শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৯, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

আলী রীয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
Not defined
অনলাইন ভার্সন
গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন।

পৃথিবীজুড়ে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে। যারা গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিসর বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদের লেখায় গত এক দশক ধরেই এ কথা পুনঃপুনঃ বলা হয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করেন তাঁদের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, আমরা যে সময়ে বাস করছি তা আসলে গণতন্ত্রের যুগ নয়। এই দুঃসময়ে একজন বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? তিনি কী করবেন? একটি সমাজের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে চিন্তকের ভূমিকা কি হবে সেই প্রশ্নটি উঠছে কেননা যে কোনো সময়ের চেয়ে আজকে তাঁর ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজনীয়, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকার আলোচনা করতে হলে বোঝা দরকার বিরাজমান সংকটের রূপ কি, তার বৈশিষ্ট্য কি।

বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্রের এই সংকটের ব্যাপ্তিটা বোঝা যায় প্রাপ্ত তথ্য থেকেই। ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সর্বশেষটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছর ধরে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের বিষয়ে তাঁদের সংগৃহীত তথ্যের বিবেচনায় ২০১৯ সালে ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। গত বছর কোনো গণতান্ত্রিক দেশের অকস্মাৎ নাটকীয় পতনের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের যে ক্রমাগত ক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এখন মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশের কম নাগরিক সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ভোগ করেন। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করেন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে; সব মিলে ৪৮ শতাংশ মানুষের আছে সম্পূর্ণ বা আংশিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন গণতন্ত্রের অধিকার বঞ্চিত। অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে সেটা বোঝার জন্য এই তথ্য মনে রাখা দরকার যে, ২০১৪ সালের হিসাবে বলা হয়েছিল সারা পৃথিবীর ১১৫টি দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করছেন।

সংকটের এই মাত্রা কেবল বৈশ্বিক নয়। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাকে ক্ষমতাসীনরা যদিও দাবি করেন ‘গণতন্ত্র’ বলে কিন্তু তাঁকে আমার বড়জোর হাইব্রিড রেজিম বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা বলতে পারি। এই ধরনের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো দৃশ্যত গণতান্ত্রিক অর্থাৎ এগুলোতে গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান উপস্থিত থাকে; কিন্তু মর্মবস্তুর দিক থেকে এগুলো হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি, উপর্যুপরিভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ, সংবিধানের পরিবর্তন এবং বিষাক্ত মেরুকরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য যে অশনিসংকেত বহন করছিল তা ২০১৩ সালেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল (আলী রীয়াজ, ‘ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন?’, প্রথম আলো, ১৮ নভেম্বর ২০১৩)। গত সাত বছর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থার যাত্রা সেই অভিমুখেই হয়েছে। এই ধরনের হাইব্রিড শাসনের আওতায় আছে পৃথিবীর ৩৭টি দেশ- বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। অতীতে সারা দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের উল্টো যাত্রার ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়- ১৯২২ থেকে ১৯৪২ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৫। কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার করেনি যেখানে গণতন্ত্রের দৃশ্যমান উপাদানগুলো বহাল রেখেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে গত কয়েক দশকে। নব্বই দশকের সূচনায় যখন আশা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র এক বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হবে সেই সময়ে এটা ভাবা যায়নি কি করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান এবং উপাদানগুলোকে ব্যবহার করেই এমনকি সংগঠিত গণতন্ত্রে ক্ষয়ের সূচনা হবে।

যে সব দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, গণতন্ত্রের ক্ষয় হয়েছে সে সব দেশে উদ্ভদ হয়েছে এমন এক শাসনব্যবস্থা যেগুলো নাগরিকের অধিকারকে সংকুচিত করেছে, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমের ওপরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত স্বৈরতন্ত্র অতীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করত, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করত সেখানে নতুন ব্যবস্থা সীমিত আকারে এগুলো বহাল রাখে এটা দেখানোর জন্য যে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়নি’। এই নতুন ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ ঘটে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সারভাইভেল নামের একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এরিকা ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর দেখান যে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যতগুলো দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, যাকে লেখকরা বলছেন ‘অথরিটারিয়ানাইজেশন’- ‘স্বৈরতন্ত্রীকরণ’ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র তৈরি করেছে (ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর, ‘দ্য এভ্যুলেশন অব অটোক্রেসি : হোয়াই অথরিটারিয়ানইজম ইজ বিকামিং মোর ফরমিডেবল, সারভাইভেল, ভলিউম ৫৯, সংখ্যা ৫, ২০১৭)। এ ধরনের শাসকদের এখন এখন ‘নব্য-স্বৈরাচারী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়। ফ্রিডম হাউস কর্তৃক ২০১৭ সালে প্রকাশিত আর্চ পাডিংটনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এদের ‘মডার্ন অথরিটারিয়ান’ বলে চিহ্নিত করেছে (ফ্রিডম হাউস, ‘ব্রেকিং ডাউন ডেমোক্রেসি : গোলস, স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড মেথডস অব মডার্ন অথরিটারিয়ান,’ জুন ২০১৭)। 

এই নতুন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের যে দৃশ্যমান বিষয়গুলো টিকিয়ে রাখা হয় তার মধ্যে আছে নিয়মিত নির্বাচনের আয়োজন; কিন্তু সেসব নির্বাচন গণতন্ত্রের উপাদান হয় না, গণতন্ত্রায়নের জন্য এসব নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র বিষয়ক গবেষকদের অন্যতম আন্ড্রিয়াস শ্যাডলার ২০০২ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেছিলেন যে এই ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়ে ওঠে ‘কর্তৃত্ববাদের ইনস্ট্রুমেন্ট’ সহজ করে বললে স্বৈরতন্ত্রের অস্ত্র। এই লেখা প্রকাশের পর আঠারো বছর পার হয়েছে এবং এ সময়ে আমরা দেখেছি দেশে দেশে কীভাবে নব্য-স্বৈরতন্ত্রীরা নির্বাচনকে তাঁদের ক্ষমতা সংহত করার কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন কেবল নয় হাইব্রিড রেজিম এবং তার নেতারা এর বাইরেও এমন সব ব্যবস্থা নেন যেগুলো আগের যে কোনো প্রথাসিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রীদের থেকে ভিন্ন। তার কিছু কিছু দিক এমন যে সেগুলো বুদ্ধিজীবীদের সুস্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে।

গণতন্ত্রের লেবাসে যে সব হাইব্রিড রেজিমের উত্থান ঘটেছে কিংবা যে সব দেশে কার্যত নব্য-স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে সেই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখেতে পাচ্ছি আত্মপরিচয়ের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিস্তার। আত্মপরিচয়ের রাজনীতি, এসব ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেন, ‘মেইক এমেরিকা গ্রেট এগেইন’ তখন তার ভিতরে একাদিক্রমে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং খ্রিস্টান ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু হোয়াইটহেড, স্যামুয়েল পেরি এবং জোসেফ বেকার ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তার বিস্তারিত আলোচনা করে দেখিয়েছিলেন তার শিকড় কত গভীরে (‘মেইক আমেরিকা ক্রিশ্চিয়ান এগেইন : ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ভোটিং ফর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন, স্যোশিওলজি অব রিলিজিয়ন, ভলিউম ৭৯, সংখ্যা ২, সামার, ২০১৮)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যখন বলেন, ‘রাশিয়া আপ ফ্রম ইটস নি’ (হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে) কিংবা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান যখন ‘ইউরোপকে ইউরোপীয়দের জন্য সুরক্ষার করতে হবে’ এই কথা বলেন তখন তাঁরা এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদের কথাই বলেন, এগুলো শুধু যে নিজের পরিচয়ের প্রশ্নের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এগুলো সমাজে বিষাক্ত বিভক্তি তৈরি করে, তৈরি করে ঘৃণা। দেশপ্রেমের নামে, জাতীয়তাবাদের নামে এই ঘৃণা এমন এক মানসিক গঠন তৈরি করে যার তুলনা হতে পারে কেবল নাৎসিবাদের সঙ্গে। এই ধরনের ঘৃণা- তা দেশের ভিতর বা বাইরের যার বিরুদ্ধেই উদ্গীরণ করা হোক না কেন তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ববাদিতার লক্ষণ, এগুলো অসহিষ্ণুতা তৈরি করে, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো হুমকি, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো বিপজ্জনক। কেননা এগুলোর আড়ালেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, বিরোধিতা হয়ে ওঠে অপরাধ- একেই বলে ভিন্নমতের অপরাধায়ন ক্রিমিনাইলেজেশন অব ডিসেন্ট। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকরা গত কয়েক বছরে যতই গণতন্ত্রে থেকে সরে গেছে ততই তারা এই পথ অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দৃশ্যমান।

নতুন স্বৈরচারীদের আরেক হাতিয়ার হচ্ছে ইতিহাস। লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে ইতিহাস নিয়ে এই নতুন শাসকদের রয়েছে অবসেশন; প্রচলিত বাংলায় অবসেশনকে ‘ঘোর’ বলা হলেও এটি তার চেয়েও বেশি। রাশিয়া এবং হাঙ্গেরির ঘটনাপ্রবাহ যারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কীভাবে ইতিহাসের একটি ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে সরকারের এই ভাষ্যকে রক্ষার করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের গেরুয়াকরণের এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ইতিহাসের কোনো একটি পাঠ নেই। ইতিহাসের পুনঃপাঠই হচ্ছে ইতিহাসকে বোঝা এবং তা থেকে জানার উপায়। কিন্তু যখন ইতিহাসের একটি পাঠকে সরকারিভাবে একমাত্র পাঠে পরিণত করা হয়, তখন ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে। এগুলো ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই শুধু করা হয় তা নয়, এগুলোকে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করারও একটি প্রক্রিয়া। এগুলোই বুদ্ধিজীবীর জন্য চিন্তার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পথ; একাডেমিক এবং সাংবাদিকদের জন্য এগুলো সীমারেখা টেনে দেয়- কী বলা যাবে আর কি বলা যাবে না। আইনের পাশাপাশি সমাজের চাপের মধ্য দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

গণতন্ত্রের সংকটের কালে, নতুন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের এই উত্থানের সময় একজন বুদ্ধিজীবীকে এই যে জাতীয়তাবাদের নামে, সঠিক ইতিহাসের নামে, দেশপ্রেমের নামে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সেখানে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন সেটাই আজকের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে একটি সমাজে একজন বুদ্ধিজীবীর, একজন চিন্তকের দায়িত্ব কী, কর্তব্য কী?

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল সেই সময়, সেই সংকটকালে একজন তরুণ লেখক বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। লেখকের নাম নোয়াম চমস্কি। তিনি লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন’ (‘দ্য রেসপন্সসিবিলিটি অব এন ইন্টেলেকচুয়াল’, দ্য নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭)। চমস্কির এই কথাগুলো যেমন ১৯৬৭ সালের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের দিনেও ঠিক তেমনিভাবেই প্রাসঙ্গিক। সম্ভবত গণতন্ত্রের সংকটকালে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

যেই দেশে যে সময়েই থাকুন না কেন। একজন মানুষকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচনা করব কিনা সম্ভবত তার একটা বড় মাপকাঠি হচ্ছে এটিই। এখন যে ভিত্তিগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে আক্রমণ করা হচ্ছে যিনি কেবল তা সমর্থনই করলেন সেই বিষবাষ্পকে সমাজের ভিতরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুললেন তিনি আসলে কি ভূমিকা রাখলেন? ঘৃণা ঘৃণার বিস্তার করে; তা ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা আদর্শ যে নামেই প্রকাশিত-প্রচারিত হোক না কেন। আর তা যখন ক্ষমতাসীনের উপকরণ হয়ে পড়ে তখন তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে যা ঘটছে তা থেকে সহজেই তা বোঝা যায়; দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভয়াবহ হত্যালীলা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কারণে ভারতের যে বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন। তার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে ছলচাতুরী বা ডিসেপশন থেকে সত্যকে আলাদা করা। মনে রাখতে হবে, বুদ্ধিজীবিতা কোনো পেশা নয়, বুদ্ধিজীবিতা হচ্ছে একটা দায়িত্ব।

চেক ভাষার অন্যতম লেখক এবং পরে যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তার নাম ভাস্লাভ হাভেল। ভাস্লাভ হাভেল বুদ্ধিজীবীর কাজ কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের উচিত সারাক্ষণ উপদ্রব করা, দুনিয়ায় যে সব দুর্দশা আছে সেগুলোর সাক্ষ্য দেওয়া, নিজের স্বাধীনতা বজায় সব ধরনের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ ও কারসাজির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের উচিত বিরাজমান ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ী হওয়া।’ হাভেলের এই কথাগুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

আমরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি। পৃথিবীজুড়েই এখন গণতন্ত্রের দুর্দিন, স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটছে, সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে, ভিন্নমত প্রকাশে বাধাবিঘ্ন আসছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের এই সংকটে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বের কথা আমরা স্মরণ করব এই কারণে যে, এখন তাদের আরও বেশি প্রয়োজন; তাদের আমরা এই ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেব কেননা সংকট মোকাবিলায়, এর থেকে উত্তরণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে