শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৪০, শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১

আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

আওয়ামী লীগ এখন রাজাকার খোঁজায় ব্যস্ত। দলের তৃণমূল নেতারা একে অন্যকে ‘তুই রাজাকার’ বলেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, তথ্য-প্রমাণসহ চিঠি দিচ্ছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে। ‘রাজাকার’ নিয়ে অভিযোগের স্তুপ এখন দলের সভানেত্রীর কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘আওয়ামী লীগে এখন একে অন্যকে রাজাকার বলছে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনে ‘বহুব্রীহি’ নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকের কথা মনে আছে? আলী যাকের পাগলাটে মানুষ। নানারকম পাগলামি করেন। সিদ্ধান্ত নিলেন পোষা পাখিকে ‘তুই রাজাকার’ শেখাবেন। সেজন্যই টেপরেকর্ডারে তুই রাজাকার রেকর্ড করে পাখির কাছে অবিরত শোনানো হলো। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। হতাশ আলী যাকের। এ সময় এলেন রাজাকার (আবুল হায়াত)। দেখে পাখি বলে উঠল ‘তুই রাজাকার’। হুমায়ূন আহমেদ এ নাটকটি লিখেছিলেন এমন একসময় যখন বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী ইত্যাদি শব্দগুলো নিষিদ্ধ ছিল। বেতার-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ছিল অপরাধ। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী’ কথাগুলো।

ইতিহাস বিকৃতির এমনই একসময়ে হুমায়ূন আহমেদ ‘রাজাকার’ শব্দটি সামনে এনেছিলেন নিপুণ দক্ষতায়। ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে ‘রাজাকার’ শব্দটিকে ঘৃণিত হিসেবে জনপ্রিয় করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বহুব্রীহি নাটকে। ১৯৯১ সালে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে জামায়াত প্রকাশ্যে তাদের দলের আমির ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। সে সময় তারুণ্যে ভরপুর ‘আজকের কাগজ’ একরাশ তরুণকে নিয়ে নতুন ধারার সাংবাদিকতা শুরু করে। ’৯১-এর ডিসেম্বরে ‘আজকের কাগজ’ প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তুই রাজাকার’ শিরোনাম দিয়ে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের অপকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রকাশ্যে আনে। ‘তুই রাজাকার’ শিরোনামে এ লেখার মূল আকর্ষণ ছিল শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুন। একজন রাজাকারের কার্টুন, ’৭১-এ তার অপকর্মের ছোট্ট বর্ণনায় ‘তুই রাজাকার’ অসাধারণ জনপ্রিয়তা পায়। শেষ কার্টুন ছিল গোলাম আযমের। সারা দেশে হুমায়ূন আহমেদের ‘তুই রাজাকার’ শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুনে নবজন্ম পায়। ‘তুই রাজাকার’ স্বাধীনতা -বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় স্লোগানে পরিণত হয়। শহীদজননীর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গঠিত হয় ‘গণআদালত’। এটিই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে প্রথম গণঅভ্যুত্থান। এ আন্দোলনে প্রধান সংগঠন ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের জন্যই ‘গণআদালত’ সফল হয়েছিল। আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ করার অঙ্গীকার করেছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগই একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।’ শহীদজননীর এ আন্দোলনকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি সরকার এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ‘গণআদালত’ করার কারণে শহীদজননীসহ একাধিক বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছিল। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিই বাংলাদেশে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ’৭৫-এর পর দেশবাসীকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করে। আর এ আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ দলটি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার দাবি সামনে নিয়ে আসে।

১৯৯৬-২০০১ সালে না পারলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়তার প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পথে পা রেখেছিল। কিন্তু ১৩ বছর পর এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘তুই রাজাকার’ ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগই তার দলের অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতার। অন্তত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা-ই মনে করেন। ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার’ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই এখন একে অন্যের দিকে রাজাকারের তকমা লাগানোর চেষ্টা করছেন।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যার সঙ্গে বনবে না তাকে বলবে রাজাকারের ছেলে অথবা বলবে রাজাকারের নাতি বা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল তারা।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘এসব অভিযোগের স্তুপ হয়েছে আওয়ামী লীগে।’ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বিতর্ক হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। দফায় দফায় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির আসল পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ পুরনো ছবিও পোস্ট করছেন। এর সবই যে মিথ্যা তা নয়। কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বেশ কিছু মনোনয়ন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগে ‘রাজাকার’ গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যত প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ উঠেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে তা লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের মতো ঘটনা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মূল সুর অনুধাবন করলে বোঝা যায়, অনেক অভিযোগই অসত্য। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একটা সস্তা কৌশল। রাজাকার, বিএনপি বা জামায়াত বলে কাউকে কোণঠাসা করার কৌশলটি আওয়ামী লীগের কারও কারও পুরনো অভ্যাস। এ অভ্যাসটা এখন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক কাজে নয়, প্রশাসনে, ব্যবসায় এ ব্যাধি সংক্রমিত হয়েছে। ধরা যাক, প্রশাসনে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি মেধাবী, কারও সাতেপাঁচে নেই। প্রতিপক্ষ তাকে রাজাকারের আত্মীয় বানিয়ে দিল। ব্যস, তার পদোন্নতি বন্ধ হয়ে গেল। একসময় ওই দক্ষ মেধাবী কর্মকর্তা হয়ে গেলেন রাজাকার। ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়ার ব্যাধিটা শুরু অবশ্য রাজনীতি থেকে। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা, সমালোচনা করা মানেই তিনি স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বুঝে না বুঝে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে কৌশলটির প্রয়োগ ঘটিয়েছিল। খুব দ্রুত এর এমন অপপ্রয়োগ শুরু হলো যে একবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকেও আওয়ামী লীগের অতিউৎসাহীরা ‘রাজাকার’ বানিয়ে ফেলেছিল। এ কাজের জন্য আওয়ামী লীগে উর্বর মস্তিষ্কের গবেষকের অভাব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে কেউ আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের সমালোচক হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগে কিছু চাটুকার সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় কিংবা কৃপালাভের জন্য প্রতিপক্ষকে রাজাকারের তকমা লাগিয়ে দেওয়ার এক খেলা শুরু করেছিল। এ খেলায় এখন আওয়ামী লীগই একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে।

এ কথা ঠিক, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের পুনরুত্থান ঘটে। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ ’৭৫-’৯৫ সাল পর্যন্ত জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ’৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ সময় প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সামনে আনার একটি প্রয়োজনীয়তা ছিল। পেশাদারি, মেধার পাশাপাশি তার অতীত ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও মধুর আশায় অনেক রাজাকার পরিবার আওয়ামী লীগে ভিড় করে। পাশাপাশি এ সময় অনেক চাটুকার ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ এবং ‘২১ বছরের ত্যাগী’ হয়ে যান। এর ফলে আসল শুভাকাক্সক্ষীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। এ সময় চাটুকারিতা ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উগ্র মানসিকতা দুটোই বেড়ে যায়। ক্রমে তা মহামারীতে রূপ নিয়েছে। কারও পদোন্নতি ঠেকাবেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে বাধা দেবেন বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বড্ড বেশি সমালোচনা করেছেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজাকার বললেই হলো। বাছবিচার ছাড়া এভাবে তকমা লাগানোর প্রবণতা এখন আওয়ামী লীগের ঘরেই হানা দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার একটি সঠিক, নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে পারিনি। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়ে লিখতেও লজ্জা লাগে। তিনি রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করলেন ঘটা করে। সে তালিকায় দেখা গেল বহু মুক্তিযোদ্ধার নাম। মন্ত্রী নিজেই নিজেকে ‘বেকুব’ বললেন। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে তো এখন লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। যে দেশে কিছু টাকা খরচ করলেই মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, সে দেশে রাজাকার বানানো তো আরও সহজ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ই এখন রাজাকার পুনর্বাসন কেন্দ্র বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভালো কাজ এগিয়ে নিতে পারেনি। কিংবা আওয়ামী লীগের মধ্যেই কেউ কেউ এগিয়ে নিতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। এ প্রকল্প দিয়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়াত হাসান হাফিজুর রহমান, আফসান চৌধুরীর মতো দৃঢ়চিত্তের গবেষকের কল্যাণে তা হয়নি। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই ১৫ হাজার পৃষ্ঠার ১৫ খন্ডের দলিল প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ : দলিলপত্র’কে নিজেদের মতো করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়ার নাম ঢোকানোর জন্য চাপ দিয়েছিল লেখক ও প্রকাশককে। কিন্তু হাক্কানি প্রকাশনী বিএনপি সরকারের ওই চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি। ফলে বিপুলসংখ্যক বই গুদামে পড়ে ছিল। আওয়ামী লীগ এ উদ্যোগকে কেন এগিয়ে নিয়ে যায়নি, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের নির্মোহ, সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস ও দলিল তৈরি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নিজে গবেষণামনস্ক একজন মানুষ। কদিন আগেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ’৭৫-এর পর নানারকম খেলা হয়েছে। যে-যার মতো ইতিহাস বিকৃতি করেছে। চিরদিনের জন্য এ বিকৃত ও মিথ্যাচার বন্ধ করা প্রয়োজন। আর এটা বন্ধের একমাত্র উদ্যোগ গবেষণা এবং তথ্য অনুসন্ধান। এখনো আফসান চৌধুরী, মুনতাসীর মামুনের মতো ইতিহাস অনুসন্ধানী গবেষক বাংলাদেশে রয়েছেন। যাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করলে এ জাতি ইতিহাস বিকৃতির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে পথে যায়নি। বরং ইতিহাস বিকৃতি রুখতে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ ইতিহাসবিদ হয়ে গেছেন। কিছু লাভের আশায়, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ইতিহাস বানিয়েছেন। ’৭১-এ ল্যাংটো হয়ে ডাঙ্গুলি খেলা বালক যখন ’৭১-এ তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তা ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আছেন যারা কথায় কথায় যাকে তাকে রাজাকার বানিয়ে দেন। রাজাকার বানানো এ ব্যাধির ধাক্কা এসে এখন লেগেছে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। তৃণমূলের কথা বাদই দিলাম। এখন রাজাকার বানানোর আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বড় নেতারাও। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের পরিবারকে নিয়েও রাজাকারবিষয়ক কটূক্তি করা হলো। যদিও এ বক্তব্যের পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে রাজাকার বানিয়ে দেওয়ার ভয়ংকর অসুখ যে কোন পর্যন্ত যেতে পারে এ থেকে তা অনুমান করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকার রোগের ভয়াবহতা আওয়ামী লীগ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে। ১৩ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগে যে অনেক রাজাকার, মৌলবাদ এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঢুকে গেছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রংপুরের সৈকত মন্ডল, কিংবা সম্প্রতি চুল কাটার ফতোয়া দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার তার বড় প্রমাণ। এ রকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার বলেছেন। নিজ উদ্যোগে তালিকা করে দলে নেতাদের দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ এদের আওয়ামী লীগে এনেছেন এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতারা। তাদের জন্যই এসব অনুপ্রবেশকারীকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারাও প্রভাবশালীদের বদান্যতায় পেয়েছেন। যে দলটি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দেশি এজেন্ট রাজাকার, আলবদরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দলে একজনও রাজাকার সন্তান বা রাজাকার পরিবারের সদস্য জনপ্রতিনিধি হওয়া কাক্সিক্ষত নয়। তাই আওয়ামী লীগকে রাজাকারমুক্ত হতেই হবে। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্য নয় ব্যাধি সংক্রমক। একবার আওয়ামী লীগে বাসা বাঁধলে আওয়ামী লীগই নিঃশেষ হয়ে যাবে।

ইতিহাস, গবেষণা, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া যাকে তাকে যখন তখন ঘায়েল করার জন্য রাজাকার বলার সস্তা মানসিকতা থেকেও আওয়ামী লীগের উৎসাহীদের সরে আসতে হবে। অন্যকে ঘায়েল করার এ অস্ত্র আওয়ামী লীগের জন্যই বুমেরাং হয়ে যাবে। যার প্রমাণ এবার আওয়ামী লীগ পাচ্ছে।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]
 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৬ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়

মাদক ঢল ঠেকাতে ২৮ ব্যর্থতা শনাক্ত
মাদক ঢল ঠেকাতে ২৮ ব্যর্থতা শনাক্ত

পেছনের পৃষ্ঠা