শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

গোটা দেশটাই আজ ইনটেনসিভ কেয়ারে

নূরে আলম সিদ্দিকী
অনলাইন ভার্সন
গোটা দেশটাই আজ ইনটেনসিভ কেয়ারে

গোটা দেশটাই আজ ইনটেনসিভ কেয়ারে। শেখ হাসিনা আজ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল, অভূতপূর্ব এবং অনভিপ্রেত আড়াই-তিন হাজার বছর আগের বাদশাহদের চাইতেও ক্ষমতাধর। কী সংগঠন, কী প্রশাসন, কী সংসদ, কী কার্যনির্বাহী পরিষদ কোথাও তার কোনো সিদ্ধান্ত এমনকি ভুল সংশোধনেরও অধিকার কারও নেই। রোমান সভ্যতায় রোমান সম্রাট ও সক্রেটিসের সময়কালেই গ্রিসের সংসদেও বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নে বাক-বিতণ্ডা, তর্ক-বিতর্ক কখনো কখনো প্রচণ্ড রূপ ধারণ করত। প্লেটোর শিক্ষক সক্রেটিস আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছরেরও আগে সংসদে দাঁড়িয়ে (তখন পুরো সংসদই সক্রেটিসের বিচারকার্য পরিচালনা করছিলেন) অকুতোভয়, মেরুদণ্ড খাড়া করে সগৌরবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে যে অভিভাষণটি দিয়েছিলেন তা কেবল এই আড়াই হাজার বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন নয়, অনন্তকাল ধরে পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যের প্রতি অর্ঘ্য প্রদানের জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত হয়ে রইবে। বিচারে রায় হয়েছিল সক্রেটিসকে হেমলক বিষ পান করে মৃত্যুবরণ করতে হবে, অবশ্য তিনি দেশান্তরিত হতে চাইলে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করা হবে না। এই রায়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত মৃদুভাষী সক্রেটিস যে গুরুগম্ভীর অভিভাষণটি দিয়েছিলেন তা শুধু কালজয়ী নয়, সত্যাশ্রয়ীদের জন্য একটি উৎসারিত অনুপ্রেরণা। মৃদুভাষী সক্রেটিস বলেছিলেন, 'সম্মানিত পারিষদ, আমি রাজনীতিক নই, বাকচাতুর্যে নিজের অভিমতকে চমৎকারভাবে উপস্থাপিত করে সপক্ষে সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষমতা আমার নেই এবং সে অভিপ্রায়ও আমার নেই। আমি নিঃশঙ্কচিত্তে বলতে চাই- মিথ্যাকে সত্যরূপে গ্রহণ করার চাইতে, মিথ্যাকে মিথ্যা ও সত্যকে সত্যরূপে গ্রহণ করে প্রত্যয়দীপ্ত চেতনায় অধিষ্ঠিত থেকে মৃত্যুবরণ আমার কাছে শুধু সম্মানজনক নয়, প্রত্যয় ও প্রতীতির বহিঃপ্রকাশ। কালজয়ী ও প্রাতঃস্মরণীয় হওয়ার জন্য নয়; সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার এই গৌরব থেকে বঞ্চিত হতে আমি নারাজ বলেই হেমলক আমার কাছে মরণ-বিষ নয় বরং জীবনের অমৃত স্বাদ।' তার অতি প্রিয় শিষ্য প্লেটোর দিকে তাকিয়ে বললেন, 'আমি জানি তোমরা আমাকে ভালোবাস এবং আমার জীবন দর্শনকে সম্মান কর। শুধু তোমাদের কাছে একটি চাওয়া, আমার সন্তানরা সত্যাশ্রয়ী না হয়ে ক্ষমতার আকর্ষণে অথবা নির্যাতন-নিগ্রহের আতঙ্কে যদি আদর্শচ্যুত হয়, তোমরা তাদের অন্তর থেকে ঘৃণা কর, আমার আত্দা তাতেই তৃপ্ত হবে।' আজকের রাজনৈতিক আঙ্গিকে সক্রেটিসের এই উক্তিটি আমার অনবরত উচ্চারণ করতে এবং বার বার উদ্ধৃত করতে অনুপ্রাণিত করে এ জন্য যে, রাজনীতির সর্বাঙ্গে যে কলুষতা, যে বিবেক বিবর্জিত স্তাবকতা, দুই দলের দুই নেত্রীর স্তাবকতা এবং সত্যকে সত্য বলার প্রবণতা যখন নিঃশেষিত প্রায় তখন সক্রেটিসের উচ্চারিত অমোঘ বাণীর উৎসারিত সত্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনুসরণীয় হিসেবে গ্রোথিত করা ও তাদের অকুতোভয় চিত্তে এর নির্মল প্রভাব তৈরি করা- জীবন সায়াহ্নে এটি আমার অন্তিম অভিলাষ।

সাম্প্রতিককালে সম্প্রচার নীতি ও সংসদকে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা প্রদানের সব উদ্যোগই সমাপ্তির পথে। শেখ হাসিনার অবস্থান থেকে এই দুটি আইন নিষ্প্রয়োজন। কারণ সংসদ এবং শাসনতন্ত্র এমনিতেই তার অাঁচলে বাঁধা। সম্ভবত বহির্বিশ্বকে অবহিত করতে চান দেশের অভ্যন্তরে তিনি কতখানি লৌহমানবী। যুক্তি হিসেবে- পারিষদবর্গ অবলীলাক্রমে বলেন, বিচারপতি অভিশংসন আইনের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে, শাসনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত অনেক দেশেই রয়েছে, এমনকি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষেও রয়েছে। কিন্তু এই যুক্তির উপস্থাপকরা হয়তো অজ্ঞ অথবা বিবেকবিবর্জিত। অন্যান্য সংসদ তো বটেই, ভারতবর্ষের সংসদও কারও অাঁচলে বাঁধা নয়। উপরন্তু, ভারতবর্ষে একটি সংসদীয় রাজনীতির ঐতিহ্যও তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিজ নিজ আদর্শের আঙ্গিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। তার উপরে তাদের বিচার ব্যবস্থা পরিপূর্ণ স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন সব বিতর্কের ঊধের্্ব। দুর্নীতি ও অপরাধ দমনে সিবিআই দুর্দমনীয়। আমেরিকাতে রাষ্ট্রপতিকে স্বয়ং ইমপিচমেন্টের আতঙ্কে ও আশঙ্কায় কখনো কখনো মারাত্দকভাবে ভুগতে হয়। আমাদের দেশে প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, সংসদ, রাজনৈতিক সংগঠন, নির্বাচন কমিশন কোনোটিই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে পারেনি। বরং মূল্যবোধ অবক্ষয়ের অতলান্তে এতটাই নিমজ্জিত, এখন তার নিরপেক্ষ অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সমাজে প্রবাদ আছে- 'মাছের পতন মাথা থেকে।' সমাজ ও রাজনীতি এর ব্যতিক্রম নয়। যতই দিন যাচ্ছে সামনের দিনটি আরও কালো মেঘে ঢাকা মনে হচ্ছে।

আরেকটি যুক্তি- '৭২-এর সংবিধানে আইনটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। '৭৩-এর সংসদে মাত্র ৯ জন বিরোধীদলীয় সদস্য থাকলেও বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতায় ও উদার গণতান্ত্রিক চেতনার আঙ্গিকে সংসদটি ছিল সম্পূর্ণ সার্বভৌম এবং বাক্-স্বাধীনতার পীঠস্থান। বিচার ব্যবস্থা দলীয় আবর্তের বাইরে ছিল। কথা বলার স্বাধীনতা এতই উদার ও উন্মুক্ত ছিল যে, তার সামনে দাঁড়িয়ে তার আদর্শ ও চেতনার উত্তরাধিকার হওয়া সত্ত্বেও বাকশালের বিরোধিতা করার সুযোগ ছিল। আর আজ সাম্প্রতিককালের বাজেট অধিবেশনই প্রমাণ করল, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলা তো দূরের কথা, বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরারও প্রয়োজন বোধ করেননি শতকরা ৮০ জন সদস্য। আমার ধারণা, তারা বাজেটের পাতা উল্টেও দেখেননি। শতকরা ৯০ জন সংসদ সদস্য কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। শুধু স্তুতি, বন্দনা, অর্চনা ও তোষামোদ। অবশিষ্ট অল্প একটু সময় অস্তিত্ব বিবর্জিত বিএনপির (যারা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করে না) শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অপরিশীলিত ও অসংসদীয় সমালোচনা এবং গালিগালাজ।

রাজনৈতিক সংকটের আরেকটি দিক হলো- আদর্শনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী বিএনপিতে আগাগোড়াই অপ্রতুল ছিল। ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে, সামরিক ব্যক্তিত্বের ঔরসে জন্ম নেওয়া প্রতিষ্ঠানটি জন্মলগ্ন থেকেই ক্ষমতাকেন্দ্রিক এবং আদর্শ বিবর্জিত নেতৃত্ব দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়। দলছুট ও নীতিবিবর্জিত ব্যক্তিদের প্লাটফর্ম ছিল দলটি। যতই দিন গেছে ততই সুবিধাবাদীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায় প্রকৃত প্রয়োজনের দিন দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করল সংগঠনটির নিদারুণ দৈন্যদশা এবং প্রদত্ত কর্মসূচির করুণ ও মর্মান্তিক চেহারা। ২৯ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার আহূত 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র ব্যর্থতা এতই উলঙ্গভাবে দলটির দুর্বলতা প্রকাশ করল, আন্তর্জাতিক বিশ্বের যেসব মহল ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনটিকে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন তারাও হতবিহ্বল হয়ে পড়লেন। ফলে অপ্রতিরোধ্য হতে পারলেন শেখ হাসিনা। সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার অজুহাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ভ্রান্ত বামেরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হলেন, তিনি অপ্রতিরোধ্য এবং তার সব চিন্তাই অলঙ্ঘনীয়। ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার উক্তি, অভিব্যক্তি, উচ্চারণ, দাম্ভিকতা- সবকিছু গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য- সব দেশের প্রতি তার চ্যালেঞ্জ বিশ্ব-রাজনীতিতে তার অবস্থান কোথায় নিয়েছে এটি নির্ধারণ না করেও বলা যায় রপ্তানির দুটি প্রধান খাত- পোশাকশিল্প ও জনশক্তি রপ্তানিতে এক বন্ধুর পথ তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আজ বিএনপির যে বেহাল অবস্থা, তাতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আজীবন প্রধানমন্ত্রী করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর অন্য কোনো সাংবিধানিক সংশোধনীও নিষপ্রয়োজন। যে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের অবজারভেশনের ওপর ভিত্তি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধানটি অপসারিত হলো, অভিশংসনটি জারির পরে দেখা গেল তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নন, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদকের ভূমিকা পালনে ব্যাপৃত। এখানে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি (কী রাজনৈতিক, কী প্রশাসনিক), যারা অন্তত সংশোধনের খাতিরেও প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ককরণের জন্য কিছু বলা তো দূরে থাক, তার চিন্তার বিপরীতে কিছু ভাবতে পারেন। কিন্তু তার সংগঠনের দিকে তাকালে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কী প্রতিক্রিয়া হয় জানি না; বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার ভালোবাসা ও আনুগত্য অকৃত্রিম এবং নিষ্কলুষ বলেই আমি প্রচণ্ড আতঙ্কিত বোধ করি। সরকারবিরোধী আন্দোলন যে কোনো কারণে একটু দানা বাঁধলেই শেখ হাসিনা উপলব্ধি করবেন তিনিও কতটা নিঃসঙ্গ। তার ভ্রান্ত বাম, পারিষদবর্গ ও সুবিধাভোগীরা কোনোদিনই বিপদের সময় নেতৃত্বের পাশে থাকে না। সংসদে শেখ হাসিনার শতকরা ১০০ ভাগ সমর্থন থাকলেও তার মূল সংগঠন আওয়ামী লীগ আজ ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে চলেছে। প্রায় এক যুগ ধরে সেখানে কোনো কাউন্সিল হয় না; কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই এক-দেড় যুগ ধরে। কোনো আবদার বা আর্জির আঙ্গিকে নয়, সতর্কীকরণ হিসেবে শেখ হাসিনার কাছে আমার পরামর্শ- তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বস্তরে কাউন্সিল করতে নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করুন। দলীয় এবং আন্তঃসাংগঠনিক বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলুন। এ ছাড়া এভাবে জোড়াতালি দিয়ে চললে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির বেহাল অবস্থার মতো তাকেও বিপদের মুখোমুখি হতে হবে।

শেখ হাসিনার কাছে আমার আরেকটি পরামর্শ- শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি- এসব সমুদ্র-চুরির মামলাগুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশেষ ব্যবস্থায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুন। নইলে প্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি যেভাবে প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ তো করতে পারবেনই না, বরং দেশটি থেকে ন্যায়বিচার, মুক্তচিন্তা নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সামাজিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা কারও পক্ষেই সম্ভব হবে না। সাংগঠনিক দিক থেকে আওয়ামী লীগ ক্রমেই রক্তশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আশ্চর্যান্বিত ও বিস্ময়াভিভূত না হয়েও পত্রিকায় পড়লাম, এরশাদ সাহেব বিএনপিকে বলেছেন- মাজা ভাঙা দল। ওদের পক্ষে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা অসম্ভব। উক্তিটির সঙ্গে আমি একমত হওয়া সত্ত্বেও এরশাদ সাহেবের (যিনি ৯ বছর নির্বাহী রাষ্ট্রপতি ছিলেন) উক্তির বিপরীতে তাকে কি আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি না, আপনি আপনার বিবেকের দর্পণের সামনে দাঁড়িয়ে আপনার অবস্থানটি অবলোকন করুন। সার্বিক অর্থে রাজনৈতিক অঙ্গনে আপনার অবস্থান যে গোলকধাঁধার সৃষ্টি করেছে তা শুধু দেশীয় রাজনীতিতে নয়, বিশ্বও আপনাকে মেরুদণ্ডহীন, আদর্শবিচ্যুত এবং রাজনৈতিক ক্লাউন ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। আপনার ব্যক্তিগত সমালোচনায় না গিয়েও আমি বলতে পারি, মিনিটে মিনিটে রাজনৈতিক ডিগবাজি বা ঘণ্টায় ঘণ্টায় কথা পরিবর্তন শুধু আপনার প্রতি নয়, রাজনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিস্থাপিত করেছে। স্বৈরাচার হিসেবে গণআন্দোলনে আপনার সরকারের পতন হলেও আজকে আপনার যে রাজনৈতিক দুর্দশা ও নাজুক অবস্থান- তা এর আগে কখনো ছিল না। একদিকে আপনি বর্তমান সরকারের মন্ত্রীর সমমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, অন্যদিকে বিরোধী দল হিসেবে দাবি করা স্ববিরোধিতার পথ ছাড়ুন। আপনার আত্দমর্যাদা, আত্দসম্মান ও দেশের রাজনীতিতে জটিলতা সৃষ্টি না করে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করাই আপনার জন্য সঙ্গত ও সম্মানজনক। আপনি কবি, হাছন রাজার মতো সুনামগঞ্জের হাওরে গিয়ে পানসী নৌকায় গান বাঁধতে আপনাকে আমি বলব না। সম্ভব হলে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকে তরুণ ও উজ্জীবিত সত্তাকে খুঁজতে থাকুন, যে তারুণ্যের উজ্জীবিত ও অকুতোভয় শক্তি দুটি পরিবারের দাসত্ব থেকে দেশবাসীকে অবমুক্ত করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী; মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা নিয়ে নয়, নির্যাতন-নিগ্রহকে যারা কোনোদিনই পরোয়া করেনি, তাদের হৃদয়ের নিভৃত কন্দরে একটা অব্যক্ত কান্না পুঞ্জীভূত হচ্ছে। অবহেলিত হওয়ার কারণে দীপ্তিহীন আগুনের নিভৃত দহনে তারা আজ পদে পদে দগ্ধীভূত হচ্ছে। উপসংহারে আমার সবিনয় উপস্থাপন, আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে একটি সূক্ষ্ম অপপ্রচার শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করার জন্য আমরা সুপরিকল্পিতভাবে সংগঠন করছি। আমরা নির্মোহ চিত্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকারের একমাত্র দাবিদার। আমরা কারও বিরোধীও নই, অঙ্গসংগঠনও নই। নির্মোহ চিত্তে বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ, তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার পথ বিনির্মাণে এবং স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং একক নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করার আমরাই সূর্যসৈনিক। আমাদের অতীত গৌরবোজ্জ্বল, আমাদের অর্জন স্বাধীনতা। মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক উপাধিতে ভূষিত করার গৌরবদীপ্ত অর্জন ছাত্রলীগেরই।

৬০ দশক থেকে আমরা যারা রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে অভিযাত্রিক- আমাদের মতাদর্শের মারাত্দক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ও স্বাধীনতার চেতনায় আমরা ছিলাম এক ও অভিন্ন। আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা শাজাহান সিরাজ। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাস করতেন, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অনুসারী। আমি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রশ্নে নিষ্কলুষ চিত্ত, আপসহীন।

তবুও শাজাহান সিরাজ আমার অনুজপ্রতিম এবং আমাদের দুটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম এবং তুলনাবিহীন। আমি দেশবাসীর কাছে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। আমি যখন তাকে দেখতে যাই তখন তিনি ছিলেন নির্বাক। জ্ঞান থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীর কাছে তিনি তার শেষ অভিলাষ ব্যক্ত করেছেন যে- স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ৪ নেতার জন্য যেন একইসঙ্গে সমাধিস্থ করার লক্ষ্যে একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি নির্মোহভাবে প্রাপ্তি-প্রত্যাশার ঊধের্্ব আমার চিত্তকে প্রতিস্থাপিত করতে পেরেছি। তবুও অনুজপ্রতিম শাজাহান সিরাজের শেষ অভিলাষটিকে তুলে ধরা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করছি।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর