শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অপদার্থদের কি ক্ষমা করা যায় না?-২

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অপদার্থদের কি ক্ষমা করা যায় না?-২

গত পর্বের লেখা নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্য করেছেন। তার মধ্যে যেমন প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক বোমা আনোয়ার আছেন, তেমনি চ্যানেল ৭১-এর প্রাণপুরুষ বাবুও আছে। সে ফোন করেছিল, 'মামা, আপনি আমায় খুঁজছেন? বাবা অসুস্থ তাই ফোন ধরতে পারিনি। মামা, মুসা সাদিক বলল, আপনি নাকি বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমায় খুব করে গালি দিয়েছেন। তাকে বলেছি, আমার মামা আমাকে মারে কাটে গালি দেয় সেটা আমার ব্যাপার। তাতে আপনার কী?' বাবু মঞ্জু ভাই এবং আশা আপার মেয়ে কণ্ঠির জামাই। আশা আপা এখনো আমায় মায়ের মতো আদরযত্ন করেন, হাজার মানুষের মাঝে সন্তানের মতো বুকে জড়িয়ে নেন। তার মেয়ে আদরের ভাগ্নি জামাইকে গালি দিতে যাব কেন? আর কাউকে বকাঝকা করা আমার কাজ না। সত্য বলা যদি গালাগাল হয়, পরিস্থিতি তুলে ধরা যদি বকাঝকা হয় সেটা অন্য কথা। কোরআনে আছে, 'প্রতিটি মুহূর্ত মৃত্যু ভয় কর। মৃত্যু ভয়ে কাতর থেকো।' আমি সেটাই করি। সময় নাই তাই মৃত্যু ভয়ে থাকি। কেউ মেরে ফেলবে সেই ভয়ে নয়। সাধারণ ভুলত্রুটি ক্ষমা করতে সব সময়ই প্রস্তুত। কারণ দয়াশীল ক্ষমাকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন। কিন্তু কেন জানি না, আমি কিছু বললেই ভাসুরের মুখ বেজার। আবার না বলেও পারি না। সত্য বলার জন্য পেটের ভেতর কেমন যেন কুরকুর করে। ছেলেবেলায় লেখাপড়া করতাম না, বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াতাম। একদিন মির্জাপুরে এক দোকানে খাচ্ছিলাম। সেখানে এক ফকির এসে হাত পাতে, 'আল্লাহর ওয়াস্তে দু'এক পয়সা ভিক্ষা দেন গো।' দোকানদার দুই পয়সা হাতে দেয়। পয়সা নিয়ে যাই যাই করে বলে উঠে, 'দেহেনচে ওইহানে এক মিষ্টির দোহানে চাড়িতে ইন্দুর পড়ছে। আমার হেডা কওনের কী দরকার। আমি দেহিকি দোহানদার মিষ্টির চাড়ি থেইকা ইন্দুর ফালাইতাছে। আমি ফকির মিসকিন মানুষ। আমারে ভিক্ষা দেবো দুই পয়সা, চার পয়সা। আমি দেখছি দেইখা আমারে আট আনা দিয়া কয় কি আমি জানি ইন্দুর পড়ার কথা কাউরে না কই। এহন আপনেই কন, ওই দোহানে ইন্দুর পড়ছে হেডা কওনের আমার কী ঠেহা। ওডা কইলে কী তারা আমারে টেহা দিবো, নাকি না কইলি দিবো? এই যে আপনে গো দোহানে মিষ্টির চাড়িতে মাছি পড়তাছে, কত তেলচোরা পড়ছে এ্যাগুনা কী আমি কবার যামু?' দোকানি ফকিরকে দুই পয়সার জায়গায় দুই টাকা দিয়ে কত যে কারুবারু, 'বাবা তুমি কিন্তু কাউরে কিছু কইও না।' এটা ছিল '৬০-'৬১ সালের কথা। আমি তখন বরাটি স্কুলে পড়ি।

আমি শুধু চেষ্টা করছি, যখন যা ঘটেছে নিরাসক্তভাবে তুলে ধরতে। এখন পর্যন্ত মরচে ধরা কোনো কিছু ঘষামাজা করে রং-চং মেশানোর চেষ্টা করিনি। আমার ভাব ভাষা নেই, বাক্য গঠনের কলাকৌশল, শৈলী নেই, আকাশ বাতাস প্রকৃতি থেকে যা শিখেছি তাই সহজভাবে বলি বা লিখি। পাঠক দয়া করে ভালোবাসে, তাই তাদের ভালো লাগে। মুক্তিযুদ্ধে যেমন সবাই মেনেছে, যা বলেছি শুনেছে, দেওয়া দায়িত্বের দ্বিগুণ তিনগুণ বেশি পালন করেছে। কোনো কৃতিত্ব না থাকতেও আমি কৃতিমান হয়েছি। যখন যেখানে সবাইকে উৎসাহিত করা যায় তখন সেখানেই সাফল্য হয় পায়ের ভৃত্য। লেখালেখিতে আমার কৃতিত্ব কোথায়? যখন যা মন চায় তাই কাউকে বড়-ছোট না করে খোলাখুলি লিখি।

আপনি ভালো করেই জানেন, আমার যত দোষই থাকুক চাটুকারিতা নেই। কারও অনুপস্থিতিতে তার ভালো ছাড়া মন্দ ভাবি না। দয়া মায়ায় মন ভরে থাকে, তাই হাজারো কষ্ট আমায় কাবু করতে পারে না। ঘাতকের ভয় আমায় কখনো স্পর্শ করে না। পরের ধনে পোদ্দারি করি না, যা করি নিজের ধনেই করি। সারা জীবন যে অর্থ সহকর্মীদের জন্য খরচ করেছি, সেটা বাপের জমিদারির হলে জমিদারিও ধ্বংস হয়ে যেত। আবার লোকজনের টাকায় গাড়ি বাড়ি করিনি। তখন আমার ১৬-১৭ বছর বয়স। কেন যেন ৫ বা ১০ টাকা ভাঙতির প্রয়োজন ছিল। মাকে বলেছিলাম, 'ভাঙতি দাও।' মা বলেছিলেন, 'নেই'। কিন্তু আলমারিতে ছোট টাকা ছিল। বলেছিলাম, কেন মা, ওই যে ওখানেই তো ভাঙতি আছে। মা বলেছিলেন, 'বজ্র, ওগুলো একজন আমার কাছে রেখেছে। তার টাকা তাকে না দিয়ে বদলে দেওয়া ভালো না। আমি ওটা পারবো না। আমার কাছে রাখাটাই তাকে দেবো। তুই কোনো দোকান থেকে ভাঙতি করে নে।' মাকে খুবই ভালোবাসতাম তাই কিছু মনে করিনি। কিন্তু তার সেদিনের কথার কিছু সেদিন বুঝিনি। এখন বুঝি, মানুষের গচ্ছিত অক্ষত ফিরিয়ে দেওয়াই ভালো। কোরআনেও তেমন আছে। কিন্তু আমি তখন কোরআন পড়িনি। বড় হয়ে মাকে সব সময় কোরআন পড়তে দেখতাম। মা না ফেরার দেশে যাওয়ার ৫-৭ বছর আগে এক দু'বার জিজ্ঞেস করেছি, তুমি যে আরবি কোরআন পড়। নিজে না পারলে মহিলা রেখে কোরআন শোন। কি পড়, কি শুনো অর্থ বুঝ? মা বলতেন, 'অর্থ বুঝলে আরও ভালো হতো। কিন্তু কোরআন পড়লে আমার দেহে স্বর্গীয় মধুর এক অনুভূতি হয়। শুনলে তন্ময় হয়ে যাই। মনে হয় আমি আল্লাহর সঙ্গে, আল্লাহ আমার সঙ্গে কথা বলছেন।' চলে যাওয়ার আগে শেষের দিকে তাকে কটি বাংলা কোরআন দিয়েছিলাম। কোরআনের অনুবাদ পড়ে খুবই খুশি হতেন। আমাকে বলতেন, 'বজ্র, এখানে যেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা, আমিও আরবিতে পড়ে আরবিতে শুনে এমনটাই অনুভব করতাম।' মার কথা শুনে খুবই ভালো লাগত। ভালো মানুষ, যে আল্লাহর ধ্যানে থাকে, আল্লাহই তাকে জ্ঞান দেন, আল্লাহই তাকে বুঝ দেন। আমাকেও যেমন ছিটেফোঁটা দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে আপনি এবং রেহানা ওয়াজেদ ভাইয়ের সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। সেখান থেকে কদিন পর দিল্লি আসেন। এই সেদিন ৪ আগস্ট বেলা দেড়টায় দিল্লিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আপনার চরম দুঃসময়ের স্মৃতিবিজড়িত পান্ডারা রোডের বাড়ি গিয়েছিলাম। আগে বাড়িটি ছিল ডেপুটি সেক্রেটারিদের, এখন নাকি এক জয়েন সেক্রেটারি মিস্টার সিং কিনেছেন। ভেবেছিলাম, ড্রয়িং রুমের একটা ছবি তুলে আনব। দিল্লিতে যখন যেখানে যাই ভীষণ সমাদর পাই। তাই কাউকে কিছু না বলে গিয়েছিলাম। দোতলা সিঁড়ির মুখে কলিং বেল টিপতেই কাজের লোক এসে বলল, বাড়িতে কেউ নেই। সব বৃত্তান্ত শুনে ভদ্রলোক কেয়ারটেকারকে ফোন করল। আমি নিচে গাড়িতে বসেছিলাম। ৫-৭ মিনিট পর কেয়ারটেকার মিস্টার সতীশ (ফোন-৯৭৬৮৭১২৭৩৭) এসে বলল, মালিকের অনুমতি ছাড়া বৈঠকখানাও দেখাতে পারবে না। আমরা অবহেলায় কত কিছু নষ্ট করি। কষ্টের পান্ডারা রোডের ছোট বাড়িটা স্মৃতি হিসেবে কি রাখা যেত না? মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে কলকাতার থিয়েটার রোডের বাড়ি যেমন রাখিনি, পান্ডারা রোডের বাড়িও তেমন রাখা হলো না। বাড়ির সামনে জয় খেলত, পুতুল খেলত। সেসবের কত স্মৃতি। শত্রুরা তো কত কথাই বলবে। কিন্তু ইতিহাস কী বলবে? তার উপাদান নষ্ট করার জন্যে ভাবীকাল আমাদের কি মোটেই দায়ী করবে না? কত শুনি এখন ভারতের সঙ্গে নাকি আপনার সরকারের দারুণ সম্পর্ক। তারপরও কেন এমন হলো? সময় ছিল না তাই চলে এসেছিলাম। আমি এবার ছিলাম দিল্লি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার নতুন শহর গুরগাঁওয়ে রাখীবোন শর্মিলা চক্রবর্তী মিলু বকশীর বিশাল বাড়িতে। তাকে আপনার চেনার কথা, বেশ ক'বার দেখেছেন। আমি যখন জে-১৮৮১ চিত্তরঞ্জন পার্কে থাকতাম, তখন এসি সেনের ছেলেমেয়ে নিউ দিল্লি মডার্ন স্কুলে পড়ত। যেখানে রাহুল প্রিয়াঙ্কাও পড়ত। ওদেরই বন্ধু মিলু। শঙ্খু, গার্গী কাকু বলে ডাকত, মিলু ডাকত দাদা বলে। শরীয়তপুরের ডিংগা মানিকের ড. পিকে চক্রবর্তী ওর বাবা। মিলু বাপ-মার একমাত্র সন্তান। ওর কোনো দাদা ছিল না, ছোট ভাইবোনও না। সেই মিলু '৭৮ সালে ভাই ফোঁটার চিঠি লিখে। আমি শিলিগুড়ি থেকে ফোঁটা নিতে দিল্লি যাই। সেই থেকে ও আমার রাখিবোন। মানুষের জীবন কেমন? কীভাবে সম্পর্ক হয়, সম্পর্কের মান রাখলে তার মূল্য অনেক, না রাখলে কিছুই না। এসি সেন আমার কেউ না। তিনি হিন্দু, আমি মুসলমান। বাঙালি বলে আমাদের দুজনের ভাষা এক, ভালোবাসা এক। ভারতের সর্বোদয় নেতা শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণের 'ওকে দেখো' এমন এক চিঠিতে তিনি আমায় ১২ বছর দেখাশোনা করেছেন। সেই এসি সেনের বাড়িতে বাংলাদেশের কোনো নেতা যায়নি? কোনো নেতা খায়নি? খোঁজাখুঁজি করে হয়তো দু-একজন বের করা যাবে। সিলেটের বাবরুল হোসেন বাবুল, মমতাজ হোসেন, হাশেমী মাসুদ জামিল যুগল, সাইফুল ইসলাম খোকা, UCBL-এর এক সময়ের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ চৌধুরী- কতজন মাসের পর মাস সিআর পার্কের বাড়িতে থেকেছে। আপনিও বেশ কয়েকবার গেছেন। দুলাভাইয়ের সঙ্গে জয়-পুতুলকে নিয়ে একবার দুপুরে চিত্তরঞ্জনে খেতে যেতে হজরত নিজামুদ্দিন চিশতীর মাজারের পাশে লোদি হোটেলের সামনে গাড়ি খারাপ হয়েছিল। ভাড়া ট্যাক্সিতে সেখান থেকে চিত্তরঞ্জন গিয়েছিলাম। তারপর আবার এসি সেনের গাড়ি করে পান্ডারা রোডে। লোদি রোড থেকে চিত্তরঞ্জন ট্যাক্সি ভাড়া ছিল ১৩-১৪ টাকা। কথা ছিল দুলাভাই দেবেন। কিন্তু পরে তিনি গড়িমসি করছিলেন। কবে কোন জামানায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জননেতা আবদুর রাজ্জাককে ৫০ টাকা দিয়েছিলেন সেটা হাজারবার বলতেন। তাই বাসায় ফিরে বলেছিলেন, 'বজ্র, চেষ্টা করে দেখো দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ট্যাঙ্ িভাড়া আদায় করতে পার কিনা। যদি পার তোমাকে উপহার দেব।' কয়েক ঘণ্টা প্রাণপাত করে আমি পেরেছিলাম। ১৫-১৬ টাকা আদায় করেছিলাম। সে জন্যে আপনি হাজার টাকা উপহার দিয়েছিলেন। এখন যে যতই উজির নাজির মারুক, তখন আপনার কাছে তেমন কোনো টাকা ছিল না। খান মার্কেটের ব্যাংকে আপনার যে অ্যাকাউন্ট ছিল তার একটা চেকের মুড়ি আমার কাছে আছে। তাতে হাজার, পনের শ, দুই হাজারের বেশি কোনো চেক কাটা নেই। নিশ্চয় বিষয়গুলো আপনার এখনো মনে আছে? ফরিদপুরের কিরন চন্দ্র লাহিড়ী আমার সঙ্গে বহুবার আপনার পান্ডারা রোডে গেছেন। কত আলাপ করেছেন। কিরন চন্দ্র লাহিড়ী দেখতে বিখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের মতো ছিলেন। যেদিন চলে আসেন সেদিনও তিনি পান্ডারা রোডে গিয়েছিলেন। ছবি খুঁজে পেলে আপনাকে পাঠাব অথবা পত্রিকায় ছেপে দেব। আরেকজন আমাদের বড় হিতৈষী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বড় ভালোবাসতেন। বাঙালি নন, অবাঙালি। থাকতেন দিল্লির ডিফেন্স কলোনির ছোট্ট এক ঘরে। জনাব এল কে খতিব খুব সম্ভবত গুজরাটের মুসলমান। স্বাধীনতার পর ঢাকায় কোনো সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি ছিলেন। ‘Who Killed Mujib’ বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে অসাধারণ তথ্যবহুল এক বই লিখেছিলেন। তিনিও আপনাকে আমাকে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং তার বিশ্বাস ছিল মুজিব হত্যার বিচার হবে এবং আমরা সসম্মানে দেশে ফিরব। তার বিশ্বাস অমূলক ছিল না। তার বিশ্বাসের ভিত ছিল বড় পাকাপোক্ত।

ভাই ফোঁটা রাখি বন্ধনের কথা বলছিলাম। মিলু তার মা ড. অরুণা চক্রবর্তী, বাবা ড. পিকে চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে। আমি থাকতাম জে-১৮৮১ তে, ওদের বাসা আই-১৮০৬। কত হবে, আমাদের বাড়ি থেকে এক-দেড়শ গজ। ওর বাবা হঠাৎই মারা যান। বাবা-মা দুজনই চাকরি করতেন বলে কোনো আর্থিক অভাব ছিল না। ওর মা পরে দিল্লির বিখ্যাত জানকী দেবী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর নিয়েছেন। মিলু বিয়ে করেছে অসাধারণ এক পাঞ্জাবি অখিল বকশীকে। দুই ছেলে-মেয়ের মা এখন মিলু। আইসিএস পাস করে কিছু দিন চাকরিও করেছে। সাংবাদিক রাজেন্দ্র সারীনের মেয়ে শিল্পী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি মুন্নী এবং শর্মিলা চক্রবর্তী মিলু ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পাস করে চাকরি নিয়েছিল। কেন যে তিনজনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছে জানি না। মিলু এখন মাস্টারি করে, অখিল এটা ওটা নিয়ে সারা দিন পড়ে থাকে। গাড়ি-ঘোড়ার বহর নিয়ে দুনিয়া ঘুরে। কয়েক বছর আগে কাঠমান্ডু না কোথায় দুর্যোগে আটকা পড়ায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার তাদের উদ্ধার করে। সেই মিলুর গুরগাঁওয়ে এক বিশাল বাড়ি। ওর চাপাচাপিতেই সরকারি ব্যবস্থা বাদ দিয়ে এবার গুরগাঁওয়ে উঠেছিলাম। সেখানে সুবিধা ছিল ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুব কাছে, ১০ মিনিটের পথ। ৯ আগস্ট ঢাকা ফিরেছি। যাওয়ার পথে বিমান ছিল অন টাইম, কিন্তু ফেরার পথে দুই ঘণ্টা লেট। তবে মহিলা পাইলট ক্যাপ্টেন শাহানার বিমানে প্রথম উঠেছিলাম। শাহানা আমার প্রিয় ছোট বোনের নাম, তাই সেদিন খুবই ভালো লেগেছিল, গর্ব হয়েছিল। আমাদের মেয়েরাও আকাশে জাহাজ উড়াতে পারে। পরের দিন ১০ আগস্ট ছিল রাখি বন্ধন। '৭৮ সালে মিলু আমায় ভাই ফোঁটা দিয়ে রাখি বেঁধেছিল। ৭-৮-৯ সারা দিন ক্ষণে ক্ষণে নানা চ্যানেলে পাকিস্তানের মেয়ে গুজরাটের বউ কমর মোহসীন নরেন্দ্র মোদির রাখী বোনের ঝলক দেখাচ্ছিল। কমর মোহসীন ৩৩ বছর আগে পাকিস্তান থেকে গুজরাট এসে বিয়ে করে বেশ ভালোই আছে। এক সময় গুজরাটের গভর্নর শ্রী স্বরূপ সিং তাকে মেয়ের মতো দেখাশোনা লালন-পালন করতেন। গভর্নর ড. স্বরূপ সিং চলে যাওয়ার সময় শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলে গিয়েছিলেন কমর মোহসীন আমার মেয়ে, ওকে তুমি দেখে রেখ। সেই থেকে কমর মোহসীন নরেন্দ্র মোদির বোন। ১৮ বছর সে শ্রী মোদির হাতে রাখি বাঁধে। দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির এমন সব অনেক চমকপ্রদ ঘটনা শুনেছি। যেদিন দিল্লি যাই তার পরদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি নেপাল সফর করেন। যাওয়ার পথে এক নেপালি বাচ্চা নিয়ে যান। যাকে তিনি বহু বছর ধরে দেখাশোনা করেন, লেখাপড়া করান। কত অসহায় মেয়েকে দেখাশুনা করেন, হোস্টেলে রেখে লেখাপড়া করান- এক এক করে তার নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডের খবর বেরুচ্ছে। কিছু মানুষ বিশ্বাস করছে, কিছু প্রচার বলে উপহাস করছে। কিন্তু সব কিছু যে ফেলে দেওয়ার মতো নয় তা তার কার্যকলাপে দিন দিন ফুটে উঠছে। বারবার বহুবার কমর মোহসীনের ভাই ফোঁটার খবর দেখে গুরগাঁওয়ে মিলুর বাড়িতে মনে হচ্ছিল, এই সেদিন এই ছোট্ট মেয়ে শিলিগুড়ি থেকে ডেকে এনে ধান দুর্বা দিয়ে ভাই ফোঁটা দিয়ে আমার হাতে রাখি বেঁধেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুসলমান বোন কমর মোহসীন ১৮ বছর, আমার হিন্দু বোন মিলু রাখি বাঁধছে ৩৬ বছর। সেই বোনের বাড়ি ছোট ভাইয়েরা দলবল নিয়ে থেকেছে। আমি কখনো থাকিনি, তাই গিয়েছিলাম। ৯ আগস্ট ফেরার পথে দুপুর ১২টায় সে আমায় অগ্রিম রাখি বেঁধেছিল। ঢাকায় ফিরে তার সেই রাখি পরম যত্নে যজ্ঞের ধনের মতো আলমারিতে তুলে রেখে দিয়েছি। যাতে অনন্তকাল সে রাখি মানুষে মানুষে জাতিতে জাতিতে ভালোবাসা হয়ে থাকে।

বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর তিরোধানের দিন আপনি ছিলেন না, আমি ছিলাম, আমরা ছিলাম। যারা জাসদের রাজনীতি করেছে, রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করেছে তাদের প্রতি আমার খুব একটা অনুযোগ অভিযোগ নেই, এখন করলেও থাকবে না। কিছু দিন আগে জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না জাসদের দুই রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমিও তার সঙ্গে খুব একটা অমত করি না। গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের রাজনীতির প্রতি সম্মান না দেখানো অগণতান্ত্রিক মনোভাবের লক্ষণ। জনাব শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিল, মাহমুদুর রহমান মান্না, আক্তারুজ্জামান- এরা যেমন রাজনৈতিক বিরোধিতা করেছে, অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের অধীনে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা, পরবর্তীতে অতি বিপ্লবী কর্নেল তাহের, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, মঈনুদ্দিন খান বাদলরা সশস্ত্র পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে নিদারুণ অন্যায় করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী জাসদের ভূমিকা নিয়ে আগামী সংখ্যায় কিছু লিখতে চাই, সময় হলে দয়া করে একটু দেখবেন।

লেখক : রাজনীতিক।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর