিলেট ডিভিশনের দুজন সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়, যার ফলে আমাদের উচ্চ আদালতের মহামান্য বিচারকবৃন্দের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের যাত্রা শুরু হয় এবং বিচার বিভাগকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা তাদের হাতে ন্যস্ত করে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখা হয়। যেখানে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এক ব্যক্তি বা রাষ্ট্রপতির হাতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেব মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের দায়িত্ব সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করে এক স্বাধীন বিচার বিভাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সেই নিরিখেই বিগত ৩৫টি বছর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগকে নগ্ন দলীয়করণের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। বর্তমানে এমন কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে দিতে হবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ যেসব দেশে সংসদের হাতে অভিশংসনের ব্যবস্থা আছে বর্তমান সংসদ আসলে কি সেসব দেশের আদলে গঠিত হয়েছে। যে সংসদে ১৫৩ জন অটো এমপি, দেশের শতকরা পাঁচ শতাংশ লোক ভোট দেয়নি, একটি ভোটারবিহীন অটো ও ম্যানুয়াল এমপি দ্বারা যে সংসদ চলছে, সেই সংসদে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা প্রদান করা হবে আত্দঘাতী ও দুরভিসন্ধিমূলক। ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ও স্বাধীন বিচার বিভাগকে পঙ্গু করে দেওয়ার এক নীলনকশা। আমাদের বিচার বিভাগের মহামান্য বিচারপতিরা স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যুগ যুগ ধরে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন স্বৈরশাসক কর্তৃক মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেনি। আর আমাদের নবম সংসদে (২০১২ সালে আমাদের হাইকোর্টের একজন প্রথিতযশা বিচারপতির অপসারণের দাবিতে সংসদে যে কজন সংসদ সদস্য, স্পিকার আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছিলেন, জাতি সেদিন স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল)। আমি ব্যক্তিগতভাবে কায়মনোবাক্যে সে পরিস্থিতির অবসান চেয়েছিলাম। কারণ আমাদের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে আমাদের বিচারালয়। যে কোনো মূল্যে তার মান-মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, ওইদিন সংসদে মহামান্য বিচারপতির বিরুদ্ধে যারা অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তাদের কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের পর আমাদের মহামান্য বিচারপতিরাই জামিন দিয়ে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। আর ওই সংসদ সদস্যরা সেই মহামান্য প্রথিতযশা বিচারপতির অপসারণ দাবি করেছিলেন। বক্তব্য রাখার সময় তারা বেমালুম ভুলে গেলেন, যিনি সংসদে উপস্থিত থেকে জবাব দিতে পারবেন না তার বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য রাখাটা সংসদীয় রীতিনীতি বিরুদ্ধ। আজ যদি জাতির সামনে তাদের বক্তব্য পুনঃপ্রচার করে শুনানো হয়, তাহলে তারা নিজেরাও লজ্জিত হবেন। আর ওই দিন তারা যার অপসারণ দাবি করেছিলেন তিনি তার মেধাবলে বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের মহামান্য বিচারপতি। শুধু বলতে চাই, কোনো বিচারেই আমাদের সংসদ ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্যদের মেধার সমতুল্য নয়। পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের দেশের বিচারপ্রার্থী মানুষ শুধু নয়, রাজনীতিবিদদেরও শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ। স্বৈরশাসনের রোষানল থেকে রাজনীতিবিদদের মানসম্মান রক্ষা করার ব্যাপারে আমাদের উচ্চ আদালত ভূমিকা রেখেছে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিচার বিভাগের মানমর্যাদা, সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদান বিল সংসদে উত্থাপন না করার আহ্বান জানিয়ে শুধু বলব, মহামান্য বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক ও প্রথিতযশা মহামান্য বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ যদি সঠিক সময়ে সুয়োমোটো রুল ইস্যু না করতেন তা হলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি গ্রেফতার কার্যক্রম দিনের আলো দেখত না। এরকম হাজারো নজির স্থাপন করেছেন আমাদের মহামান্য বিচারপতিরা। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য বিচারক নিয়োগ ও অপসারণের সম্পূর্ণ ক্ষমতা তিনি নিজের হাতে রেখেছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে (প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে) নিয়োগের যে বিধান ছিল সেটাও বিলুপ্ত করা হয় চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অন্যসব বিচারক নিয়োগ ও তাদের অপসারণের সম্পূর্ণ এখতিয়ার ছিল এক ব্যক্তির ইচ্ছা ও অনিচ্ছার ওপর। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান সেই চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে পঞ্চম সংশোধনী করার মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। এখন অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতি এককভাবে কোনো বিচারক অপসারণ করতে পারেন না, কেবল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল মতামত দিলে এবং সেই মতামত অনুসারে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নিতে পারেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ ক্ষেত্রে বিচারকদের স্বাধীনতা রক্ষার প্রধান হাতিয়ার। আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অভিশংসন আইন থাকলেও দীর্ঘ ৬২ বছর ভারতের সংসদে এই আইনের প্রয়োগ হয়নি। হঠাৎ করে আমাদের দেশে যে সংসদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে জনগণের কাছে না গিয়ে ঢাকায় বসে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন তাদের হাতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটুকু নিরাপদ সেটা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। এখানে কে বড় বা কে কত ক্ষমতার অধিকারী সেটা বড় বিবেচ্য বিষয় নয়। আসল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে- এ দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, সংবিধান সুরক্ষায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মহামান্য বিচারপতিরা সেই পূতপবিত্র দায়িত্ব পালনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে আসছেন এবং সেই ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থেই রাজনীতিবিদদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

পাদটিকা : কে বড় তার জবাব সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখারের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে বিদেশে তার মাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি সরকার প্রদান করার পর পাকিস্তানের বিচার বিভাগ তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে পারভেজ মোশাররফ দেশ ত্যাগ করতে পারেননি। সাম্প্রতিককালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে সে দেশের আদালতের এক রায়ের কারণে।

লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত, মেয়র ও মন্ত্রী

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

৮ মিনিট আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা