শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৫৮, শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

গল্পটি একটি হিন্দি সিনেমার। এক রাতে মেয়েটিকে এক মুখোশ পরা নারী হত্যা করতে আসে। মেয়েটি নানা কসরত করে বাঁচার জন্য। দুজনের ধস্তাধস্তিতে একসময় ঘাতক মেয়েটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খসে পড়ে তার মুখোশটি। এ সময় বিদ্যুতের চমকে দেখা যায় ঘাতক নারীটি তারই আপন বোন। মেয়েটি হতভম্ব হয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আমলাদের কাজকর্ম দেখে আমার কেন যেন হিন্দি থ্রিলারের সে দৃশ্যটি বারবার মনে পড়ছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ যাদের আদর-আপ্যায়নে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারাই যেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় হন্তারক হয়ে কাজ করছে। মুখে তারা আওয়ামী লীগের স্তুতি করে যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর মনে বলছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘এত আওয়ামী লীগার হওয়ার দরকার নেই। এত চাটুকারিতার দরকার নেই।’ বরিশালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একটু হলেও কি মোহভঙ্গ হয়েছে? একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরিহার্য অংশ। একটি রাজনৈতিক সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল কাজ। কিন্তু আমলারা সব সময়ই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক হতে চান। দুর্নীতির হালুয়া-রুটির বেশির ভাগই তাদের পাতে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখলাম আমলারা যেন যখন যার তখন তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমলারা যে কী পরিমাণ মুজিবভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তা নতুন করে বলতে চাই না। সে সময় আমলাদের অতিচাটুকারিতায় প্র্রমাদ গুনেছিলেন অনেকেই। ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সে সময় এক ঐতিহাসিক উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ মণির লেখার শিরোনাম ছিল ‘আইয়ুবের আমলা দিয়ে মুজিবের প্রশাসন চলবে না’। শেখ মণির ওই বক্তব্য যে কতটা সত্যি ছিল তা বোঝা যায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি মোশতাককে শপথবাক্য পাঠ করান আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। বাংলাদেশে আমলারা যেন গিরগিটির মতো। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার রূপ, রং ধারণ করে। আরও সহজ করে বলা যায় জলের মতো। যে পাত্রে যায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। জিয়ার আমলে সাফারি, সানগ্লাস পরা আমলা এরশাদের আমলে এসে রাজকবি হয়ে যান। জিয়ার খাল কাটাকে ‘বিপ্লব’ বলে, এ নিয়ে বিপুল গবেষণা করে পিএইচডি করা আমলা আবার আওয়ামী লীগের দন্ডমুন্ডের কর্তা হতেও সময় নেন না। এরশাদকে ‘সর্বকালের সেরা শাসক’ বলা আমলাকে দেখেছি দ্রুতপদে বিএনপির দরজা দিয়ে ঢুকতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেখ হাসিনার বদান্যতায় সচিব হওয়া আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার টাকার ব্যাগ টেনেছেন। আমলাদের ডিগবাজি, পদস্খলনের কাহিনি লিখলে তা আরব্য রজনীকেও হার মানাবে। সেই ফিরিস্তি এখন নাই-বা লিখলাম। কিন্তু আমলাদের এ রকম বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আগে কখনো দেখা যায়নি। গত ১২ বছরে আমলারা যেন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। যার নাম দেওয়া যায় ‘আওয়ামী আমলা লীগ’। আস্তে আস্তে সরকারে আমলাদের প্রভাব বেড়েছে। এখন আমলারাই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে গত দেড় বছরে দেশে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এ আমলারা কি আসলে আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী? দুঃসময়ে কি এরা থাকবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কি এরা দাঁড়াবেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা বিতর্ক। নানা জনের নানা মত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের কিছু ঘটনায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

১৮ আগস্ট বরিশাল। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। গোটা জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রুটিন কাজের মধ্যেই গুটিয়ে রাখেন। সেই আগস্টে এক ভয়ংকর কান্ড ঘটানো হলো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বরিশালে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগের বিরোধ। এ বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিল। শখানেক মানুষ আহত হলো। সারা দেশ স্তম্ভিত। ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহই খলনায়ক। শোনা গেল মেয়র অপসারিত হচ্ছেন। সাদিক আবদুল্লাহ যে ধোয়া তুলসী পাতা নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ ঘটনায় তার দায় আদৌ যে ছিল না তা পরে বেরিয়ে আসতে লাগল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হলো। প্রধান আসামি মেয়র। বাদবাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। সবাই আওয়ামী লীগ। বরিশালে প্রশাসনই যেন সরকার, আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে এ ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এ সমঝোতার পর অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এলো। জানা গেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা হলো, বরিশালে সহিংসতার ঘটনার জন্যই সম্ভবত তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করল যে মুনিবুরকে বদলি করা হয়েছে ১০ আগস্ট। মুনিবুর নিজেও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি তার বদলির আদেশের কথা জানতেন। বদলির প্রক্রিয়াধীন থাকা একজন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতেন তিনি বিদায় নিচ্ছেন। বিদায় নেওয়ার আগে মেয়রকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যে এ লঙ্কাকান্ডের আয়োজন তা বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। কিছুদিন আগে ঘোড়াঘাটে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন বন্দুকধারী আনসার দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে তোফায়েল আহমেদসহ বহু রাজনীতিবিদ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর অপব্যবহার হতে পারে। বরিশালে এর বাড়াবাড়ি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের চরিত্রহননের এক নিপুণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী পক্ষ এ ঘটনার সুপার এডিটেড ভিডিও প্রকাশ করবে। বলবে আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের দল’। ‘আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন নিরাপদ নয়’ ঠিক যেমনটি করেছিল বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে। বদলি প্রক্রিয়াধীন একজন মাঠ কর্মকর্তা বিদায়ের আগে বরিশাল আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সিল লাগিয়ে দিয়ে গেল।

বরিশালের ঘটনার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আরও ভয়ংকর। এ ঘটনার পরদিন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সারা দেশে হইচই এবং যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হলো- ‘বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সব সময় আমলাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘এরা মুখে এক মনে আরেক। আমলারা যা বিশ্বাস করেন তা বলেন না, যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না।’ ১৯ আগস্ট আমলাদের তথাকথিত সংগঠনের নামে বিবৃতিটি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আওয়ামী লীগের পদলেহন করা আমলারা আসলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনে কী ভাবেন তা এক লহমায় প্রকাশিত হয়ে গেছে এ বিবৃতিতে। এ যেন মুখোশ পরা এক মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ার মতোই। এ বিবৃতি আমলাদের মনের কথার দলিল। গুরুজনেরা বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে মনের গোপন কুঠরি খোলে। সত্যটা বেরিয়ে আসে। এ বিবৃতি সে কথারই যেন এক সত্য প্রকাশ। এ ঘটনার চার দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, এ বিবৃতির সঙ্গে অধিকাংশ সচিব একমত নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তো তার পদাধিকারবলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নন। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা কি তিনি জানেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত (২৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে তো ওই বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হতো। কিংবা ওই বিবৃতির সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা আরেকটি বিবৃতি দিয়ে বলতেন যে ওই বিবৃতির সঙ্গে তাদের সংশ্রব নেই। তারা কোনোটাই করেননি। এ বিবৃতিটি একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক বোমা। এ বিবৃতি কতবার, কতভাবে বিরোধী পক্ষ ব্যবহার করবে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিবৃতি বিরোধী পক্ষের পোস্টার হবে। ‘শুধু বরিশাল নয়, সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ’ এমন কথা বলা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠবে এক মারণাস্ত্র। পাঠক! আমলাদের ঔপনিবেশিক চতুরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ বিবৃতিটি। ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্রকে লাল ফিতার সৌন্দর্য দিয়েছে। আমলাতন্ত্রের মূল কথা হলো মুখের কথা মূল্যহীন, ফাইলের কাগজই আসল। আমলারা আওয়ামী লীগ মেয়রের কথিত ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ‘ফাইলবন্দী’ করে ফেলেছেন। এখন আমলারা যা-ই বলুন না কেন তা মূল্যহীন। মুখের কথা মানুষ ভুলে যাবে। কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি রয়ে যাবে। যুগ যুগ ধরে এ নথি আওয়ামী লীগকে বিদ্ধ করবে। বরিশালের ঘটনায় আমলাদের চরিত্রের আরেকটি অনবদ্য দিক হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো উদ্ভাসিত হলো। এটি হলো দলবদল, মতবদল। সহজ বাংলায় যাকে বলে ভোল পাল্টানো। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শীর্ষ আমলারা জানবেন না তা কেউই বিশ্বাস করে না। এর আগেও এ সংগঠনটি ফরিদপুরের ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর, রাজনীতিপ্রবণ বিবৃতি দিয়েছিল। এ ধরনের বৈঠকের আগে সমিতির নেতারা শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কী কথা হলো না হলো তা নিশ্চয়ই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আমলারা চলেন একটা চেনে। কবির বিন আনোয়ার কারও সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বানান ভুলের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যখনই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো, সারা দেশ এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলো তখন শুধু কবির বিন আনোয়ারকেই বলির পাঁঠা বানানো হলো। অন্যরা এমন ভাব করলেন তারা কিছুই জানেন না। এটাই আমলাদের বৈশিষ্ট্য। তাই এখন যারা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বলে মুখে ফেনা তুলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এরাই বলবেন ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলাম না।’ হাঁসের মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বলবেন, ‘আমরা কিছুই জানতাম না।’ ঠিক যেমনটি করেছিলেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর।
কিছুদিন ধরেই আমলারা সরকারকে অস্থির করে তুলছেন। আমলাদের ভুলে এবং অযৌক্তিক কাজকর্মে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। আমলাদের কারণেই সরকারের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে দেখলে মনে হবে এটি অযোগ্যতা, সমন্বয়হীনতা। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পর তা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমলাদের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে সর্বনাশের খেলায় মেতেছেন। যার একমাত্র লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে অজনপ্রিয় করা। সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। গৃহহীনদের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দুই রুমের পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্ভট সিদ্ধান্ত ভুল নয়, অপরাধ। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার লকডাউন নিয়ে ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ প্রজ্ঞাপন অপরাধ। অর্ধেক গাড়ি চলবে, গার্মেন্ট খুলবে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে স্যাবোটাজ তা বরিশালের ঘটনার পর উন্মোচিত হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের এসব কান্ড আমাকে ’৭৫-এর আগের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাসদ এবং সর্বহারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সিঁধ কাটছিল খুনি মোশতাক চক্র। যারা ছিল জাতির পিতার কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারা দিন ঘুরঘুর করত। এবার শোকের মাসেও দেখলাম আওয়ামী লীগ ভুল নিশানায় গুলি ছুড়ছে। আওয়ামী লীগের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হলো বিএনপি। ১৫ ও ২১ আগস্ট নিয়ে যতগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর পড়লাম তার সবটিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু জিয়া, খালেদা আর তারেক জিয়া। ওই দুই ঘটনার যে এরাই মূল ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেকের বিএনপি এখন আরেকটা ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটাতে পারবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এতটাই নাজুক যে একটা বড় মিছিল, কিংবা একটা কঠিন হরতাল করার মতো শক্তিও তাদের নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বরং এখন বিএনপির সমালোচনা করে দলটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখছেন। বিএনপিও এতে খুশি। আওয়ামী লীগের সমালোচনার সব তীর বিএনপির দিকে তাক করিয়ে নব্য মোশতাকরা সিঁধ কাটছে। চারপাশে ষড়যন্ত্রগুলো এখন দৃশ্যমান। আপাত বিক্ষিপ্ত এ ঘটনাগুলোকে পাজল গেমের মতো মেলালে দেখা যাবে ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ। আওয়ামী লীগের নেতারা কি সব ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন?

শোকের মাসের একটা আবহ থাকে। আগে এ আবহ নষ্ট করত খালেদা জিয়ার তথাকথিত জন্মদিনের বীভৎস উৎসব। শোকের নিস্তব্ধতা ম্লান করার জন্যই এটা করা হতো। এবার আগস্টে জন্মদিনের উৎকট বিকৃতি নেই। তাতে কী? এবার আগস্টজুড়ে চলল অন্য রকম বিকৃতির উৎসব। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের নিয়ে এসব নোংরা খেলা কেন এ শোকের মাসে? বরিশালে সংঘাত কেন এ শোকের মাসে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। বিএনপিকে গালি দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আওয়ামী লীগের নেতারা কি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন? পরীমণিকান্ড, আমলাদের কান্ড একসূত্রে গাঁথা। যারা এসব করছেন, এসব ঘটনার যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা এ সময়ের মোশতাক। এরা সরকারের চারপাশেই আছে। এরাই ক্ষমতাবান। মৃত শত্রুকে আঘাত করার চেয়ে ঘরের শত্রুকে চিহ্নিত করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংতম ঘটনা ঘটে। দেশকে যখন তিনি বাকশালের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তখনই আগস্ট ট্র্যাজেডি ঘটে। এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী আমলাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। সচিবদের সঙ্গে সভা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দেশকে বিভক্তি থেকে মুক্ত করে ঐক্যের সুতোয় বেঁধেছেন শেখ হাসিনা। এ রকম একটি সময়ে এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে- বিএনপি, না মুখোশ পরে থাকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ হওয়া আমলারা?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে