শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:০৩, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

শ ম রেজাউল করিম
অনলাইন ভার্সন
শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

ইতিহাসের গতি-প্রকৃতির বিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কাঙ্ক্ষিত একটি লক্ষ্য নিয়েই সময় ও কাল এগিয়ে চলে। পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সময়ের সাহসী নেতৃত্ব। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বীকার করতে হয় বিপুল ত্যাগের। কিন্তু যার বা যাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে গতিময় হয়ে উঠে পরিবর্তনের ধারা, তারা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখার সুযোগ পান না। তাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে অভীষ্ট সাফল্য অর্জিত না হলে সেটাই হয় ‘ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ’। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। ১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের কবর রচনার পথ সূচিত হয়। যারা স্বপ্নের পাকিস্তান কায়েমে আগ্রহী ছিলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের মোহ ভঙ্গ হয়। স্বাধিকার ও স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কাছে অনুভূত হয়। দু-চারজন ব্যতিক্রমও ছিলেন অন্ধ দৃষ্টি নিয়েই। ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই উপলব্ধি ও প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতির মাতৃভাষাকে কেড়ে নেওয়া, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ও সহজাত অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা পশ্চিম পাকিস্তান প্রকাশ্য ভাবেই শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ভয়ঙ্করভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতিহাসের নির্মোহ অনুসন্ধানে দেখা যায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ অনেক নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নানাভাবে পরিকল্পনা নিলেও সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, রক্ষণশীলতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহসের অভাব ছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে কারারুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করায় ইতিহাসের কাঙ্ক্ষিত পথ যাত্রার একটি সিঁড়ি সৃষ্টি হয়ে যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অপ্রতিরোধ্য গতির অমিত শক্তি নিয়ে সামনের সারিতে চলে আসেন। বাঙালির অধিকার আদায়ে তেজস্বীয় দীপ্ত সাহসী নেতা হিসেবে গোটা জাতিকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করার জাদুকরী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। কারাগার ও রাজপথ হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঠিকানা। এভাবে ভাষা আন্দোলন, আইয়ুবের মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। পশ্চিমারা ঠিকই বুঝেছিল যে, ৬ দফার আসল গন্তব্য কোথায়। সে কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে সমূলে বিনাশ করতেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। কিন্তু ততক্ষণে শেখ মুজিব গোটা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীকে পরিণত হওয়ায় গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ম্যান্ডেটে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ক্ষমতায় নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই। সে কারণেই বিশাল বিজয় লাভ করেন তিনি ও তাঁর দল। পাকিস্তানিরা বুঝতে পেরেছিল যে, কোনোভাবেই তাঁকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। তখন মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়। এদিকে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অবদমিত করতেও ব্যর্থ হয়। বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সশরীরে না থাকলেও তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা গোটা জাতিকে মন্ত্রমুগ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা  জোগায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়া ও বিশ্ব নেতৃত্বের চাপের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি জান্তারা। মুক্ত স্বাধীন স্বদেশে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মহানায়ক। ফিরে এসে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে বিবিধ কর্মসূচি হাতে নেন। ততক্ষণে এদেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানপন্থি দালাল চক্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিক্রিয়াশীল মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের মনে শঙ্কা জন্মেছিল যে, তাদের লালিত স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কার্যত বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করা হয়, কেবলমাত্র নামটি রাখা হয় বাংলাদেশ। হতবিহ্বল আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিছুটা দিশাহারা হয়ে পড়েন। এমন একটি সময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রবাসী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তাঁর পিতার সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর তিনি হয়তো নিজেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে না-ও আসতে পারেন। কিন্তু সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লক্ষ লক্ষ জনতা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে দাঁড়িয়েছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাঁকে দেশে আসার অনুমতি দিতে চাননি, পরিস্থিতি বিপাকে এজন্য তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। রাস্তায় লোকজনদের ভিড় না করার জন্য ফরমান জারি করা হয়েছিল। সব ফরমান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে বাঙালি জাতি সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে গ্রহণ করেছিল। তাঁর ফিরে আসাটা ছিল প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। নিজ বাড়িতে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চরম অসহায় অবস্থায় পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করতে হয়েছে তাঁকে। হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করেছিলেন। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমি সব হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, আপনাদের মাঝেই খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো স্বজনদের। এরপর শুরু হয় তাঁর কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথের অভিযাত্রা। দলের অভ্যন্তরেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। দলের বাইরে প্রায় সব রাজনৈতিক সংগঠন ছিল বৈরী অবস্থানে। সেনা শাসক, বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী মহল, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, বিদেশি শক্তিসহ অসংখ্য প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যান, নৌকা চড়ে পিতার মতো বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলসভাবে লড়াই করতে থাকেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের খুনি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা বুঝতে পারেন যে, শেখ মুজিব বিনাশ হননি। তাঁর প্রতিচ্ছবি হয়ে সশরীরে আবির্ভূত হয়েছে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি। তাই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও সরকার সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রতিটি আক্রমণ থেকে তিনি রক্ষা পান। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এনে সরকার গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা সম্ভব হয়েছিল কেবলমাত্র শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য জেনারেল জিয়ার করা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এই বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুনিরা হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলা করে। সেখানেও আইনি লড়াই করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনে, রাজনীতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন বাহিনীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। দীর্ঘদিনের জমে থাকা জঞ্জাল রাতারাতি দূর করার অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করে তোলেন। পদে পদে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত দেখানো হয়। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগোতে থাকেন সামনের দিকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চূড়ান্ত বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। ক্ষমতায় আসার স্বল্প সময়ের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অসীম ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিডিআরের ঘটনার বিচার সম্পন্ন করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেন। বড় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির মামলাসহ সব অপরাধীর বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। অবসান হয় দায়মুক্তির সংস্কৃতির। দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের কারাদণ্ড হয়। ২১ আগস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানসহ বিএনপি সরকারের একাধিক মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক বিধানকে সমুন্নত করেন। অবৈধ শক্তি এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রস্তুত করেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়। সর্বোচ্চ আদালত জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদকে তস্কর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ওই রায়ে। শুধু তাই নয়, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাই তাদের কৃতকর্মকেও আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন। এভাবে সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখলকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবৈধ ঘোষণা করার দ্বারা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা ধাম্ভিকতার সঙ্গে বলতেন, তাদের কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সেই ধাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে দিয়ে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানে সংযুক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ক্ষমতাকে নির্বিঘ্ন করতে খালেদা জিয়া জেনারেল জিয়া হত্যার বিচার করা থেকে বিরত থাকেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে শিশুকাল থেকেই তাঁর হাতেখড়ি। পিতার রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য ছিল তাঁর, বাসায়, সভা-সমাবেশে, রাজপথে এবং কারাগারের গেটে। ছাত্রজীবনে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বিশ্বাসে, বাস্তবতায় ও ধমনিতে ধারণ করেছেন যোগ্য পিতার শুধু রক্তের উত্তরসূরি নন, আদর্শেরও উত্তরসূরি। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে বিধ্বস্ত ও দারিদ্র্য পীড়িত বাঙালি জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে অনন্য উচ্চতার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। নারীর ক্ষমতায়ন, অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ ও সাফল্যের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। ৬৭ বছরের ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেরা কূটনীতির মধ্য দিয়ে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ। ১০০টির বেশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা তাঁর অনন্য অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমিয়ে আনা, গড় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, জিডিপির আনুপাতিক হার প্রতিবেশী অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি করাসহ সাফল্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বিপুল পর্যায়ে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে উৎক্ষেপণ, যা ছিল অকল্পনীয় তা বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিনি মানবতার জননী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় তাঁকে উন্নয়নের জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সততা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের ৩ জন সেরা রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন কর্মে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ, স্টেটম্যান, ডটার অব ইস্ট, মাদার অব হিউম্যানিটি, ভ্যাকসিন হিরোসহ ৪০টির ঊর্ধ্বে পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ দেশ ও সংগঠন থেকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান ও ৫টি বাস্তবতাসম্মত প্রস্তাব তাঁকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সব সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে জাতির জনকের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যারা তাঁর পিতার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল, এমনকি তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তেমন একজন প্রতিপক্ষকে উচ্চ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেওয়ার পরও নিজ বাসায় মুক্ত জীবনে থাকার সুযোগ করে দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল। তিনি দলীয় নেতা, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এসব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি, সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম মহানুভবতায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৪ বছরে পা রাখবেন। স্বজন হারানোর বেদনা এবং বয়সের ভার কোনোভাবেই তাঁকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে কখনো ক্লান্ত করতে পারেনি। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অনন্য অসাধারণ নেত্রী, সরকারে তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল। বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং দেশবাসীর কাছে তিনি মমতাময়ী মায়ের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতো না, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। শেখ হাসিনাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র ভরসাস্থল। বয়সের হিসাবে ৭৪-এ পৌঁছালেও কর্মস্পৃহা, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করছেন যে, বয়স তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। অদম্য সাহসী ও শক্তির আধার শেখ হাসিনারই বাঙালি জাতির সব অন্ধকারের আলোকবর্তিকাবাহী দুঃসাহসী অভিযাত্রী। দীর্ঘজীবী হোন শেখ হাসিনা।

লেখক : মন্ত্রী

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা