শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

কে বড়- মেয়র মন্ত্রী বিচারপতি না সংসদ

অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন
অনলাইন ভার্সন
কে বড়- মেয়র মন্ত্রী বিচারপতি না সংসদ

উল্লিখিত শিরোনামে একটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি চট্টগ্রামের মেয়র থাকাকালীন পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছিলাম। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়টি লেখার আগে ঘটনাটির অবতারণা করতে চাই। ১৯৯২ সালের শেষ দিকে সকালে মেয়রের দফতরের কাজ করার সময় একটি টেলিফোন এলো অপর প্রান্ত থেকে, বলছিলেন- 'আমি চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল আপনার সাথে দেখা করতে চাই আপনার অফিসে অথবা বাসায়।' আমি তাকে সরাসরি বললাম, এটা সম্ভব নয়, আমার এই জবাবে তিনি অত্যন্ত অবাক হলেন এবং বলতে লাগলেন আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না। আমি সেই ইফতেকার রসুল চট্টগ্রামের প্রথম সাবজজ আদালতে দায়িত্ব পালন করেছিলাম, তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আমি তাকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে বললাম, ভুলে যাওয়াটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, কিন্তু জীবনে এমন কতগুলো ঘটনা স্মৃতিপটে চিরজাগরুক থাকে, যা কোনো দিন ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আরও বললাম, আমি সহকারী জজের পদ থেকে পদত্যাগ করে ১৯৭৮ সালের প্রথম দিকে পুনরায় যখন চট্টগ্রাম জজ আদালতে আইন পেশা শুরু করি, সেই দিনগুলোতে আপনার আদালতে আমার ওকালতি করার ঘটনা এবং আপনার সহানুভূতি ও সহমর্মিতার কথা আমি জীবনে কোনো দিন ভুলব না। আমার এ কথাগুলো শোনার পরও তিনি আমাকে বার বার বলেছিলেন, 'আমার যে আজকের মধ্যেই আপনার সাথে দেখা করা অত্যন্ত জরুরি, আপনি অফিসে বেশি ব্যস্ত থাকলে আপনার প্রদেয় যে কোনো সময়ে আমি আপনার বাসায় দেখা করতে চাই।' এ ধরনের অনুরোধের পরও আমি পুনরায় বললাম, তাও সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মন খারাপ করে টেলিফোন রেখে দিলেন। আমিও টেলিফোন রেখে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ফিরে গেলাম আমার সেই আইন পেশার দিনগুলোতে। চোখের সামনে ভেসে উঠছিল তার মতো অনেক জজ সাহেবের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করলাম চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ অফিসে বা বাসায় আমার সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে বিচারালয়ের সেই আদি গৌরবের মর্যাদাহানি হবে এবং একটি ভুল বার্তা যাবে সমাজে। আমি যখন সিলেটের জজকোর্টে সহকারী জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম তৎকালীন বিএনপির মন্ত্রী তৈয়ুমুর রাজা আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি সেটা এভয়েট করেছি, কেননা আমারই আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি চলছিল। সিলেটের প্রথিতযশা আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিতেন্দ্র বাবু ও পুরকায়স্ত বাবু, অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া সাহেব লড়ছিলেন। যাক ওসব কথা, আমি আমার পিএসকে বললাম সুকৌশলে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল সাহেব ওই দিন সন্ধ্যায় কোথায় থাকবেন তার অগোচরে তার স্টাফদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার জন্য। আমার পিএস মহিবুল হক বর্তমানে জয়েন্ট সেক্রেটারি, আমাকে জানালেন, জেলা জজ সাহেব সন্ধ্যায় বাসায় থাকবেন। আমি তাকে কিছু না বলে আমার সন্ধ্যা ও রাতের সব কর্মসূচি বাতিল করলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধ্যার পর যে কোনো সময় জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনে যাব তার সঙ্গে দেখা করার জন্য, কী কারণে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তা জানার জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে তার বাসায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে সকালে যে তার সঙ্গে দেখা না করায় মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন তা মিটে যাবে। আর আমিও জীবনে একটি সুযোগ পেলাম একজন বিচারকের তার প্রাপ্য সম্মান দেখানোর। একদিকে তার প্রদত্ত সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সহানুভূতির ঋণ পরিশোধ করা, অন্যদিকে আদালতের মান-মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার আমার একটি ছোট্ট প্রয়াস। যাক সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আমার মরহুমা সহধর্মিণী ডালিয়াকে জজ সাহেবকে সকালে সাক্ষাৎ প্রদানে অস্বীকৃতি জানার এবং সন্ধ্যায় তার বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করায় ও অত্যন্ত আনন্দিত এবং পুলকিত বোধ করল। আমি রাত ৮টার দিকে আমার বাসা থেকে জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে জজ সাহেবের আর্দালিদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেল। আমি গাড়ি থেকে নেমে বাসভবনের বারান্দায় পৌঁছামাত্রই দেখলাম চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইফতেকার রসুল সাহেব (মরহুম পরে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন) দৌড়ে এসে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, আল্লাহতায়ালা আপনাকে অনেক বড় করবেন। আপনি যেই অসামান্য সম্মান আমাকে দেখিয়েছেন তার জন্য আমি আপনাকে সারা জীবন দোয়া করব এবং আপনার সঙ্গে দেখা করতে না পারায় আমি খুবই মানসিক কষ্টে ছিলাম এবং ভাবতেও পারিনি, আপনি আমাকে সাক্ষাৎ প্রদানে অস্বীকৃতি জানাবেন, এ কথা বলে তিনি আমার হাত ধরে নিয়ে গেলেন ড্রইংরুমের দিকে। ড্রইংরুমে বসে তাকে বললাম, জজ হিসেবে আপনার সম্মান ও মর্যাদা মন্ত্রী-মেয়রের অনেক উপরে। মন্ত্রী ও মেয়রের আদেশ আইনসম্মত না হলে আপনিই তা বাতিল করতে পারেন, অর্থাৎ লালসালু ঘেরা জজ সাহেবদের এজলাস হচ্ছে এ দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল এবং আইন পেশা থেকে আসা একজন রাজনীতিক হিসেবে আপনার চেয়ারের মান-মর্যাদা সমুন্নত রাখতেই আমি আপনাকে আমার অফিস বা বাসায় সাক্ষাৎ দেইনি। এতে তিনি আনন্দে উল্লসিত হলেন এবং তার বক্তব্য শুনে ওখানে বসেই সিডিএ-র চেয়ারম্যানকে বলে দিলাম, জেলা জজ বাহাদুরের বাসভবনের বাউন্ডারির মধ্যে কোনো অবস্থায়ই যেন কোনো ENCROACHMENT না হয়। এতদিন পর আমার সেই লেখাটির অবতারণা করলাম এ জন্যই যে, পত্রিকায় দেখলাম বর্তমান সরকার আইন করে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসনের (অপসারণ) ক্ষমতা জাতীয় সংসদে ন্যস্ত করার জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনছে। এ ব্যাপারে আমি শুধু বলতে চাই, রাজনীতিবিদদের স্মরণে থাকার কথা কোনো সামরিক স্বৈরশাসক যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন তাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে প্রথিতযশা রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন, বিশেষ আদালতে তাদের বিচারের নামে প্রহসন করে শাস্তি প্রদান এবং দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে বিচারালয়। অর্থাৎ উচ্চ আদালত। ১৯৫৮ সালের আইউব খানের সামরিক শাসন, ১৯৬৯ সালের ইয়াহিয়া খানের শাসন, ১৯৮২ সালের জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকার এ দেশের রাজনীতিবিদদের সাজা দিয়েছে। পরবর্তীতে সিভিল গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজনীতিবিদদের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে উচ্চ আদালত। সামরিক আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে তা বাতিল করে দেন মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকরা। এমনকি বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক রাজনীতিবিদকে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গ্রেফতার এবং এর বিচারের জন্য বিশেষ আদালত বসিয়ে সাজা প্রদান করা হয়। সেই বিশেষ আদালতের রায়কে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা বাতিল করে দেন এবং সেই দুঃসময়ে আমাদের দেশের উচ্চ আদালতের বিচারপতি সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজনীতিবিদদের জামিন মঞ্জুর করেন। আমাদের দেশের হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বিএ সিদ্দিকী টিক্কা খানকে শপথ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিদের বঙ্গভবনে চা আপ্যায়নের নামে ডেকে নেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আমাদের হাইকোর্টের প্রথিতযশা মহামান্য বিচারপতিরা স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভয়ভীতির ঊর্ধ্ব উঠে বিচারপতির আসনের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখেছেন অথচ আজকের রাজনীতিবিদদের দ্বারা পরিচালিত সরকার হঠাৎ করে বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের আওতায় নেওয়ার কারণ বোধগম্য নয়। সাংবিধানিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতি শাসিত একদলীয় সরকার চালু করে সর্বপ্রথম বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির হাতে নিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এপিলেট ডিভিশনের দুজন সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়, যার ফলে আমাদের উচ্চ আদালতের মহামান্য বিচারকবৃন্দের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের যাত্রা শুরু হয় এবং বিচার বিভাগকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা তাদের হাতে ন্যস্ত করে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখা হয়। যেখানে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এক ব্যক্তি বা রাষ্ট্রপতির হাতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেব মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের দায়িত্ব সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করে এক স্বাধীন বিচার বিভাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সেই নিরিখেই বিগত ৩৫টি বছর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগকে নগ্ন দলীয়করণের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। বর্তমানে এমন কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, মহামান্য বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে দিতে হবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ যেসব দেশে সংসদের হাতে অভিশংসনের ব্যবস্থা আছে বর্তমান সংসদ আসলে কি সেসব দেশের আদলে গঠিত হয়েছে। যে সংসদে ১৫৩ জন অটো এমপি, দেশের শতকরা পাঁচ শতাংশ লোক ভোট দেয়নি, একটি ভোটারবিহীন অটো ও ম্যানুয়াল এমপি দ্বারা যে সংসদ চলছে, সেই সংসদে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা প্রদান করা হবে আত্দঘাতী ও দুরভিসন্ধিমূলক। ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ও স্বাধীন বিচার বিভাগকে পঙ্গু করে দেওয়ার এক নীলনকশা। আমাদের বিচার বিভাগের মহামান্য বিচারপতিরা স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যুগ যুগ ধরে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন স্বৈরশাসক কর্তৃক মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেনি। আর আমাদের নবম সংসদে (২০১২ সালে আমাদের হাইকোর্টের একজন প্রথিতযশা বিচারপতির অপসারণের দাবিতে সংসদে যে কজন সংসদ সদস্য, স্পিকার আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছিলেন, জাতি সেদিন স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল)। আমি ব্যক্তিগতভাবে কায়মনোবাক্যে সে পরিস্থিতির অবসান চেয়েছিলাম। কারণ আমাদের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে আমাদের বিচারালয়। যে কোনো মূল্যে তার মান-মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, ওইদিন সংসদে মহামান্য বিচারপতির বিরুদ্ধে যারা অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তাদের কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের পর আমাদের মহামান্য বিচারপতিরাই জামিন দিয়ে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। আর ওই সংসদ সদস্যরা সেই মহামান্য প্রথিতযশা বিচারপতির অপসারণ দাবি করেছিলেন। বক্তব্য রাখার সময় তারা বেমালুম ভুলে গেলেন, যিনি সংসদে উপস্থিত থেকে জবাব দিতে পারবেন না তার বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য রাখাটা সংসদীয় রীতিনীতি বিরুদ্ধ। আজ যদি জাতির সামনে তাদের বক্তব্য পুনঃপ্রচার করে শুনানো হয়, তাহলে তারা নিজেরাও লজ্জিত হবেন। আর ওই দিন তারা যার অপসারণ দাবি করেছিলেন তিনি তার মেধাবলে বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের মহামান্য বিচারপতি। শুধু বলতে চাই, কোনো বিচারেই আমাদের সংসদ ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্যদের মেধার সমতুল্য নয়। পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের দেশের বিচারপ্রার্থী মানুষ শুধু নয়, রাজনীতিবিদদেরও শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ। স্বৈরশাসনের রোষানল থেকে রাজনীতিবিদদের মানসম্মান রক্ষা করার ব্যাপারে আমাদের উচ্চ আদালত ভূমিকা রেখেছে তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিচার বিভাগের মানমর্যাদা, সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদান বিল সংসদে উত্থাপন না করার আহ্বান জানিয়ে শুধু বলব, মহামান্য বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক ও প্রথিতযশা মহামান্য বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ যদি সঠিক সময়ে সুয়োমোটো রুল ইস্যু না করতেন তা হলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি গ্রেফতার কার্যক্রম দিনের আলো দেখত না। এরকম হাজারো নজির স্থাপন করেছেন আমাদের মহামান্য বিচারপতিরা। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য বিচারক নিয়োগ ও অপসারণের সম্পূর্ণ ক্ষমতা তিনি নিজের হাতে রেখেছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে (প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে) নিয়োগের যে বিধান ছিল সেটাও বিলুপ্ত করা হয় চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অন্যসব বিচারক নিয়োগ ও তাদের অপসারণের সম্পূর্ণ এখতিয়ার ছিল এক ব্যক্তির ইচ্ছা ও অনিচ্ছার ওপর। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান সেই চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে পঞ্চম সংশোধনী করার মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। এখন অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতি এককভাবে কোনো বিচারক অপসারণ করতে পারেন না, কেবল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল মতামত দিলে এবং সেই মতামত অনুসারে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নিতে পারেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ ক্ষেত্রে বিচারকদের স্বাধীনতা রক্ষার প্রধান হাতিয়ার। আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অভিশংসন আইন থাকলেও দীর্ঘ ৬২ বছর ভারতের সংসদে এই আইনের প্রয়োগ হয়নি। হঠাৎ করে আমাদের দেশে যে সংসদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে জনগণের কাছে না গিয়ে ঢাকায় বসে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন তাদের হাতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটুকু নিরাপদ সেটা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। এখানে কে বড় বা কে কত ক্ষমতার অধিকারী সেটা বড় বিবেচ্য বিষয় নয়। আসল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে- এ দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, সংবিধান সুরক্ষায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মহামান্য বিচারপতিরা সেই পূতপবিত্র দায়িত্ব পালনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে আসছেন এবং সেই ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থেই রাজনীতিবিদদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

পাদটিকা : কে বড় তার জবাব সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখারের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে বিদেশে তার মাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি সরকার প্রদান করার পর পাকিস্তানের বিচার বিভাগ তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে পারভেজ মোশাররফ দেশ ত্যাগ করতে পারেননি। সাম্প্রতিককালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে সে দেশের আদালতের এক রায়ের কারণে।

লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত, মেয়র ও মন্ত্রী

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১২ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৩৯ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে