শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪

মন্তব্য প্রতিবেদন

কাফফারা জাসদ দেয়নি, বঙ্গবন্ধু ও দেশ দিয়েছে

পীর হাবিবুর রহমান
অনলাইন ভার্সন
কাফফারা জাসদ দেয়নি, বঙ্গবন্ধু ও দেশ দিয়েছে

১. কাফফারা জাসদ দেয়নি। কাফফারা দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর তার পরিবার। পরিবারের নিরপরাধ নারী ও শিশু। বাঙালি জাতির ঐক্যের মিলিত মোহনায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি ঘাতকের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার মধ্য দিয়ে রক্তের বন্যায় ভাসতে ভাসতে কাফফারা দিয়েছে একটি সদ্য স্বাধীন জাতি। কাফফারা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উঠে আসা একটি তরুণ সাহসী প্রজন্ম। জাসদ স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোর দুয়ার খুলতে পারেনি। উগ্র রোমান্টিক হঠকারী পথে হাঁটতে হাঁটতে তারা শুধু জনবিচ্ছিন্নই হয়নি, রীতিমতো দেউলিয়া রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জনমত গঠনে ব্যর্থ হওয়ার মধ্য দিয়ে একটি বিভ্রান্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের বিরোধ বারবার ভাঙনের তীরে নিয়ে দলটিকে রিক্ত-নিঃস্বই করেনি মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে। দেউলিয়া জাসদের নেতারা দুই আনি ক্ষমতার অংশীদারিত্বের পুরস্কার অর্জন করেছেন। কাফফারা দিয়েছে স্বাধীনতার চেতনায় উঠে আসা একটি সাহসী প্রজন্ম। সদ্যভূমিষ্ঠ বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা একটি তরুণ প্রজন্ম সেই বিভ্রান্ত হঠকারী নেতৃত্বের হাত ধরে স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে নিঃশেষ করেছে।

এককালের প্রাচ্যের অঙ্ফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের মেডিকেল কলেজসহ সব শিক্ষাঙ্গনে তারুণ্যকে হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো অন্ধকার পথে টেনে নিয়েছিলেন জাসদ নেতৃত্ব। সেই জাসদের উচ্চাভিলাষী নেতৃত্বের দু-চার জন নানা সময়ে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও দেশ গড়ার সংগ্রামে যে তারুণ্য শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত তারা ব্যর্থতার চোরাবালিতেই ডুবেছে। সংসদের বিগত অধিবেশনে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গেলে স্বাধীনতা-উত্তর জাসদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কের সূচনা ঘটেছিল। সেখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বুকভরা দহন নিয়ে সেই জাসদের কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে এক হাত নেন। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সংসদে থাকলেও কথা বলেননি। জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইনুদ্দিন খান বাদল দাঁড়িয়ে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাদল বলেছেন, পিতার সঙ্গে বেয়াদবি বা সমালোচনা করে যদি কোনো ভুল করে থাকি তবে সেই ভুলের কাফফারা দিচ্ছি এখন! হায় সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ! মুজিবকন্যার অাঁচল ধরে নৌকায় চড়ে জীবনে প্রথম আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে সংসদে এসেছেন ছয়জন নেতা। আলাদাভাবে নির্বাচন করলে এদের অনেকে প্রার্থীই হতেন না। মন্ত্রীও হয়েছেন। অথচ বলছেন, কাফফারা দিচ্ছেন! কাফফারা দিয়েছে দেশ, জাতি, জনগণ ও তার নেতা। মাইনুদ্দিন খান বাদলরা পুরস্কৃত হয়েছেন।

এ বিষয় নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, এককালের জাসদ ছাত্রলীগের জন্মকালীন সাধারণ সম্পাদক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং কাজী সিরাজ এ নিয়ে কলাম লিখেছেন। জাসদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো ফ্যাক্টর দূরে থাক সাংগঠনিক অস্তিত্ব খুঁজতে দুরবিন লাগাতে হয়। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাসদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে গভীর গবেষণার অন্তর্নিহিত অর্থ লুকিয়ে রয়েছে।

২. জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মেজর (অব.) এম এ জলিল। যৌবনে বিদ্রোহ করলেও শেষ জীবনে দক্ষিণপন্থি ইসলামী রাজনীতির পাকিস্তানি ভাবধারায় হাঁটতে হাঁটতে মৃত্যুবরণ করেন। জাসদ নেতৃত্বের বিভ্রান্তির এখানেই শুরু নয়। ষাটের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উন্মেষ, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার প্রচার, স্বাধিকার-স্বাধীনতার আন্দোলনের পথে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভাব, সত্তরের গণরায় ও সুমহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেই সময়কার ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সিরাজুল আলম খানের অবদান ইতিহাসের ক্যানভাসে বর্ণময়, উজ্জ্বল এবং গৌরবের। '৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকি, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, এম এ রউফসহ ৬০ জন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করার মুহূর্তে একজনের নাম শূন্য থেকে যায়। তার নাম সিরাজুল আলম খান। মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান এই নেতা জাসদ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হলেও তিনি সংগঠনের কোনো পদ-পদবি নেননি। স্বাধীনতা-উত্তরকালের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইতিহাসে রহস্যময় পুরুষ হয়েই রয়েছেন। ইতিহাসের অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন তার কাছে রয়েছে। বর্তমান ও অনাগত প্রজন্মের জানার জন্যই জীবনের পড়ন্ত বেলায় তার সেসব প্রশ্নের উত্তর খোলাসা করা দরকার। জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদকে কার্ল মার্কসের ধারায় 'শুয়োরের খোঁয়াড়' বলেছিলেন। পার্লামেন্টকে রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট বলেছিলেন। সেই তিনি সেনাশাসক এরশাদের '৮৮-এর নির্বাচন যখন সব রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে তাতে অংশগ্রহণ করে গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা হয়ে প্রমাণ করেছেন, সেদিনের জাসদ নেতৃত্বের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের মুকুট থাকলেও ক্ষমতার লোভ ও মোহ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেননি। ব্যক্তিগত জীবনে তাদের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা নিজেদের প্রতি কী নির্দয় অবিচারের রূপ উন্মোচন করেছে তা জাতি দেখেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগের শাসনামলে আ স ম আবদুর রব মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা জাসদের আরেক প্রতিষ্ঠাতা শাজাহান সিরাজ হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে ইতিহাসের শাজাহান সিরাজের প্রতি কতটা অবিচার করেছেন তা ভবিষ্যৎই নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে প্রশ্ন থেকেই যায় জাসদ নেতৃত্বের হঠকারী পথে যেসব কর্মী জীবন দিয়েছিলেন তাদের রক্তের দাগ মুছতে না মুছতেই নিজেদের পরিবর্তিত অবস্থানের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা ও জবাবদিহিতা কী কর্মী, কী মানুষের কাছে না দিয়েই যেভাবে পরবর্তীতে ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন হয়েছেন বা ভাঙা-গড়ার পথ নিয়েছেন সেখানে সেই আত্দোৎসর্গকারী কর্মীদের কথা কি ভেবেছিলেন?

৩. প্রতিষ্ঠাকালীন জাসদের সহ-সভাপতির শূন্যপদটি রাখা হয়েছিল কর্নেল (অব.) তাহের বীর উত্তমের জন্য। মুজিব সরকার উৎখাতের রাজনীতির পথহাঁটা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়া জাসদের গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীতে সৈনিক সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। গণবাহিনীর হত্যা, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াওর উগ্র রোমাঞ্চকর রাজনীতি '৭১-এর পরাজিত শক্তির পাল্লাই ভারী করেনি, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ে গ্লানির তিলক পরা বিশ্বমোড়লদের হাতকেও শক্তিশালী করে দেয়। চিলির আলেন্দের মতো জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট ও পরিবেশ তৈরি করে দেয়। ৭ নভেম্বর জাসদ ও গণবাহিনীর তথাকথিত বিপ্লবের চিত্রপট প্রমাণ করে দেয় ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে কালরাত না এলেও তাদের একটি শক্তিশালী আঘাত নিঃসন্দেহে আসত বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাতের জন্য। খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিলেও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পর ৭ নভেম্বর উল্লসিত জাসদের মুখের হাসি মিলিয়ে যায় সূর্যাস্তের আগেই। জিয়াউর রহমান তাদের বিপ্লবী সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার কারণেই জাসদের কাছে হয়ে যান বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু ক্ষমতা দখলের যে পথ জাসদ ও গণবাহিনী নিয়েছিল খোদ সেনাবাহিনীতে হঠকারী বিপ্লবের বীজ বপন করে সেটি একটি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার আলোকে জাতির সঙ্গে কতটা বিশ্বাসঘাতকতা সেই প্রশ্নের সদুত্তর কখনো দেয়নি। জাসদ নেতৃত্ব বরাবরই অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। তাই ইতিহাসের কাঠগড়ায় অতীতে, বর্তমানে এমনকি ভবিষ্যতেও জাসদ নেতৃত্বকে দাঁড়াতে হচ্ছে; দাঁড়াতে হবেই।

৪. ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জনগণকে খাবার দিতে, মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন; রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই, বিধ্বস্ত যোগাযোগব্যবস্থা, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বিশ্বমোড়লদের নেতিবাচক অবস্থান মিলিয়ে এক করুণ পরিস্থিতি সেই সময় যখন মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন থেকে ফিরে আসা শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা তখন আওয়ামী লীগ যেমন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের পথে হাঁটেনি, তেমনি '৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে সিরাজ শিকদারের পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি হরতালের ডাক দিয়ে বসে। তাই নয়, রাতের অন্ধকারে বিপন্ন বাংলার পাটের গুদামে আগুন, প্রকাশ্য দিবালোকে শ্রেণিশত্রু খতমের নামে জনপ্রতিনিধিদের হত্যা, থানা লুটসহ নানা নাশকতায় লিপ্ত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের রূপরেখায় সদ্যস্বাধীন দেশের '৭২ সালের ২১ জুলাই মুজিববাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগানে বিভক্ত ছাত্রলীগের সম্মেলন ডাকার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রাণশক্তিকে বিভক্ত করে দেওয়া হয়। এই বিভক্তির দায় শুধু একা জাসদের নয়, এটি যেমন সত্য তেমনি যারা জাতির পিতাকে বিভক্ত অংশের সম্মেলনে টেনে নিয়েছিলেন তারাও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। স্বাধীন বাংলাদেশে '৭৩ সালের ১ জানুয়ারি মস্কোপন্থিরা কার ইন্ধনে হরতাল ডেকে রক্ত ঝরিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধু যখন একক নেতা, তার সামনে কথা বলার ঔদ্ধত্য যখন কারও নেই তখন তার হাতে গড়া সন্তানদের দিয়ে '৭২ সালের ৩১ অক্টোবর চরম মুজিববিদ্বেষী জাসদের জন্ম কাদের ষড়যন্ত্রের ফসল? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর ৪২ বছরেও জাতির সামনে খোলাসা হয়নি। দেশের শিক্ষাঙ্গনে যখন ক্লাস নেওয়ার শ্রেণিকক্ষ নেই, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞে শেষ হয়ে গেছে অবকাঠামো তখন ছাত্রলীগের ভাঙনের মুখে ডাকসু নির্বাচন কেনই বা দেওয়া হয়েছিল? অন্যদিকে গোটা দেশে যেখানে আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক শক্তির একচ্ছত্র প্রভাব সেখানে '৭৩ সালের নির্বাচনে কিছু কিছু আসনকে বিতর্কিত করা হলো কার স্বার্থে? এমনকি ৫০টি আসনেও যদি জাসদসহ অন্যান্য দল বিজয়ী হয়ে যেত তাহলে কী এমন সর্বনাশ হয়ে যেত? সেদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের দাবার ঘুঁটি হিসেবে উগ্রপন্থি জাসদ, সর্বহারা পার্টি, অতিবিপ্লবী চীনারা যেমন ব্যবহৃত হয়েছেন তেমনি শাসক দলের একাংশ ক্ষমতার দম্ভ আর উন্নাসিকতা এবং স্বজনপ্রীতিতে ডুবে ছিলেন। তা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের মতো রক্তাক্ত কর্মসূচি জাসদ কেন নিয়েছিল? বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসেনি। সেদিন কেন এসেছিল? সেদিনের জাসদে মুক্তিযুদ্ধের টগবগে তারুণ্যের হাত ধরে সূচনা ঘটলেও পরবর্তীতে দেশের শিক্ষাঙ্গন ও মফস্বল শহরজুড়ে দেখা গেছে জাসদের কাফেলায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন। নিষিদ্ধ ছাত্রসংঘের (ছাত্রশিবির) সদস্যরাও ঠাঁই পেয়েছেন। এমনকি পাকিস্তানি দালালদের সন্তানরা সক্রিয় ভূমিকায় জাসদ রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। সর্বোপরি গণবাহিনী গঠনের মাধ্যমে যে অরাজকতা ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল তাতে জাসদ জনবিচ্ছিন্নই হয়নি, আমজনতার রোষের মুখে পতিত হয়েছিল। এমনকি বাড়ির তরুণ লম্বা চুল রাখলে, মুরুবি্বদের সঙ্গে তর্ক করলে বলা হতো এ তো দেখি জাসদ হয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে।

৫. আমাদের রাজনীতির গৌরব হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে ভাষা ও গণতন্ত্রের অধিকার অর্জিত হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আমাদের রাজনীতির দীনতা হচ্ছে পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদ ও শাসক কিংবদন্তির নায়কে পরিণত হলেও ইতিহাস বলে তারা ফেরেশতা নন, এত সাফল্যের মধ্যে তাদেরও ভুলত্রুটি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও দলগুলো ভুল স্বীকার করে দেশের জনগণের কাছে দূরে থাক নিজ দলের কর্মীদের কাছেও ক্ষমা চাইতে জানেন না। আওয়ামী লীগ নামের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটির পরতে পরতে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হয়ে যায়, কিন্তু আজীবন গণতন্ত্রের সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে মস্কোর প্রেসক্রিপশনে আর ন্যাপ কমিউনিস্টের খপ্পরে পড়ে একদলীয় বাকশাল গঠন ছিল ভুল, তা স্বীকার করা হয়নি। উগ্র হঠকারী জাসদ ভ্রান্ত রাজনীতির পথে পথে ভুলের চড়া মাশুল দিতে গিয়ে যেমন হাজার হাজার কর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে তেমনি একটি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা হোঁচট খাইয়ে দিয়েছে, সর্বহারাসহ প্রতিক্রিয়াশীলদের লাভবান করে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতাকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে তা স্বীকার করে জাতির কাছে নেতারা ভুল চাইতে নারাজ। এদের সঙ্গে মস্কোপন্থিদের জীবিত বঙ্গবন্ধুর সামনে কখনো আনুগত্য আর হত্যাকাণ্ডের পর সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের খাল কাটা বিপ্লবের কোদাল হাতের কর্মী হওয়ার ভুলের জন্যও ক্ষমা চাইতে হয় না।

৬. স্বাধীনতা-উত্তরকালে জাসদ ও চীনপন্থিরা মুজিব সরকার উৎখাতের নামে হঠকারিতার চরম পথ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে 'গণকণ্ঠ' ও 'হক কথা' মিলিয়ে যে মিথ্যাচার হয়েছে তা একাত্তরের পরাজিত শক্তিও করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের শিক্ষাঙ্গনের তারুণ্যনির্ভর এই রাজনৈতিক শক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির পথ যতটা আগলে ধরেছে ততটা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়নি। জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু বলতেও তারা চরম কার্পণ্য দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ছাত্র সংসদগুলোয় ছাত্রলীগের বিজয়ে নির্বাচিতরা অভিষেক অনুষ্ঠানে জাতির মহান নেতার নাম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তা পণ্ড করে দিয়েছে। ডাকসুতে 'বঙ্গবন্ধুর' ছবি উঠলে জাসদের গায়েই আগুন লাগে। সেই তারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অংশীদার হয়ে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগ সরকারের গুণকীর্তনে ঘাম ঝরালেও আজও ব্যাখ্যা দেননি কেন তারা সেদিন ওই উগ্র পথ নিয়েছিলেন। কেন তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পরও জাতির জনকের প্রাপ্য সম্মান দিতে কার্পণ্য করেছেন? তবে কি তাদের সেদিনের রাজনীতি ভুল বলে স্বীকার করছেন? স্বীকার করে থাকলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে আপত্তি কোথায়? ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না একজন সৃজনশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার পছন্দের মানুষ। তিনি সম্প্রতি লিখেছেন- 'জাসদ রাজনীতি '৭৪-এর ১৭ মার্চের পর থেকে '৭৫-এর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল অ্যাডভেঞ্চারে ভরা। গণবাহিনী, ভারতীয় হাইকমিশনার সমর সেন হাইজ্যাকের চেষ্টা, ৭ নভেম্বর এবং তার পরবর্তী অভ্যুত্থানের চেষ্টা সবই ছিল উগ্র ও হঠকারিতায় ভরপুর। ফলে তছনছ হয়ে যায় জাসদ।' মাহমুদুর রহমান মান্না এই জাসদের হয়ে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোয় তার বাগ্মিতায় কট্টর মুজিব সরকার ও আওয়ামী লীগকে সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত করে তারুণ্যকে দলে টেনেছেন। সেই মাহমুদুর রহমান মান্না জিয়া-এরশাদের সঙ্গে গেলে মন্ত্রী হতেন নিঃসন্দেহে। বিএনপিতে গেলে অনেক বড় নেতাও থাকতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর তিনি কখনো বলেননি তার অতীত রাজনীতি ছিল ভুলে ভরা। জাসদ করে তারা ভুল করেছেন, তাই আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছেন। না হয় আওয়ামী লীগে কেন এসেছিলেন? আজ আবার আওয়ামী লীগ করতে না পারার বেদনা থেকেই কি সরকারের সমালোচনায় মুখর? মান্না '৭৩-এর ডাকসুর ব্যালট বাঙ্ ছিনতাইয়ের জন্য আওয়ামী লীগের অনুশোচনা হচ্ছে কি না জানতে চেয়েছেন। কিন্তু '৭৩-এর ডাকসু নির্বাচন তো আওয়ামী লীগ করেনি! ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের প্যানেল ছিল। ব্যালট বাঙ্ ছিনতাইয়ের দায় ছাত্র ইউনিয়ন নেবে না কেন?

৭. জাসদের যে কজন নেতার নাম লেখায় এসেছে তাদের কারও প্রতি আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা আক্রোশ নেই। বরং অনেকের সঙ্গে রয়েছে সখ্য। তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান মাথায় তুলে রাখার মতো। কিন্তু বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য অতীতের পোস্টমর্টেম হওয়া জরুরি। তাদের ভুলের মাশুল কতটা চড়া তা তারাই ভালো জানেন। মাইনুদ্দিন খান বাদল আওয়ামী লীগের বদান্যতায় দুবার সংসদে এসে গুণকীর্তন করেন। সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যখন বলেন, পিতার সমালোচনা বা পিতার সঙ্গে বেয়াদবি করার কাফফারা দিচ্ছেন তখন প্রশ্ন ওঠে কাফফারা কোথায় দিচ্ছেন? ক্ষমতার স্বাদ উপভোগ করছেন আর পিতার সঙ্গে এ কেমন বেয়াদবি যে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য হতে হয়েছে আপনাদের উগ্রতায়, হঠকারিতায়? এমনকি '৭৫-উত্তরকালে জিয়াউর রহমানের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় যেতে না পারার গ্লানি বুকে নিয়েও আপনারা কীসের জন্য চরম মুজিববিদ্বেষী ও আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক ছিলেন? তবে কি সেটি ভুল ছিল? নাকি আজ ক্ষমতার অন্ধ মোহে শাসকগোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য এমন করছেন?

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১২ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৩৯ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে