শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৭, সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬ আপডেট:

তৈল মর্দনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
তৈল মর্দনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি!

তৈল মর্দনের অর্থ বোঝে না এমন লোক বর্তমান সমাজে নেই বললেই চলে। তেলের বাহারি ব্যবহারের হাজারো উপকার নিয়ে লিখতে গেলে বিরাট এক মহাকাব্য তৈরি হয়ে যাবে। তেল কত প্রকার এবং কী কী অথবা তেল কোন কোন অঙ্গে কিরূপে মর্দন করলে কতটুকু সুফল পাওয়া যাবে তাও ইদানীংকালের তেলবাজরা মোটামুটি জেনে ফেলেছেন। তারা হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল রচনাটির কয়েকটি লাইন প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছেন এবং বংশপরম্পরায় নিজেদের আওলাদ ও আওলাদদের কেউ তা মুখস্থ করার জন্য ওসিয়ত সম্পন্ন করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন— ‘বাস্তবিক তৈল সর্বশক্তিমান, যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যায় অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য— তাহা কেবল তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।’ তিনি আরও বলেন— ‘যে তৈল দিতে পারিবে তাহার বিদ্যা না থাকিলেও প্রফেসর হইতে পারে। আহাম্মক হইলেও ম্যাজিস্ট্রেট হইতে পারে, সাহস না থাকলেও সেনাপতি হইতে পারে এবং দুর্লভ রাম হইয়াও উড়িষ্যার গভর্নর হইতে পারে।’

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতে ১৮৭৭ সালে এবং তার মৃত্যুও হয়েছিল সেই আমলে অর্থাৎ ১৯৩১ সালে। ধারণা করা হয় আজি থেকে শতবর্ষ পূর্বে তিনি তৈল রচনাটি লিখেছিলেন সমসাময়িক অবস্থার অধঃপতিত চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য। তিনি তৈলের ব্যবহারের নানা দিক আলোচনা করেছেন বটে। তবে কখন এবং কোন প্রযুক্তিতে তেল মর্দন করতে হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বলে শুধু ইঙ্গিতে বলেছেন— ‘কিন্তু তৈল দিলেই হয় না, দিবার পাত্র আছে।  সময় আছে, কৌশল আছে।’ তিনি তৈলদানের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বলে গিয়েছেন। লোকজন গত একশ বছর ধরে শাস্ত্রী বাবুর তৈল রচনায় বিমুগ্ধ হয়ে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে তেলের বিস্তার ঘটিয়েছেন মারাত্মক এবং আশঙ্কাজনকহারে; কিন্তু তেল প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রযুক্তির অভাবে প্রায়ই নানান অঘটন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। গত একশ বছরে কোনো জনদরদি একটিও তৈলদানের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেননি। কারণ সবাই তৈল মর্দন করতে এবং তৈল মর্দন পেতে সীমাহীন আবেগ-উল্লাস হৃদয়ে ধারণ করেন বটে কিন্তু প্রকাশ্যে বলে বেড়ান— আমি কোনো তেল মারামারিতে নেই অথবা আমাকে তেল মারার সাধ্য কোনো বাপের বেটা বা বেটির নেই। কাজেই তৈলদানের বিদ্যালয় যে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা পাওয়া দুষ্কর হবে তা যেমন আমি বুঝি তেমনি শাস্ত্রী বাবুও বুঝেছিলেন।

২০১৬ সালের বাংলাদেশে চলতে ফিরতে চারদিকে যে তেলের বন্যা দেখা যাচ্ছে তাতে যদি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা না হয় তাহলে যে কোনো মুহূর্তে তেলসংক্রান্ত মহাবিপর্যয় বা সুনামি দেখা যেতে পারে। তেলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, তেল মর্দনের সনাতনী পদ্ধতি এবং মর্দনে ব্যবহার্য তেলের গুণগতমানের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা গাইড লাইন না থাকার কারণে তৈলজাত রোগবালাই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সর্বত্র ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। তৈল রোগে আক্রান্ত ক্ষমতাবান বৃদ্ধ নাতনির বয়সী যুবতীর সঙ্গে প্রকাশ্যে তিড়িং বিড়িং করে নাচছেন— অকালপক্ব বালক গলায় রুদ্রক্ষের মাল্য ধারণ করত : নিজেকে সিদ্ধি বাবা বলে প্রচারে নেমেছেন। অন্যদিকে অশীতিপর বৃদ্ধা তার যুবতীকাল ফিরে পেয়েছেন বলে সকাল-বিকাল সে সাজসজ্জার বাহার দেখাচ্ছেন তাতে বঙ্গদেশের সামাজিক ভারসাম্য ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কাজেই একজন সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমার জন্য ফরজ হয়ে পড়েছে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত তৈল রচনাটির ২০১৬ মডেল অর্থাৎ সর্বাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তৈল মর্দনের গুপ্তরহস্য উপস্থাপন করা।

আপনি যদি একজন অতি উত্তম আধুনিক ডিজিটাল তৈল মর্দনকারী নায়ক হতে চান তবে প্রথমেই নিজের কর্মের সপক্ষে যুক্তি দাঁড় করুন। আপনি এমন একটি জিনিস বা এমন কতগুলো ফায়দা হাসিল করতে চান— যা সোজা পথে রাতদিন পরিশ্রম করে কয়েক যুগ অপেক্ষা করার পরও পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ আপনার অলসতা, অশিক্ষা, চরিত্রহীনতা এবং নির্বুদ্ধিতা আপনার কাঙ্ক্ষিত মাকামে কোনো দিনই পৌঁছতে দেবে না। আপনি যা চান তা পাওয়ার জন্য অন্য যারা চেষ্টা করছেন তাদের কেউ কেউ সৎ, পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান এবং চরিত্রবান মানুষ। কাজেই পরিশ্রম এবং প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে আপনি তেল মারার উপায় খুঁজতে থাকুন। এ পথেও বহুৎ ঝক্কিঝামেলা রয়েছে। আপনার মতো শত শত স্থূলবুদ্ধির বিবেকহীন ধড়িবাজ বড় বড় তেলের ড্রাম মাথায় নিয়ে নিষিদ্ধ প্রাণীর মতো গোঁৎ গোঁৎ শব্দে কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছে। তারা সমস্বরে ইয়া তেলু, ইয়া তেলু মেরি মাকাম তো হাসিল কর দিয়া বলে কোমর দুলিয়ে এমনভাবে চলছে যে বহনকারী তেলের ড্রাম থেকে ভেজাল তেলের গাদ পড়ে পুরো রাস্তাটিকে পঙ্কিল, পিচ্ছিল এবং দুর্গন্ধময় করে দিচ্ছে। আপনি তাদের বালখিল্যময় উত্তেজনা এবং ভেজাল তেলের গাদযুক্ত ড্রাম দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন— না, আপনি ওমনটি করবেন না। নতুন পদ্ধতিতে এবং রীতিমতো গবেষণা করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তেল মারার উপায় খুঁজে তারপর কাঙ্ক্ষিত বস্তুর পানে দৌড়াবেন।

আপনি প্রথমেই নিজের চালচলন, বাচালতা, রাগ চণ্ডাল স্বভাব, রুচি, হাসি এবং হাঁ করে হাই তোলার অভ্যাসগুলো ভিডিও করুন। খাবার দাবার গ্রহণের, হাঁচি কাশি দেওয়ার ভঙ্গি, কেউ সুরসুরি দিলে কিরূপে লাফ মারেন তাও সতর্কতার সঙ্গে ভিডিও করুন। পেটের পাকস্থলীতে অম্ল যন্ত্রণা হলে আপনার মুখটি কেমন হয় তা যেমন আপনার জানা দরকার তেমনি পেটের ক্ষুধা, বুকের ক্ষুধা এবং চোখের ক্ষুধার কারণে স্থান কাল পাত্র ভেদে আপনার কিরূপ ভাবভঙ্গি হয় তা জেনে নিতে পারলে তৈল মর্দনে আপনি অধিকতর সফলতা লাভ করবেন। সক্রেটিসের ‘নিজেকে চেনো’ সূত্রের অনুসরণে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তা, বোকামি, কাজ করার ক্ষমতা এবং অক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করুন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, তেল মর্দন হলো একটি ভয়ঙ্কর প্রতারণা এবং চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের চেয়েও জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্ম। এ কাজের  জন্য আপনার নিখুঁত অভিনয় দক্ষতা, নির্বিচার এবং ভাবলেশহীনভাবে অনবরত মিথ্যা বলার কৌশল রপ্ত করা এবং একটি নিখুঁত শয়তানি মন ও রাক্ষসীয় মানসিকতা অর্জন করা অতীব জরুরি যার জন্য আপনার দরকার পড়বে কঠোর অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণ।

তেল মর্দনকারী হিসেবে নিখুঁত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা লাভের উত্তম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলো আপনার পরিবার। মনে রাখবেন— যে কাজ আপনি পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নিখুঁতভাবে করতে পারবেন না তা বাইরের লোকের সঙ্গে করা একেবারেই অসম্ভব। কাজেই মনের মধ্যে শুয়োরের মতো নোংরামি, হায়েনার মতো হিংস্রতা এবং শেয়ালের মতো ভণ্ডামি ধারণ করে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা এবং পিতা-মাতাকে যখন বিশ্বাস করাতে পারবেন যে আপনি হরিণ শাবকের মতো নিষ্পাপ, খরগোশ ছানার মতো শান্তশিষ্ট এবং মানব শিশুর মতো সরল ঠিক তখনই বুঝবেন তেলবাজির সফলতা আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আপনজনকে ঠকানো আরম্ভ করুন। এমন কৌশলে ঠকান যাতে করে তারা কোনো অবস্থাতেই আপনার পিশাচ চরিত্রের সন্ধান যেন টের না পায়। আপনি অকারণে নির্ভুল এবং আকর্ষণীয় বিশ্বাসযোগ্য ভঙ্গিমায় মিথ্যা বলা রপ্ত করুন এবং তা সবার আগে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা এবং পিতা-মাতার ওপর প্রয়োগ করুন। মিথ্যায় বুত্পত্তি অর্জনের পর আপনি প্রতারণা শুরু করুন। আপনজনকে নির্ভুলভাবে প্রতারিত করুন, ঠকান এবং বঞ্চিত করুন। এভাবে করতে করতে একদিন আপনার হৃদয় পাষাণ হয়ে যাবে- আপনার অনুভূতিসমূহ এবং বিবেক মরে যাবে। ফলে আপনি নিখুঁতভাবে তেলবাজি করার জন্য একজন অতি উত্তম পদার্থ বলে বিবেচিত হবেন এবং তেলনায়ক হিসেবে আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে পথ চলা আরম্ভ করবেন।

তেল রাজ্যের একজন নায়ক হিসেবে আপনার জীবনের দ্বিতীয় পর্ব হবে তেল মর্দনের পাত্র কিংবা পাত্রী নির্বাচন করা। নির্বাচিত পাত্র কিংবা পাত্রীর সামনে গিয়ে তাকে খুব ভালোভাবে রেকি করুন। তার পদ-পদবি, ক্ষমতা, দুর্বলতা, আচার-আচরণ, শিক্ষা-দীক্ষা, পছন্দ-অপছন্দ সব কিছু খুব ভালো করে জেনে নিন। তার খাওয়া-দাওয়া, মুদ্রাদোষ, পোষা প্রাণী বা গৃহপালিত পশু-পাখি সম্পর্কেও আপনার সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। আপনি আপনার তেল গুরুদের মর্মবাণী স্মরণ করুন। তেল তত্ত্বের গুরুদেব বলেন— তেল মর্দনকারীরা সব সময়ই নিজেকে অধিকতর জ্ঞানী ভাবে এবং যাকে তেল মারে তাকে খুব বোকা-সোকা বলে গণ্য করে। আপনি গুরুদেবের মর্মবাণীর সঙ্গে নতুন এক ডিজিটাল ফর্মুলা যোগ করুন। যাকে তেল মারবেন তাকে আপনি একটি উপাদেয় খাদ্যপণ্য ভাবুন। আপনি যদি পিজা পছন্দ করেন তবে গরম গরম পিজা মনে করে নিজের জিহ্বাটি নাড়াচাড়া করতে থাকুন। যদি বার্গার আপনার পছন্দের খাবার হয় তবে চিজ এবং সচসমেত টাটকা এবং গরম বার্গারটিকে কীভাবে কামড় দেবেন সে কথাও চিন্তা করতে পারেন। চিকেন বা মুরগির প্রতি দুর্বলতা থাকলে নিজের পছন্দ বা রুচি মোতাবেক ঝাল মশলাযুক্ত করে মুরগিটিকে রোস্ট বা ফ্রাই করে ফেলুন এবং গোল গোল চোখে সেই ফ্রাই অথবা রোস্টেড মুগরির দিকে তাকিয়ে থাকুন।

আপনার তেল মর্দনের বস্তুটিকে উপরোক্ত উপায়ে খাদ্যপণ্য ভাবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার জিভে লালা চলে আসবে। লোভে আপনার মুখের ভিতর টস টস শব্দ শুরু হয়ে যাবে। আপনার চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং আপনাকে অনেক উত্ফুল্ল দেখাবে। তেল মর্দন করার জন্য আপনি যাকে উপলক্ষে করেছেন সে আপনার সার্বিক অবস্থা দেখে মনে করবে আপনি তার একান্ত আপনজন এবং শুভার্থী। সে আপনার দিকে এমনভাবে এগিয়ে আসবে যাতে করে আপনি নিরাপদে এবং ইচ্ছেমতো তেল মারার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তৃতীয় পর্বে এসে আপনি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তেল মর্দনের জন্য স্থান, কাল, পাত্র ইত্যাদি বিবেচনা করবেন। আপনার তেল মর্দনের বস্তুটি যদি বাচাল হন তবে আপনার নীরবতা এবং গুরুগম্ভীরতাই উত্তম তেল বলে বিবেচিত হবে। লোকটি যদি অস্থির প্রকৃতির হয় তবে আপনি স্থির থাকুন আপনি চলতে ফিরতে কথায় কর্মে এমন বিনয়ী ভাব দেখান যাতে আপনাকে দেখলে ভ্যাদা মাছ বা বাইল্যা মাছ বলে মনে হয়। নিজের জ্ঞান গরিমা বুদ্ধিশুদ্ধি সব বালিশের মধ্যে ঢুকিয়ে শূন্য মস্তিষ্ক নিয়ে তার সামনে দাঁড়ান। তারপর নিজের পরিবারের কিংবা আত্মীয়স্বজনের দৈনন্দিন ছোটখাটো সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে উপদেশ প্রার্থনা করুন।

আপনার সমস্যার কথা শুনে তিনি একদফা আপনাকে ভর্ত্সনা করবেন। এ সময় আপনি মাথা নিচু করে থাকুন। সম্ভব হলে অনুশোচনার ভান করুন এবং বারবার চোখ কচ্চলাতে থাকুন। তিনি যখন উপদেশ প্রদান শুরু করবেন তখন সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চোখে-মুখে আবেগ, উত্ফুল্লতা, বিনয় এবং কৃতজ্ঞতা ফুটিয়ে তুলুন। অত্যন্ত লাজুক দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকান এবং নিজের দুর্বলতা ও অক্ষমতার জন্য মৃদুস্বরে নিজেকে ধিক্কার দিন। এত চমৎকার উপদেশ কি কোনো মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব এমনটি ভেবে নিজের চোখ দুটিকে বারবার গোল গোল করে ফুটিয়ে তুলুন। এরপর উপদেশগুলো নিয়ে চলে যান এবং সময়মতো ফিরে এসে উপদেশের জাদুকরী ফলাফল তেলঝোল মেখে পুনরায় বর্ণনা করুন। দেখবেন তেল রাজ্যে আপনি চতুর্থ পর্বে উন্নীত হয়ে গেছেন। এবার আপনি তেল মর্দনের বস্তুটিকে নিজের মালিক ভাগ্যবিধাতা পীর অথবা মোরশেদ বানিয়ে নিন। কথায় কথায় কদমবুচি করুন। তার সামনে অকারণে দাঁড়িয়ে থাকুন। তার সব কথায় সায় দিন। সে রাগ হলে আপনি তাতে ইন্ধন জোগান। অর্থাৎ সে যদি কারও সঙ্গে রাগ করে উত্তেজিত হয়ে পড়ে তবে আপনি সাবধানে ফোড়ন কাটুন যেন তার রাগ বেড়ে যায় বহু গুণে। এতে লোকটি ওজন হারিয়ে ফেলবেন এবং আপনাকে অধিকতর তেল মর্দনের সুযোগ করে দেবেন।

পঞ্চম পর্বে আপনি তেল মর্দনকারীকে মালিক হিসেবে সম্বোধন করবেন এবং নিজেকে চাকর অথবা খাদেম বলে পরিচিত করে তুলবেন। আপনার মালিকের আশপাশের লোকজন আপনাকে তেলবাজ, চামচা, মদনা, রামছাগল, নেড়িকুত্তা, বিলাই, মিউমিউ ঘেউ ঘেউ ইত্যাদি নামে আড়ালে-আবডালে যতই ভর্ত্সনা করবে ধরে নেবেন আপনি ততই সফল তেলবাজে পরিণত হয়েছেন। এবার আপনি আপনার মালিককে চমৎকার কিছু উপহার প্রদান করুন। উপহারগুলো যদি খাদ্য, পানীয় অথবা নিত্যব্যবহার্য বস্ত্র হয় তবে সব দিক থেকে তা উত্তম বলে বিবেচিত হবে। মালিকের স্নেহ-ভালোবাসা এবং ঘৃণার গোপন ও দুর্বলতম জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন। তিনি যখন উত্ফুল্ল থাকবেন তখন স্নেহ-ভালোবাসার বিষয়গুলো তার সামনে মেলে দরুন এবং ক্রোধের সময় ঘৃণার বিষয়গুলো নিয়ে আসুন। এতে করে আপনার মালিক কখনো খুশিতে আটখানা হয়ে ওজন হারিয়ে তিড়িং বিড়িং করে লাফালাফি শুরু করবেন। অন্যদিকে, ক্রোধের সময় উত্তেজিত হয়ে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত খুশি কিংবা অতিরিক্ত ক্রোধের সময়কালটিই হলো আপনার জন্য তেল মর্দনের অতি উত্তম মওকা। পঞ্চম পর্ব সাফল্যজনকভাবে অতিক্রম করলেই আপনি তেল মর্দনের মধু দেওয়ার সন্ধান পেতে আরম্ভ করবেন যা আপনাকে ষষ্ঠ ধাপে পৌঁছে দেবে। এই পর্যায়ে মালিক আপনাকে স্বেচ্ছায় অনেক গোপন কথা বলবেন। নিজের গোপন অভাব, অভিযোগ এবং চাহিদা তিনি অকপটে আপনার কাছে প্রকাশ করে দেবেন। আপনি সহানুভূতি জানাতে থাকুন এবং মালিকের সব গোপন কর্মে সমর্থন দিতে থাকুন। এরপর তার গোপন কর্মে সহযোগী হয়ে যান। তার প্রয়োজনসমূহ সাপ্লাই দিন। কিন্তু সাবধান— মালিকের কোনো কিছুতেই ভাগ বসানোর চেষ্টা করবেন না। এমনকি তার ব্যবহার্য উচ্ছিষ্টসমূহকে সম্মান এবং সমীহ করুন। মালিকের সঙ্গে কূটনামী, চোগলখুরী এবং বিশ্বাসঘাতকতার কথা চিন্তাও করবেন না। তার গোপন বিষয়, দুর্বলতা ইত্যাদি আপনার একান্ত নিকটজনের কাছেও প্রকাশ করবেন না। এমনকি একান্ত বসে ওসব নিয়ে ভাববেনও না। মনে রাখবেন, মালিক যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার আনুগত্য জবান, চোখের চাহনি এবং শ্রবণ শক্তিকে তার পোষা প্রিয় কুত্তা-বিলাইয়ের মতো নিরাপদ মনে না করবেন ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না।

তেলবাজির সর্বোচ্চ মাকাম বা স্তরকে বলা হয় সপ্তম পর্ব। এটি একটি সৌভাগ্যময় সংখ্যা। আসমান ও জমিনের রয়েছে সাতটি স্তর। আবার দোজখের সংখ্যাও কিন্তু সাত। আপনার মালিক যেদিন আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন সেদিন আপনি তেলবাজির সম্রাটে পরিণত হয়ে যাবেন। আপনার মালিক কেবল প্রকাশ্যে আপনার ওপর আধিপত্যের অভিনয় করবেন— কিন্তু একান্তে আপনিই হবেন মালিক এবং তিনি হবেন আপনার পোষা প্রাণী— ঠিক যেমনি ঘটেছিল ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি এবং তার সেনাপতি মালিক কাফুরের ক্ষেত্রে।       


লেখক : কলামিস্ট।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়