শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:৩৮, শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

আসিয়া বিবি থেকে শাগুফতা

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা আইনের বলি হবে আর কতোজন?

হাসান ইবনে হামিদ
অনলাইন ভার্সন
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা আইনের বলি হবে আর কতোজন?

২০১৩ সালের এক বিকেল, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গজরা শহরের স্থানীয় ইমামের ফোনে ইসলাম ধর্মের নবী সম্পর্কে অপমানজনক শব্দ সম্বলিত একটি বার্তা আসে। ইমামের ফোনে এই বক্তব্য আসার সাথে সাথেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় পুরো শহরে। কেননা এটা ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা আর পাকিস্তানে ব্লাসফেমির অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। 

এই আইনের অধীনে কোনও ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন করার জন্য কখনও কখনও শুধু অভিযোগই যথেষ্ট হয়। ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর চাপে আদালত অভিযোগের সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে দেয়। এমনকি, এই অভিযোগে অভিযুক্ত আসামির পক্ষে কেউ মামলা লড়তে চাইলে তাকেও হত্যা করা হয়। 

তাই কে বা কারা এই বার্তা দিয়েছে তা দ্রুতই খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়া হয়। অবশেষে দেখা যায়, যে সিম নাম্বার থেকে এই মেসেজ এসেছে তা সেই শহরেই থাকা শাগুফতা কাউসার নামে একজনের নামে রেজিস্টার্ড। শাগুফতা কাউসার একটি খ্রিস্টান মিশনারিজ স্কুলে ক্লিনারের চাকুরি করতেন। তার স্বামী শাফকাত ইমানুয়েল প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন, এই দম্পতির চার সন্তান। তাই পুরো পরিবারের দায়িত্ব একাই সামলাতেন শাগুফতা কাউসার। 

শাগুফতা এতো বোকা ছিলেন না যে এমন মেসেজ লিখে কোন ইমামের ফোনে সেই মেসেজ দিয়ে নিজের পরিবার মৃত্যু ডেকে আনবেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা, উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী শাগুফতা, তার স্বামী ও সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। দ্রুততার সাথে পুলিশ শাগুফতা ও তার অসুস্থ প্যারালাইজড স্বামীকে গ্রেফতার করে। শাগুফতা শাফকাত দম্পতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসার সাথে সাথেই তারা পুলিশকে বিস্তারিত খুলে বলে। 

যে ইমাম অভিযোগ আনে তাকেও জানায় যে, তারা পড়ালেখা জানেন না তাই ইংরেজি মেসেজ তারা কীভাবে লিখবেন? এমনকি, শাগুফতার ন্যাশনাল আইডি কার্ড চুরি হয়ে গিয়েছিলো এবং তাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ এটা করেছে বলেও পুলিশের কাছে তাদের জবানবন্দি দেয়। কিন্তু পুলিশ কোনও কথা শুনতেই রাজি ছিল না, ভয়াবহ টর্চার করে প্যারালাইজড শাফকাতের পা ভেঙ্গে দেয়। 
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল পাকিস্তানের আদালতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়, বর্তমানে তা হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিগত ছয় বছর যাবত শাগুফতা-শাফকাত দম্পতি জেলে আছেন। কিন্তু এই ছয় বছরে শাগুফতা-শাফকাত কেউ কারও দেখা পাননি। ২৫০ কিলোমিটার দূরে তাদের অবস্থান। শাফকাত ফয়সালাবাদ ডিস্ট্রিক্ট জেলে আর শাগুফতা মুলতান জেলে আছেন, যেখানে আসিয়া বিবি ছিলেন। 

'ব্লাসফেমি' বা ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন রয়েছে পৃথিবীর অনেক দেশেই, অনেক দেশে কাগজে-কলমে আইন থাকলেও তার বাস্তব প্রয়োগের উদাহরণ বিরল। কোনও বিশেষ ধর্মের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করাকে 'ব্লাসফেমি' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কোনও কোনও দেশে 'অ্যাপোস্ট্যাসি'কেও দণ্ডনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 'অ্যাপোস্ট্যাসি'র মাধ্যমে বিশেষ কোনো ধর্মকে অস্বীকার করা বা স্বধর্মত্যাগ বোঝানো হয়।

পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনের অধীনে যারা ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে তাদেরকে মৃত্যুদন্ড সহ কঠোর শাস্তি দেয়া হয়। ধর্ম সম্পর্কিত অপরাধের আইন ১৮৬০ সালে ভারতের বৃটিশ শাসকদের দ্বারা প্রথমবার বর্ণিত হয়। পরে ১৯২৭ সালে এটিকে আরো বিস্তৃত করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান এই আইনগুলোকে গ্রহণ করে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে সেনাশাসক জিয়াউল হকের সময় এই আইনে আরো বেশ কয়েকটি ধারা সংযুক্ত করা হয়। 

জেনারেল জিয়াউল হক পুরনো আইনটিকে 'ইসলামিকরণ' করে পাকিস্তানের সুন্নি মুসলিম ও আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে আহমাদিয়াদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এবং এর পর থেকে ব্লাসফেমি আইনের মাধ্যমে আহমাদিয়া গোষ্ঠীর উপর চলে অবর্ণণীয় নিপীড়ন। 

এছাড়া আইন সংযুক্ত নতুন ধারায় ইসলামের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করাকে অবৈধ করা হয়, 'ইচ্ছাকৃতভাবে' কোরআন অপবিত্র করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড শাস্তির বিধান আনা হয় এবং পরে নবী মুহম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বিষয়গুলো সংযুক্ত করা হয়। ব্লাসফেমির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় ৪০ জনকে প্রাথমিকভাবে  এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে। 

ব্লাসফেমির অভিযোগে পাকিস্তানের খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি প্রায় দশ বছর কারাভোগ করার পর ৭ নভেম্বর ২০১৮ সালে মুক্তি পেলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। আসিয়ার মামলাটি নিয়ে পাকিস্তান গভীর বিভক্তি তৈরি হয়েছিল। একদিকে ব্লাসফেমি আইনের পক্ষে শক্ত জনসমর্থন অন্যদিকে বিশ্ব গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনের অব্যাহত চাপ। 

পাকিস্তানের বিপুল জনসমর্থনকে উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আসিয়া বিবির দণ্ডাদেশ পরিবর্তিত হয়। আসিয়া বিবিকে কারাগার থেকে ছাড়া হলে তা পাকিস্তানে ব্যাপক সংঘাত তৈরি করে এবং আসিয়া বিবি বাধ্য হন দেশত্যাগ করতে। সেখানেও তাকে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায়। আসিয়াকে হত্যা করার আহ্বান জানিয়ে এক ভিডিও পোস্ট করে ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা। এখনও নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আসিয়া। 

এরপরেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পাকিস্তানের এই আইনের সার্বিক বিষয় উঠে আসে। এক আসিয়া বিবির মামলাতেই পাকিস্তানের উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, সেখানকার সমাজ ও প্রশাসনের মূল চরিত্র ফুটে উঠে। 

২০০৯ সালের জুন মাসে লাহোরের কাছে শেখুপুরা এলাকায় ফল পাড়তে গিয়ে অন্য নারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চার সন্তানের জননী আসিয়া নবী (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আসিয়াকে তার বাড়িতে মারধরও করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে আসিয়া ব্লাসফেমির স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে। আসিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে।  

প্রতিবেশীদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ২০১০ সালে আদালতের এক রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গত ১০ বছর ধরে তাকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন আসিয়া। অর্থাৎ প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া থেকেই ক্রোধের বশে আসিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। তার মানে সমাজে এই ধারণা পোক্ত আছে যে, কারো প্রতি জেদ বা ক্ষোভ প্রশমন করতে চাইলে ব্লাসফেমি আইনে মামলা দাও বাকিটা রাষ্ট্র ও উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী করবে।
 
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে কথা বলাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসিয়া বিবির মামলার দিকে তাকালে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। ২০০৯ সালে পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসিয়া বিবিকে দেখতে যান৷ কারাকক্ষ থেকে বের হয়ে পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনকে ‘কালো আইন' বলে আখ্যা দেন। ২০১১ সালে এই বক্তব্যের জন্যই তাকে প্রাণ দিতে হ। একই কারণে প্রাণ হারান সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিও। 

ব্লাসফেমি আইনের সমালোচনা করে আসিয়া বিবির পক্ষে কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। গভর্নরের হত্যাকারী ছিল তারই দেহরক্ষী মুমতাজ কাদির। সুষ্ঠ বিচার শেষে মুমতাজ কাদরিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী এবং নিরক্ষর সহানুভূতিপ্রবণ জনতা এই ঘাতককে সমর্থন করেছিল। তাকে শহীইদের মর্যাদা দিয়ে ‘জান্নাতের দরজা প্রশস্ত' বলেও মন্তব্য করে অনেকে।

২০১৫ সালে যখন হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়, পুরো পাকিস্তানে ছিল শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা। এক সপ্তাহ ধরে উগ্রবাদীরা রাজধানী ও অন্যান্য নগর স্তব্ধ করে দিয়ে রাজপথ কাঁপিয়েছে৷ এ ধরণের আইনের অপব্যবহার যতটা উদ্বেগজনক পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ততটাই উদ্বেগজনক হল সমাজের ভেতরে তাঁর প্রভাব। 

ভয়াবহ তথ্য হলো এই যে ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৩৫ জন অভিযুক্ত হওয়ার পরপরই খুন হয়েছেন। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানের সমাজে এই আইন কেবল যে সমর্থনপুষ্ট তাই নয়, এর যে কোনো ধরণের বিরোধিতা করলে তাকেও বড় ধরণের মাশুল গুনতে হয়। আসিয়া বিবির মামলা ছাড়াও ১৯৯৭ সালে লাহোরে আরিফ ইকবাল হোসেন ভাট্টি নামের একজন বিচারক ব্লাসফেমির অভিযোগ থেকে দু'জনকে খালাস দেওয়ার পর তার অফিস কক্ষে নিহত হন।

পাকিস্তানে প্রচলিত ব্লাসফেমি আইনে যে মানবাধিকার বিরোধী, এমন কি মানবিকতা বিরোধী সেটা বিভিন্ন গবেষণায় স্পষ্ট। উদাহরণ দিলেই তা বোঝা যায়। শাগুফতা কাউসার ও শাফকাত দম্পতির ঘটনা এখানে নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে রিমশা মশিহ নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুর বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির মামলাই এনেছিলো।

৩৩ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জুনাইদ হাফিজকে ২০১৩ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয় ব্লাসফেমি আইনে। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডের আসামি হিসেবে জেলে আছেন। ২০০৩ সালে আনোয়ার মাসিহকে আটক করা হয় এই একই অভিযোগে, ছয় বছর তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। কিন্ত আনোয়ার ড্রাগ আসক্ত এবং মানসিকভাবে অসুস্থ। 

১৯৯৬ সালে জয়বুননেসাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্ত গ্রেফতারের পরই একটি মেডিক্যাল বোর্ড বলেছিল যে সে মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না জয়বুন নেসা। ২০১১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ সামিউল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এক পরীক্ষার খাতায় সে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করেছে। এখনও সামিউল্লাহর বিচার হয়নি। 
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে আসা কয়েকটি মামলায়ও উঠে এসেছে যে অন্যান্য আইনে অভিযুক্তদের শাস্তি বিধানের জন্য যে ধরণের উঁচু মাত্রার সাক্ষ্য প্রমাণ চাওয়া হয়, এই আইনের ক্ষেত্রে তা হয়না । পাকিস্তানের এই আইনটি যে পাকিস্তানের প্রচলিত অন্য আইনের সাথেও অসংগতিপূর্ণ সেটাও বহুভাবে প্রমানিত।

শাগুফতা-শাফকাত দম্পতির মামলা বর্তমানে ফাইনাল হেয়ারিং এর জন্য লাহোর হাইকোর্টে রয়েছে। খুব শীঘ্রই এই মামলার রায় আসবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে রায়ের দিনক্ষণ কিছুটা পেছানো হয়েছে। শাগুফতার আইনজীবী সাইফুল মালিক একইসাথে আসিয়া বিবির মামলাও লড়েছিলেন। 
তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, এই মামলাটি আসিয়া বিবির মামলার চাইতেও হালকা অর্থাৎ এই মামলার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। যে সিম কার্ড তার নামে রেজিস্টার্ড তা তিনি ব্যবহার করতেন না এমনকি যে ইংরজি ভাষায় মেসেজ গিয়েছে তা অভিযুক্তদের পক্ষে লেখা সম্ভব নয় কারণ তারা অশিক্ষিত ছিলো। 

তাছাড়া ২০১৪ সালের রায়ে আদালত কক্ষে সরাসরি বিচারকদের ভয় দেখানো হয়েছিল। কোরআনের রেফারেন্স টেনে শাগুফতা-শাফকাত দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে বলা হয়েছিলো আর যদি তা না করা হয় তবে ব্লাসফেমি পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, 'শাগুফতা-শাফকাত দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়া হলে মুমতাজ কাদিরের মতো গাজী হতেও তারা প্রস্তুত'। 

তার মানে ব্লাসফেমি আইনের বিপক্ষে বলা পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে মুমতাজ কাদির যেভাবে হত্যা করেছিলো সেভাবে তারা বিচারককে হত্যা করতে প্রস্তুত যদি রায়ে মৃত্যুদণ্ড না আসে। তাই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছেন শাগুফতা কাউসারের আইনজীবী সাইফুল মালিক। রায়ে যেনো তাদের অব্যাহতি দেয়া হয় সেজন্য সবারই উচিত শাগুফতা-শাফকাতের পক্ষে কলম ধরা এবং পাকিস্তানের এই বর্বর আইনের বিরুদ্ধে কথা বলা। 

ভিন্ন মত ও ধর্মাবলম্বীদের নিষ্পেষণমূলক এই ব্লাসফেমি আইন পাকিস্তানে একদিনে তৈরি হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম প্রতিষ্ঠা, আহমাদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা, উগ্রপন্থীদের প্রতি রাষ্ট্র এবং সমাজের পৃষ্ঠপোষকতার পথ ধরেই তা বিকশিত হয়েছে। 

শাফকাত-শাগুফতার মত নাগরিকরা যখন অধিকার বঞ্চিত হয়, তখন তা কেবল আইনি বিষয় থাকেনা। তা হয়ে ওঠে নাগরিকের অধিকারের প্রশ্ন। পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রের ভূমিকা থেকে কেবল এই শিক্ষাই যথেষ্ট নয় যে ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রের ভূমিকা কি হবে, এটাও বোঝা দরকার যে, আইনের চোখে সকলের সমতা নিশ্চিত না করে গণতন্ত্রের আশা কল্পনা মাত্র। এটাও বোঝা দরকার যে, দল বা গোষ্ঠির প্রতি পক্ষপাত প্রদর্শন রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যত তৈরি করে। 

আসিয়া বিবি ইস্যুতে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও তা থেকে কোনো রকম আশু পরিবর্তন আশা করার কারণ নেই। অতীতের মতো আবারও রাজনীতিবিদরা তাদের জন্য অনুমেয় সহজ পথটিই বেছে নেবেন। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেই ব্লাসফেমি আইনের কট্টর সমর্থক। সুতরাং ব্লাসফেমি আইন নিয়ে খুব বেশি রাষ্ট্রীয় পরিবর্তন আশা করা যায়না। তবে বিনা অপরাধে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে যেনো কারো সময় বাধা না পরে সেই আশা থাকবে আমাদের। 

পাকিস্তানের উচ্চ আদালত শাগুফাত-শাফকাত দম্পতিকে মুক্তি দিক, মানবতার পক্ষে আসুক এই রায়। বর্বর কালো আইন ব্লাসফেমি থেকে রেহায় পাক শাগুফতা কাউসার ও শাফকাত ইমানুয়েল। আমরা সবাই যদি দাবি তুলি, তবে নিশ্চয়ই মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচানো সম্ভব শাগুফতা-শাফকাত দম্পতিকে। হয়তোবা এমন একদিন আসবে, আমাদের সবার দাবির মুখে পাকিস্তান রাষ্ট্র এই বর্বর আইন তুলে নিয়ে বর্তমান পৃথিবীর সভ্য আইনে ফিরে আসবে। ব্লাসফেমি নামক কালো আইনের অস্তিত্ব থাকবে না পৃথিবীর বুকে।


লেখক: রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়