শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মন্তব্য প্রতিবেদন

ঘরজামাই জাপা, মোদির মন্তব্য, অতঃপর...

পীর হাবিবুর রহমান
অনলাইন ভার্সন
ঘরজামাই জাপা, মোদির মন্তব্য, অতঃপর...

১. ঘরজামাইদের জীবন গর্বের নাকি গ্লানির, পাঠকমাত্রই জানেন। ডান-বাঁয়ে দেখা কোনো ঘরজামাইয়ের গল্প লিখতে বসিনি। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল হয় রাজনীতির প্রাণ। সরকার ও জনগণ তাদের সমীহ করে। সম্মান করে। জনগণের হয়ে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জবাবদিহিতা আদায় করে। কিন্তু আজকের রাজনীতিতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন-উত্তর সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সরকারের জবাবদিহিতা আদায়ের জায়গা থেকে সরে ঘরজামাই হয়ে উঠেছে। সমালোচনা নয়, জয়গান করে। সরকার যেন কোথাও ভুল করে না। ভুল করতে পারেই না। এমন ঘরজামাই বিরোধী দল সরকারকে স্বৈরশাসক বানায়। একনায়ক বানায়। স্বাধীনতা-উত্তরকালে ন্যাপ-সিপিবি সংসদের বাইরে আওয়ামী লীগের ঘরজামাই হয়েছিল। বাকশালে সাইনবোর্ড খুলে সতীত্ব বিসর্জন দিয়েছিল। অবশেষে ময়দানে বিলুপ্ত। এখন সরকারের ঘরজামাই জাতীয় পার্টি। ঘরজামাই জাতীয় পার্টি সরকার ছেড়ে যাচ্ছে না। ঘরজামাই জাতীয় পার্টি, অনুগত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা আর নিঃশর্ত ১৪ দল নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকারের যাত্রা অব্যাহত থাকবে। সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির মন্তব্য ‘বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছেন, রক্ষা করছেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য ভারত সবকিছুই করবে। বাংলাদেশ ও ভারতের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত।’ এ মন্তব্যের পর আরেক দফা বিদেশনির্ভর রাজনীতিতে পথহাঁটা বিএনপি হোঁচট খেল। পর্দার অন্তরালে বিএনপি নেতারা এবং তাদের সুহৃদরা বলাবলি করছিলেন, পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য ভারতকে আস্থায় নেবে। এমনকি অনেকের ভাবনা ছিল জাতিসংঘের আসন্ন অধিবেশনে যোগদানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে নরেন্দ্র মোদি সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের তাগিদ দেবেন। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী দায়িত্ব লাভের পর প্রথম দিল্লি সফরকালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভের পর যে বক্তব্য পেয়েছেন তাতে এখানকার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির আশার বেলুন চুপসে গেছে। মাহমুদ আলী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ সফরের দাওয়াতও পৌঁছে দিয়েছেন। এদিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল যখন ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিলেন তখন দেশের রাজনীতি চরম সহিংসতায়ই রূপ নেয়নি, ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিলে জামায়াত দুই দিনের ঢিলেঢালা হরতাল ডাকলে প্রথম দিন জনজীবনে স্বস্তি ছিল। রাজনীতির অন্দরমহলে বিএনপিকে একা করার প্রক্রিয়ায় জামায়াতের সঙ্গে সরকারের একটি গোপন সমঝোতার গন্ধ বা আভাস অনেকেই পাচ্ছেন। যদিও দুই তরফ থেকেই তা অস্বীকার করা হয়েছে। বিষয়টি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অনেকেই বলছেন, ’৭৫-উত্তরকালে কমিউনিস্ট পার্টি কৌশল বলে সেনাশাসক জিয়ার খাল কাটায় যোগ দিতে পারলে জামায়াতও সরকারের দমননীতি থেকে নিজেদের রক্ষায় বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করতে পারবে।
২. ভিশন-৪১ নিয়ে পথহাঁটা আওয়ামী লীগ সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে তো ভাবছেই না, অনেকের ধারণা আগামীতে মেয়াদ শেষের ভোটযুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার পুত্ররা ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হয়ে অযোগ্যই হচ্ছেন না, পুত্ররা নির্বাসিত জীবনে থাকলেও বিএনপি নেত্রীকে কারাগারেও যেতে হতে পারে। বিএনপির আরও নেতা-কর্মীর কপালে জুটতে পারে নানা মামলায় কারাবাস। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় নির্বাচন হলেও বিএনপিকে শক্তিশালীরূপে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে দূরে রাখার ছক করা হচ্ছে। নতুন নামে সেখানে আলাদাভাবে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। এভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনেও ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। জনপ্রিয়তার পাল্লা দূরে রেখে ক্ষমতার রাজনীতির কূটকৌশলের পথেই হাঁটছে আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষকদের মতে, ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা শেখ হাসিনাকে বিরোধী দলের রাজনীতির পথ থেকে অনেক দূর সরিয়ে দিয়েছে। নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতাই নয়, দলের নেতা-কর্মীদের লাশের বহর কাঁধে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জমানায় যে পথ তাকে হাঁটতে হয়েছিল সেই দুর্বিষহ পথে তিনি যেতে নারাজ বলেই পর্যবেক্ষকদের অভিমত। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের যে ছক নেওয়া হয়েছিল ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ ভোটের মাধ্যমে, তা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে দিয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে ঘরজামাইয়ের মতো খাইয়ে-পরিয়ে রাখা হয়েছে। এখন জাতীয় পার্টি সরকারে যায় আর সংসদে ঘুমায়। চিরাচরিতভাবে সমাজ জীবনে ঘরজামাইদের যেভাবে জামাইয়ের মর্যাদা ও আদর-যত্ন না দিলেও খেয়ে-পরে জীবনধারণের সুযোগ দেওয়া হয় এরশাদের জাতীয় পার্টিকে তা-ই দেওয়া হয়েছে। গৃহপালিত বিরোধী দলের সীমা অতিক্রম করে সরকারের মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের যে সম্মান, সমাদর, সমীহ দেওয়ার কথা তা দিতে হচ্ছে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেভাবে এসেছিলেন যদি অদৃশ্য শক্তির পরামর্শ বা উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা না দিতেন তাহলে আজকে জাতীয় পার্টি ৮০টির মতো আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের জায়গা দখল করতে পারত। এরশাদ হতেন তখন বিরোধী দলের নেতা। এ ক্ষেত্রে সমঝোতার বিরোধী দল হলেও তাতে সংসদ যেমন প্রাণবন্ত হতো তেমনি সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের উজ্জ্বলতাও কিছুটা বাড়ত। জাতীয় পার্টি ও মাঠের রাজনীতিতে অনেক শক্তিশালী আর সুসংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেত। এখনকার মতো লেজে-গোবরে অবস্থা হতো না। এখন সংসদে বিরোধী দলের অবস্থা হচ্ছে সুরঞ্জিত সেনের বক্তব্যের মতো ‘মাথাটা বিরোধী দলের, লেজটা সরকারের’। জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের ছেড়ে আসতে হবে- এ কথা বলায় জাতীয় পার্টির শেষ শক্তিস্থল রংপুরেই এখন গৃহদাহ। রাঙ্গা, তাজুলের বহিষ্কার নিয়ে পার্টিতে বিভক্তি। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এখনো পড়ে আছেন এরশাদের দিকে তাকিয়েই। এটি যেমন সত্য তেমনি বার বার তার অবস্থান পরিবর্তন নেতা-কর্মীদের করেছে চরম হতাশ। পার্টিকে করেছে দুর্বল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি সবাইকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও শেষ হাল ধরেছিলেন রওশন এরশাদ। তার সঙ্গে শক্তি হয়ে মূলত কাজ করেছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু ও তাজুল ইসলাম চৌধুরী। শেষজন রওশন এরশাদের আস্থাভাজন হিসেবে এখন পরিচিতি পেলেও প্রথম দুজন বরাবরই এরশাদের আস্থাভাজন। স্বতন্ত্র হিসেবে যারা জিতে এসেছেন তারা আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়েই ১৪ দলের শরিক, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা যতই থাকুক সরকারবিরোধী পথ নিতে পারছে না। ঘরজামাইয়ের মতোই থাকতে হচ্ছে। ১৪ দলের শরিক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরাও আনুগত্যের পরীক্ষা দিয়েই পথ হাঁটবেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসকালে জাতীয় পার্টি তো একযোগে সমর্থন দিলই, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরাও না দিয়ে পারলেন না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এমন দৃশ্য বিরল। পঞ্চম সংসদে একাদশ ও দ্বাদশ সংশোধনী বিল সরকার ও বিরোধী দলের সম্মিলিত সমর্থনে পাস হলেও সেই সংসদ ছিল জনগণের ব্যালট বিপ্লবে একটি প্রকৃত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তাই তার রূপ, রস, যৌবন ছিল অন্যরকম। আকর্ষণ ছিল চোখধাঁধানো। আর একাদশ-দ্বাদশ সংশোধনী ও ষোড়শ সংশোধনী তো এক কথা নয়। ৫ জানুয়ারির সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নির্বাচনে সংসদ গঠিত হলেও এটি রূপ, রস, গন্ধহীন, ধূসর। এর সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও উজ্জ্বলতা নেই। একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যও ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসের বিরোধিতা করে ওয়াকআউট করেননি। বাকিদের না হয় সংবিধানপ্রণেতাদের সোর্ড অব ডেমোক্রেসি খ্যাত অনুচ্ছেদ ৭০ ধারায় হাত-পা ছিল বাঁধা। প্রশ্ন হচ্ছে, এত ঘটনা শেষে অতঃপর রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে?
৩. এরশাদ যতই বলুন জাতীয় পার্টি বিএনপির শূন্যস্থান পূরণ করে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে, সেখানে মানুষের আস্থার সংকট দেখা দেয়। ’৯০-উত্তরকাল থেকে এ পর্যন্ত মামলার জালে বন্দী এরশাদকে স্বাধীনভাবে রাজনীতিতে সাঁতার কাটার সুযোগ কখনো দেওয়া হয়নি। এবার দেওয়া হবে সেই সম্ভাবনাও নেই। বিরোধী দলকে তাই সংসদে ফরমালিন নিয়েই আলোচনামুখর থাকতে হবে। এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা করে সংসদকে প্রাণবন্ত করার কথা কেউ কেউ ভাবলেও পর্যবেক্ষকদের মতে, শেখ হাসিনার সেই ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগ নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এরশাদ যে ধাক্কা দিয়েছেন তার ধকল এখনো তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই আর যাই হোক, এরশাদকে হাত-পা খোলা রেখে সাঁতার কাটতে দিচ্ছেন না। জাতীয় পার্টিকে জামাইয়ের মর্যাদা ও সম্মান নয়, ক্ষমতার অংশীদারদের সঙ্গে ঘরজামাই হয়েই খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। জাতীয় পার্টির অনেকেও সেভাবেই স্বতন্ত্র সত্তা ভুলে গিয়ে কথা বলছেন। কাজ করছেন।
৪. সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি নেতা-কর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছেন। হতাশার চাদরে ঢাকা বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে পারবে এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। নেতা-কর্মীরা আদালতে দৌড়াবেন নাকি রাজপথে লড়বেন, সে প্রশ্নই সামনে ঝুলছে। তবুও মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। অতঃপর কী হবে? ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে শিবিরের হরতালের দিন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠকসূচি বাতিলের মাধ্যমে যে খেসারত দেওয়া শুরু হয়েছিল বিদেশনির্ভর রাজনীতির পথে পা বাড়ানো দলটিকে এখন তার চড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে। কংগ্রেসের করুণ পরাজয় ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ভারতের ক্ষমতায় বিজেপির অভিষেক দেখে এখানকার বিএনপি যখন অতিমাত্রায় উল্লসিত হয়ে উঠেছিল তখনই প্রশ্ন এসেছিল- কেন এ উল্লাস? নরেন্দ্র মোদি ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থ বড় করে দেখবেন নাকি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কে ক্ষমতায় এলো, কে গেল সেটি দেখবেন? তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাগড়া বসানো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন সারদা কেলেঙ্কারির সুযোগে দিল্লি সরকারের এখন হিসাব নেওয়ার পালা। সেই পালা শুরু হয়েছে। সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই কাজ করে। ভারতের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায় রাতের আঁধারে দিল্লি সফরে গেলেও কাজ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে মমতার দুর্গ ভাঙতে নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি ছয় দফা হানা দিয়েছেন। এখন ছেড়ে দেবেন এমনটি ভাবার কারণ নেই। কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে বিদায় নিয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় মোদির নেতৃত্বে বিজেপি এসেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধানে পথহাঁটা অব্যাহত রেখেছেন। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী অবস্থান থেকে হিন্দুত্ববাদের স্লোগান দিয়ে উঠে আসা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি আর যাই হোক এখানে আইএসআইয়ের তৎপরতা বাড়ুক, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের ফের উত্থান হোক সেটি চাইবেন না। এটি আগেই অনেকে বলে এসেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ও পারস্পরিক সফরের আগেই তার আলামত মাহমুদ আলীর সফরে দেখা যাচ্ছে। এখানেই শেখ হাসিনার চিবুকে হাসির ঝিলিক, খালেদার চোখে বিস্ময়, বিষণ্নতা। তবুও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অতঃপর কী হবে আমাদের রাজনীতি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের শীতল সম্পর্ক বিএনপি খুশি মনে দেখলেও শেখ হাসিনা যে জাপান-চীন-রাশিয়ার সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সম্পর্কের নতুন দুয়ার খুলেছেন সেটিই তাকে পশ্চিমাদের সঙ্গে বরফ গলাতে সহায়তা দেবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।
৫. প্রশ্ন সর্বত্রই উঠছে- জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নির্বিঘ্নে শেখ হাসিনার সরকার কীভাবে ভিশন-৪১ লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবে? রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো সুযোগ যে নেই তা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠীর যে সমর্থন সেটিকে অবজ্ঞা করার সুযোগই বা কতদূর? অন্যদিকে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ থেকে সাধারণ মানুষ আর হরতাল-অবরোধ, সহিংসতার রাজনীতি যেমন দেখতে চায় না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার কর্মসূচি যেমন আশা করে না তেমনি এটিও ঠিক সরকারকে দেখতে চায় গণমুখী ও জবাবদিহিমূলক। সরকার কি দুর্বল ঘরজামাই বিরোধী দল সংসদে বসিয়ে, মুখরোচক কথাবার্তায় অভ্যস্ত গণবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার ভাগ দিয়ে দীর্ঘ পথ নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারবে? দেশের ব্যবসায়ী সমাজসহ পেশাজীবীদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হবে নাকি সহযোগিতার উষ্ণ দুয়ার খুল দেবে? প্রশাসনকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বাধতে বাধতে দলীয়করণের চূড়ান্ত পথে নিয়ে যাবে নাকি মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচারে জনগণের কল্যাণে পেশাদারিত্বের ওপর দাঁড় করাবে? গণমাধ্যমকে তির্যক বাক্যবাণে দূরে ঠেলে দেবে নাকি আস্থায় নেবে? ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে? শেয়ার মার্কেট চাঙ্গা করে রিক্ত নিঃস্ব বিনিয়োগকারীদের দাঁড় করাতে পদক্ষেপ নেবে? নাকি আবার চাঙ্গা আবার পতন? শাসক দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সংঘর্ষ কঠোর হাতে দমনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে? দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত ও উৎসাহদানে প্যাকেজ প্রোগ্রাম নিয়ে মানুষের আস্থায় অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনবে? দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাবে? উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ লুটপাট আর সীমাহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে সরকার কঠোর ভূমিকা নেবে? জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংলাপের দরজা খুলে দেবে? সমঝোতার রাজনীতির বাতাবরণ তৈরি হবে নাকি সরকার ক্ষমতার সিঁড়িপথে তার লক্ষ্য অর্জনে হেঁটে যাবে? কিছু দিন আগে শেখ হাসিনার কট্টর সমালোচক এক সাংবাদিক আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকে বলেছেন, আপনাদের নেত্রীর সঙ্গে বিএনপি পারবে না। যিনি ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পরিশ্রম করেন তার সঙ্গে পারে কীভাবে? বিএনপি চ্যাপ্টার আপাতত ক্লোজড! এটিও বললেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেককে দেখলে মনে হয় তারা ক্ষমতায় আজীবন থাকবেন! এর কারণ আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতানির্ভর। ক্ষমতা শেখ হাসিনানির্ভর। দল শক্তিশালী জনপ্রিয় না হলে এই ক্ষমতার দৌড় কত দূর? সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল পাসে সবাইকে এক করতে শেখ হাসিনা তৎপর ছিলেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও দলের সাধারণ সম্পাদক বিদেশে কেন? তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, অতঃপর কী হবে? ঘরজামাই জাতীয় পার্টি, অনুগত শরিক আর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়ে নির্বিঘ্নে পথচলা কতকাল?

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর