শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৯, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

আলী রীয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
Not defined
অনলাইন ভার্সন
গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন।

পৃথিবীজুড়ে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে। যারা গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিসর বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদের লেখায় গত এক দশক ধরেই এ কথা পুনঃপুনঃ বলা হয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করেন তাঁদের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, আমরা যে সময়ে বাস করছি তা আসলে গণতন্ত্রের যুগ নয়। এই দুঃসময়ে একজন বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? তিনি কী করবেন? একটি সমাজের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে চিন্তকের ভূমিকা কি হবে সেই প্রশ্নটি উঠছে কেননা যে কোনো সময়ের চেয়ে আজকে তাঁর ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজনীয়, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকার আলোচনা করতে হলে বোঝা দরকার বিরাজমান সংকটের রূপ কি, তার বৈশিষ্ট্য কি।

বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্রের এই সংকটের ব্যাপ্তিটা বোঝা যায় প্রাপ্ত তথ্য থেকেই। ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সর্বশেষটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছর ধরে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের বিষয়ে তাঁদের সংগৃহীত তথ্যের বিবেচনায় ২০১৯ সালে ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। গত বছর কোনো গণতান্ত্রিক দেশের অকস্মাৎ নাটকীয় পতনের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের যে ক্রমাগত ক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এখন মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশের কম নাগরিক সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ভোগ করেন। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করেন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে; সব মিলে ৪৮ শতাংশ মানুষের আছে সম্পূর্ণ বা আংশিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন গণতন্ত্রের অধিকার বঞ্চিত। অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে সেটা বোঝার জন্য এই তথ্য মনে রাখা দরকার যে, ২০১৪ সালের হিসাবে বলা হয়েছিল সারা পৃথিবীর ১১৫টি দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করছেন।

সংকটের এই মাত্রা কেবল বৈশ্বিক নয়। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাকে ক্ষমতাসীনরা যদিও দাবি করেন ‘গণতন্ত্র’ বলে কিন্তু তাঁকে আমার বড়জোর হাইব্রিড রেজিম বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা বলতে পারি। এই ধরনের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো দৃশ্যত গণতান্ত্রিক অর্থাৎ এগুলোতে গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান উপস্থিত থাকে; কিন্তু মর্মবস্তুর দিক থেকে এগুলো হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি, উপর্যুপরিভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ, সংবিধানের পরিবর্তন এবং বিষাক্ত মেরুকরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য যে অশনিসংকেত বহন করছিল তা ২০১৩ সালেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল (আলী রীয়াজ, ‘ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন?’, প্রথম আলো, ১৮ নভেম্বর ২০১৩)। গত সাত বছর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থার যাত্রা সেই অভিমুখেই হয়েছে। এই ধরনের হাইব্রিড শাসনের আওতায় আছে পৃথিবীর ৩৭টি দেশ- বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। অতীতে সারা দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের উল্টো যাত্রার ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়- ১৯২২ থেকে ১৯৪২ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৫। কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার করেনি যেখানে গণতন্ত্রের দৃশ্যমান উপাদানগুলো বহাল রেখেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে গত কয়েক দশকে। নব্বই দশকের সূচনায় যখন আশা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র এক বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হবে সেই সময়ে এটা ভাবা যায়নি কি করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান এবং উপাদানগুলোকে ব্যবহার করেই এমনকি সংগঠিত গণতন্ত্রে ক্ষয়ের সূচনা হবে।

যে সব দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, গণতন্ত্রের ক্ষয় হয়েছে সে সব দেশে উদ্ভদ হয়েছে এমন এক শাসনব্যবস্থা যেগুলো নাগরিকের অধিকারকে সংকুচিত করেছে, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমের ওপরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত স্বৈরতন্ত্র অতীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করত, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করত সেখানে নতুন ব্যবস্থা সীমিত আকারে এগুলো বহাল রাখে এটা দেখানোর জন্য যে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়নি’। এই নতুন ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ ঘটে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সারভাইভেল নামের একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এরিকা ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর দেখান যে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যতগুলো দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, যাকে লেখকরা বলছেন ‘অথরিটারিয়ানাইজেশন’- ‘স্বৈরতন্ত্রীকরণ’ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র তৈরি করেছে (ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর, ‘দ্য এভ্যুলেশন অব অটোক্রেসি : হোয়াই অথরিটারিয়ানইজম ইজ বিকামিং মোর ফরমিডেবল, সারভাইভেল, ভলিউম ৫৯, সংখ্যা ৫, ২০১৭)। এ ধরনের শাসকদের এখন এখন ‘নব্য-স্বৈরাচারী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়। ফ্রিডম হাউস কর্তৃক ২০১৭ সালে প্রকাশিত আর্চ পাডিংটনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এদের ‘মডার্ন অথরিটারিয়ান’ বলে চিহ্নিত করেছে (ফ্রিডম হাউস, ‘ব্রেকিং ডাউন ডেমোক্রেসি : গোলস, স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড মেথডস অব মডার্ন অথরিটারিয়ান,’ জুন ২০১৭)। 

এই নতুন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের যে দৃশ্যমান বিষয়গুলো টিকিয়ে রাখা হয় তার মধ্যে আছে নিয়মিত নির্বাচনের আয়োজন; কিন্তু সেসব নির্বাচন গণতন্ত্রের উপাদান হয় না, গণতন্ত্রায়নের জন্য এসব নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র বিষয়ক গবেষকদের অন্যতম আন্ড্রিয়াস শ্যাডলার ২০০২ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেছিলেন যে এই ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়ে ওঠে ‘কর্তৃত্ববাদের ইনস্ট্রুমেন্ট’ সহজ করে বললে স্বৈরতন্ত্রের অস্ত্র। এই লেখা প্রকাশের পর আঠারো বছর পার হয়েছে এবং এ সময়ে আমরা দেখেছি দেশে দেশে কীভাবে নব্য-স্বৈরতন্ত্রীরা নির্বাচনকে তাঁদের ক্ষমতা সংহত করার কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন কেবল নয় হাইব্রিড রেজিম এবং তার নেতারা এর বাইরেও এমন সব ব্যবস্থা নেন যেগুলো আগের যে কোনো প্রথাসিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রীদের থেকে ভিন্ন। তার কিছু কিছু দিক এমন যে সেগুলো বুদ্ধিজীবীদের সুস্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে।

গণতন্ত্রের লেবাসে যে সব হাইব্রিড রেজিমের উত্থান ঘটেছে কিংবা যে সব দেশে কার্যত নব্য-স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে সেই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখেতে পাচ্ছি আত্মপরিচয়ের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিস্তার। আত্মপরিচয়ের রাজনীতি, এসব ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেন, ‘মেইক এমেরিকা গ্রেট এগেইন’ তখন তার ভিতরে একাদিক্রমে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং খ্রিস্টান ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু হোয়াইটহেড, স্যামুয়েল পেরি এবং জোসেফ বেকার ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তার বিস্তারিত আলোচনা করে দেখিয়েছিলেন তার শিকড় কত গভীরে (‘মেইক আমেরিকা ক্রিশ্চিয়ান এগেইন : ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ভোটিং ফর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন, স্যোশিওলজি অব রিলিজিয়ন, ভলিউম ৭৯, সংখ্যা ২, সামার, ২০১৮)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যখন বলেন, ‘রাশিয়া আপ ফ্রম ইটস নি’ (হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে) কিংবা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান যখন ‘ইউরোপকে ইউরোপীয়দের জন্য সুরক্ষার করতে হবে’ এই কথা বলেন তখন তাঁরা এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদের কথাই বলেন, এগুলো শুধু যে নিজের পরিচয়ের প্রশ্নের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এগুলো সমাজে বিষাক্ত বিভক্তি তৈরি করে, তৈরি করে ঘৃণা। দেশপ্রেমের নামে, জাতীয়তাবাদের নামে এই ঘৃণা এমন এক মানসিক গঠন তৈরি করে যার তুলনা হতে পারে কেবল নাৎসিবাদের সঙ্গে। এই ধরনের ঘৃণা- তা দেশের ভিতর বা বাইরের যার বিরুদ্ধেই উদ্গীরণ করা হোক না কেন তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ববাদিতার লক্ষণ, এগুলো অসহিষ্ণুতা তৈরি করে, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো হুমকি, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো বিপজ্জনক। কেননা এগুলোর আড়ালেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, বিরোধিতা হয়ে ওঠে অপরাধ- একেই বলে ভিন্নমতের অপরাধায়ন ক্রিমিনাইলেজেশন অব ডিসেন্ট। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকরা গত কয়েক বছরে যতই গণতন্ত্রে থেকে সরে গেছে ততই তারা এই পথ অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দৃশ্যমান।

নতুন স্বৈরচারীদের আরেক হাতিয়ার হচ্ছে ইতিহাস। লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে ইতিহাস নিয়ে এই নতুন শাসকদের রয়েছে অবসেশন; প্রচলিত বাংলায় অবসেশনকে ‘ঘোর’ বলা হলেও এটি তার চেয়েও বেশি। রাশিয়া এবং হাঙ্গেরির ঘটনাপ্রবাহ যারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কীভাবে ইতিহাসের একটি ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে সরকারের এই ভাষ্যকে রক্ষার করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের গেরুয়াকরণের এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ইতিহাসের কোনো একটি পাঠ নেই। ইতিহাসের পুনঃপাঠই হচ্ছে ইতিহাসকে বোঝা এবং তা থেকে জানার উপায়। কিন্তু যখন ইতিহাসের একটি পাঠকে সরকারিভাবে একমাত্র পাঠে পরিণত করা হয়, তখন ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে। এগুলো ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই শুধু করা হয় তা নয়, এগুলোকে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করারও একটি প্রক্রিয়া। এগুলোই বুদ্ধিজীবীর জন্য চিন্তার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পথ; একাডেমিক এবং সাংবাদিকদের জন্য এগুলো সীমারেখা টেনে দেয়- কী বলা যাবে আর কি বলা যাবে না। আইনের পাশাপাশি সমাজের চাপের মধ্য দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

গণতন্ত্রের সংকটের কালে, নতুন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের এই উত্থানের সময় একজন বুদ্ধিজীবীকে এই যে জাতীয়তাবাদের নামে, সঠিক ইতিহাসের নামে, দেশপ্রেমের নামে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সেখানে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন সেটাই আজকের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে একটি সমাজে একজন বুদ্ধিজীবীর, একজন চিন্তকের দায়িত্ব কী, কর্তব্য কী?

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল সেই সময়, সেই সংকটকালে একজন তরুণ লেখক বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। লেখকের নাম নোয়াম চমস্কি। তিনি লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন’ (‘দ্য রেসপন্সসিবিলিটি অব এন ইন্টেলেকচুয়াল’, দ্য নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭)। চমস্কির এই কথাগুলো যেমন ১৯৬৭ সালের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের দিনেও ঠিক তেমনিভাবেই প্রাসঙ্গিক। সম্ভবত গণতন্ত্রের সংকটকালে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

যেই দেশে যে সময়েই থাকুন না কেন। একজন মানুষকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচনা করব কিনা সম্ভবত তার একটা বড় মাপকাঠি হচ্ছে এটিই। এখন যে ভিত্তিগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে আক্রমণ করা হচ্ছে যিনি কেবল তা সমর্থনই করলেন সেই বিষবাষ্পকে সমাজের ভিতরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুললেন তিনি আসলে কি ভূমিকা রাখলেন? ঘৃণা ঘৃণার বিস্তার করে; তা ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা আদর্শ যে নামেই প্রকাশিত-প্রচারিত হোক না কেন। আর তা যখন ক্ষমতাসীনের উপকরণ হয়ে পড়ে তখন তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে যা ঘটছে তা থেকে সহজেই তা বোঝা যায়; দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভয়াবহ হত্যালীলা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কারণে ভারতের যে বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন। তার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে ছলচাতুরী বা ডিসেপশন থেকে সত্যকে আলাদা করা। মনে রাখতে হবে, বুদ্ধিজীবিতা কোনো পেশা নয়, বুদ্ধিজীবিতা হচ্ছে একটা দায়িত্ব।

চেক ভাষার অন্যতম লেখক এবং পরে যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তার নাম ভাস্লাভ হাভেল। ভাস্লাভ হাভেল বুদ্ধিজীবীর কাজ কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের উচিত সারাক্ষণ উপদ্রব করা, দুনিয়ায় যে সব দুর্দশা আছে সেগুলোর সাক্ষ্য দেওয়া, নিজের স্বাধীনতা বজায় সব ধরনের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ ও কারসাজির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের উচিত বিরাজমান ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ী হওয়া।’ হাভেলের এই কথাগুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

আমরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি। পৃথিবীজুড়েই এখন গণতন্ত্রের দুর্দিন, স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটছে, সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে, ভিন্নমত প্রকাশে বাধাবিঘ্ন আসছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের এই সংকটে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বের কথা আমরা স্মরণ করব এই কারণে যে, এখন তাদের আরও বেশি প্রয়োজন; তাদের আমরা এই ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেব কেননা সংকট মোকাবিলায়, এর থেকে উত্তরণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা