শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:১৮, শনিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২১

আমাদের ক্রিকেট : রাজনীতি, প্রেম এবং প্রতারণা

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
আমাদের ক্রিকেট : রাজনীতি, প্রেম এবং প্রতারণা

জাতি হিসেবে বাঙালি বিভক্ত। নানা জনের নানা মত। দুজন বাঙালি এক হলে ঝগড়া করে। কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ বিএনপি। কেউ বলে দেশ ভালো চলছে, কেউ বলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ। এ রকম এক বিভক্ত জাতিকে ঐক্যের সুতোয় বাঁধে যে কটি উপলক্ষ তার মধ্যে ক্রিকেট একটি। ক্রিকেট আমাদের সব বিভেদের রেখা উপড়ে ফেলে। গোটা জাতিকে এক আত্মায় পরিণত করে। ক্রিকেট আমাদের হাসায়, কাঁদায়। যে মানুষটির খেলাধুলা নিয়ে তীব্র অনীহা, তিনিও বাংলাদেশের ক্রিকেট হলে উৎসাহী হন। একবারের জন্য হলেও টেলিভিশনে চোখ রাখেন কিংবা বেতারে কান পাতেন। বাংলাদেশ যে ক্রিকেটে এগিয়েছে তার অন্যতম কারণ এ দেশের দর্শক। বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পেল তখন যেসব কারণ বাংলাদেশের পক্ষে দেখানো হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো দর্শক। দর্শক এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় এ দেশের ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়েছে। এ দেশের ক্রিকেট অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেটের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। রাস্তায় বেরিয়েছে আনন্দ মিছিল। আবার খারাপ খেললে কেঁদেছে। খেলোয়াড়দের সমালোচনা করেছে। দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেই ভালোবাসা আমাদের অন্যতম দুর্বলতাও বটে। খেলায় হারজিত থাকবেই। একদিন দল ভালো করবে, আরেকদিন খারাপ করবে। ভালো খেললে যেমন প্রশংসা পাওয়া যায়, তেমন খারাপ খেললে গালিও শুনতে হয়। বাংলাদেশের মতো আবেগপ্রবণ দেশে দুটোর মাত্রাই সীমা অতিক্রম করে। একটি জয় সব সমালোচনা ধুয়ে দেয়। এভাবেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু এবার টি-২০ বিশ্বকাপ যেন সেই আদলে নয়। এখানে যেন বাংলাদেশের হারগুলো মনে হয়েছে অনাকাক্সিক্ষত। বাংলাদেশ দলকে মনে হয়েছে ছন্নছাড়া, বোর্ডকে মনে হয়েছে দায়িত্বহীন এবং কোচিং স্টাফদের অর্বাচীন লেগেছে। এর আগেও বাংলাদেশ বহুবার হেরেছে। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ কখনই খুব ভালো দল নয়। এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ। কাজেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে বলে যারা হাঁকডাক করেছিলেন তারা যে যুক্তিহীন অতিরঞ্জন করেছিলেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলাফল নিয়ে আমার তেমন কোনো বক্তব্যও নেই। কিন্তু খেলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যে শরীরী ভাষা তা ছিল সম্পূর্ণ অখেলোয়াড়সুলভ। তারা খেলাটা উপভোগ করতে পারেননি। মনে হয়েছে দলে কোনো সমন্বয় নেই। একজন আরেকজনকে চেনেন না। কখনো কখনো মনে হয়েছে খেলা শেষ হলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। হাসি নেই, উচ্ছ্বাস নেই। এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ছেলেরা এবং ক্রিকেট বোর্ডই যেন পরস্পর প্রতিপক্ষ হিসেবে মঞ্চে আবিভর্‚ত হয়েছে। প্রথম রাউন্ডের প্রথম খেলায় বাংলাদেশ যখন স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হারল তখনই বোর্ড সভাপতি হুঙ্কার দিলেন। ভাবখানা দেখে মনে হলো এবার বাগে পেয়েছি। ক্রিকেটারদের ধুয়ে দিলেন। মনে হলো স্কটল্যান্ডের কাছে হারার জন্যই তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। আবার ওমানের সঙ্গে জয়ের পর পাল্টা আক্রমণ করলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। একটি জাতীয় দলে এ ধরনের প্রকাশ্য গৃহদাহ নজিরবিহীন। আমাদের দেশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে কিছু অযোগ্য, দায়িত্বহীন মানুষ বসে আছেন। শুধু বসে নেই, এরা যেন পাথরের মূর্তি। এদের সরানোর কোনো উপায় নেই। আমৃত্যু এরা একটা পদ আঁকড়ে থাকেন। তেমনি একজন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। কোন যোগ্যতায় তিনি বছরের পর বছর ক্রিকেট বোর্ড শাসন করছেন সে প্রশ্নের উত্তর আমি অন্তত খুঁজে পাই না। তবে নাজমুল হাসান পাপনের একটা অদ্ভুত গুণ আছে। বাংলাদেশ ভালো খেললে সব সাফল্য তিনি শুষে নেন। ভাবখানা এমন বাংলাদেশ জিতেছে তাঁর জন্যই। এটা হতেই পারে। বিসিবির সভাপতি হিসেবে ক্রিকেটের অভিভাবক তিনি। দল ভালো করলে সাফল্য তো তাঁর পকেটে ঢুকবেই। নাজমুল হাসান সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হন। প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন। ভারিক্কি ভঙ্গিতে চামচাদের স্তুতিতে গদগদ করেন। আবার বাংলাদেশ হেরে গেলে তিনি যেন হাঁস হয়ে যান। ব্যর্থতার এক চিমটি দায় নিতে রাজি নন। তখন তিনি খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হন। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় তিনি যেন পাড়ার ‘বড় ভাই’। ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না, কিন্তু মাতব্বরি করেন ষোল আনা। পাড়ার ছেলেরা হারলে বড় ভাই পোলাপানকে রিমান্ডে নেন। খিস্তি করেন। কাউকে কাউকে কান ধরে উঠবোস করান। বেশি খারাপ খেলে যারা তাদের ওপর এক ঘা বসিয়ে দেন। পাপনও তেমনি, বাংলাদেশ হারলেই খেলোয়াড়দের ওপর এমনভাবে চড়াও হন যেন ক্রিকেটাররা অপরাধী, আসামি। পাপনতন্ত্রের মূল কথা হলো ‘সাফল্য যা আমার, ব্যর্থতা ক্রিকেটারদের’। তাঁর কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি সর্বেসর্বা। আবার আমার মাঝেমধ্যে পাপনকে বোর্ডের সভাপতি নয়, হেড কোচ মনে হয়। কোন খেলোয়াড় খেলবেন না খেলবেন এ সম্পর্কে গণমাধ্যমে অকপটে বলেন। কোন খেলোয়াড় ওপেনিং করবেন, কে বোলিং করবেন এ নিয়ে বিসিবি সভাপতির বক্তব্য প্রায়ই শালীনতার সীমা অতিক্রম করে। বিশ্বকাপেই দেখলাম এমন ঘটনা। প্রথম খেলায় বাংলাদেশের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় খেলা ওমানের বিরুদ্ধে। ব্যাটিং অর্ডারে একেবারে ওলটপালট ঘটানো হলো। দেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিককে নামানো হলো ৭ নম্বরে। কেন এটা হলো? খুঁজতে গিয়ে দেখলাম এখানেও নাকি বোর্ড সভাপতির ভূমিকা ছিল। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পক্ষে কোনো অজুহাত দাঁড় করছি না। এবার তারা আসলেই খারাপ খেলেছেন। কিন্তু এ খারাপ খেলায় বোর্ডের কি কোনো দায় নেই? আবার খেলোয়াড়দের সমালোচনার জবাব দিতে হয় মাঠে। প্রেস কনফারেন্সে নয়। বিসিবি সভাপতি যেমন ক্রিকেটারদের সাইজ করার সুযোগ খোঁজেন, তেমনি এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও যেন বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ খুঁজতেই ব্যস্ত ছিলেন। ওমানের সঙ্গে জয়ের পর রিয়াদ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। এমনকি মুশফিকের ‘আয়নাতত্ত্ব’ও এ দেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশ যেন বিশ্বকাপ খেলতে যায়নি, বোর্ড বনাম ক্রিকেটারদের লড়াই করতে গেছে।

আমি ক্রিকেটবোদ্ধা নই। একজন দর্শক মাত্র। দর্শক হিসেবে আমি বুঝি ক্রিকেট হলো মূলত মাইন্ড গেইম। এটা যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশি মানসিক। এটা মনঃসংযোগের খেলা। মাঠের বাইরে বোর্ড আর ক্রিকেটারদের মনস্তাত্তি¡ক দ্ব›েদ্বর ফল আমরা তো হাতেনাতেই দেখলাম। লিটন দাস যেভাবে একের পর এক ক্যাচ ফেলে দিলেন তাতে মনে হয়েছে তিনি বোধহয় বল দেখেননি, বিসিবির সভাপতিকে দেখছেন। তাই ভয়ে সরে গেছেন। রিয়াদ যেন কিছু একটা করে সভাপতিকে এক হাত দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই মাঠে নেমেছিলেন। এজন্য সাকিব-মুস্তাফিজকে বাদ দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেই বল করতে শুরু করলেন। রিয়াদ ভালো খেলোয়াড় সন্দেহ নেই। কিন্তু তার কিছু কিছু আচরণ বালখিল্যের পর্যায়ে পড়ে। জিম্বাবুয়ে সফরের মাঝপথে অবসরের ঘোষণা দিয়ে রিয়াদ তার ওপর অবিচারের ঝাল মিটিয়েছিলেন। এটা কোনো ক্রীড়াবিদের কাজ হতে পারে না। প্রশ্ন হলো, এ রকম এক অবুঝ আবেগীর হাতে কেন দলের নেতৃত্ব তুলে দিল বোর্ড? বোর্ডের সভাপতি তাকে পছন্দ করেন না এটা বোঝাই যায়। সেই অপছন্দের ব্যক্তির হাতেই কীভাবে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়? ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা এবার সদলবলে গেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। অথচ সাইফুদ্দিন আর সাকিব ইনজুরিতে পড়লে দেখা গেল ১৩ জনের বাংলাদেশ দল। বোর্ডের ‘বিচক্ষণতা’র এর চেয়ে আর কী উদাহরণ দেওয়া যায়।

এবার বিশ্বকাপে আমাদের দল, কোচিং স্টাফ ও বোর্ডের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটের অন্তিমযাত্রা শুরু হলো। ক্রিকেটের বারোটা কি বাজতে চলেছে? কেনিয়ার কথা মনে আছে? আকরাম খানের সেই অনবদ্য ইনিংসের মাধ্যমে আমরা কেনিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম। সেই কেনিয়ার ক্রিকেটের আজ করুণ অবস্থা। বলা হয়, কেনিয়ার ক্রিকেট এখন মৃত। এর কারণ কেনিয়ার ক্রিকেটে রাজনীতি, দলাদলি। নতুন খেলোয়াড় না আসা। একই অবস্থা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের। আমার শঙ্কা, বাংলাদেশের ক্রিকেটও কি কেনিয়া, জিম্বাবুয়ের পথে হাঁটছে?

একটা সময় বাংলাদেশের ফুটবল নিয়েও মাতামাতি ছিল বাঁধনহারা। সালাউদ্দিন, অমলেশ, চুন্নু, টুটুল একেকজন তারকা। মালদ্বীপকে বাংলাদেশ হাসতে হাসতে ৭ গোলে হারাত। সেই বাংলাদেশের ফুটবল এখন মৃত। মাঠে দর্শক যায় না। মালদ্বীপও বাংলাদেশকে বলে-কয়ে হারায়। ফুটবল নিয়ে এখন তরুণদের আবেগ নেই। নতুন খেলোয়াড় আসছে না। ফুটবলে স্পন্সর নেই। অথচ একসময় বাংলাদেশে ফুটবলাররাই ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা। দর্শক মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার ফলে ফুটবলও মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন বাংলাদেশে ক্রিকেটাররাই সবচেয়ে বড় তারকা। কয়েকদিন খেললেই হলো, ব্যস। বিজ্ঞাপনের মডেলের জন্য প্রস্তাব আসতে থাকে হু হু করে। কদিন আগে অফিসে খেলা দেখছিলাম। বাংলাদেশের টপটপ উইকেট পড়ছেন আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন তারকা ক্রিকেটাররা। মুশফিক-রিয়াদ ‘আকাশ’-এর মডেল। সাকিব তো বুস্ট থেকে এয়ারকুলার, চাটনি থেকে সেভেন আপ- সবকিছুতেই আছেন। একজন সহকর্মী বলে উঠলেন, এরা প্র্যাকটিস করে কখন? সারা দিন তো মডেলিং করেন। ক্রিকেটাররা জনপ্রিয়। তারা পণ্যের প্রসারে ব্যবহৃত হতেই পারেন। আয়-রোজগারও করতে পারেন। আপত্তি নেই। কিন্তু এটা করতে গিয়ে যদি খেলাটাই গুরুত্বহীন হয়ে যায় তাহলে তো পরিণতি ফুটবলের মতোই হবে। এবার বাংলাদেশের দর্শক প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছেন। অনেক দর্শক খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের শেষ দুটি খেলায় (দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া) টিভি দর্শক কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এ দেশের মানুষ প্রচন্ড আবেগপ্রবণ। জাতি যা চায় তার জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিতে পারে। যা চায় না তা প্রতিরোধ করার জন্যও অবলীলায় প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে। এ জাতি ভালোবাসলে সবকিছু উজাড় করে দেয়। আর একবার মুখ ঘোরালে ফিরেও তাকায় না। আমাদের ক্রিকেট থেকে দর্শক মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন এবারের বিশ্বকাপে। একবার যদি মানুষ ক্রিকেটবিমুখ হয় তাহলে তাকে ফেরানো অনেক কঠিন হবে। আর দর্শক যদি খেলা না দেখেন তাহলে এত স্পন্সর, টাকাকড়ি কিছুই থাকবে না। আমাদের ক্রিকেটের অন্দরমহলে এখন খেলার উত্তাপের চেয়ে টাকার উত্তাপ অনেক বেশি। বোর্ডের কর্তারা তাদের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে ব্যাংকে কত শত কোটি টাকা আছে তার ফিরিস্তি দেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড নাকি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড এমন দাবিও করেন বোর্ডের কর্তারা। অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় আমাদের ক্রিকেটাররাও অর্থনৈতিকভাবে বেশ মজবুত। ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ক্রিকেটাররা ধনী হওয়া দোষের নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দর্শক আছে বলেই টাকা-পয়সার বাড়বাড়ন্ত আমাদের ক্রিকেটে। তাই দর্শক যতক্ষণ থাকবেন ততক্ষণই ক্রিকেটের সুদিন থাকবে। দর্শক না থাকলে ক্রিকেটের অবস্থাও ফুটবলের মতো হতে সময় নেবে না। আমাদের দর্শক ফুটবলের বিশ্বকাপ দেখে, রাত জেগে ইউরোপের বিভিন্ন খেলা দেখে, ভোররাতে আধোঘুমে কোপা আমেরিকার খেলা দেখে। মেসি, রোনালদো, নেইমারদের চেনে না এমন একজনও খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই ফুটবল-পাগল দর্শক কেন বাংলাদেশের খেলা দেখে না? আমাদের ক্রিকেট বোর্ড, খেলোয়াড়দের এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হবে। এমন দিন যদি আসে এ দেশের দর্শক ভারত-পাকিস্তানের খেলা দেখছে, অ্যাসেজ দেখছে, বাংলাদেশের খেলা দেখছে না- তাহলে সেজন্য কাকে দায়ী করবেন? বাংলাদেশের দর্শক ভারত-পাকিস্তানের দর্শকের মতো উন্মাদ নয়। তারা বাংলাদেশ দলের সীমাবদ্ধতা জানে। বাংলাদেশ এর আগেও অনেক খারাপ খেলেছে। দর্শক মন খারাপ করেছে। আবার ঠিক হয়ে গেছে। এ মন খারাপ অনেকটা গরিবের গাড়ি কেনার স্বপ্নভঙ্গের মতো। কিন্তু এবার ব্যাপারটা তেমন নয়। আমি জানি না, অন্যরা আমার সঙ্গে একমত হবেন কি না, এবার দর্শক প্রতারিত হয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে এলো, অস্ট্রেলিয়া এলো, নিউজিল্যান্ড এলো। বাংলাদেশ এমন পিচ বানাল সেখানে একমাত্র বাংলাদেশই জিততে পারে। ক্রিকেট-কর্তাদের জন্য এ ‘জয়’ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জয় দেখিয়ে বিসিবিতে পাপন-রাজত্ব নিরঙ্কুশ করা হলো। আর সাধারণ মানুষকে বোঝানো হলো এবার টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কিছু একটা করে দেখাবে। তখন যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাদের ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো। যে দেশের উদ্বোধনী জুটি নেই, ফিনিশার নেই, হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান নেই সে দেশ টি-২০তে সেমিফাইনালে যাবে? অথচ বোর্ডের নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করার জন্য এ রকম একটি প্রতারণা করা হলো জনগণের সঙ্গে। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন।

ক্রিকেট বোর্ড করা হয় ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট বোর্ড যেন পুনর্বাসন কেন্দ্র। এরা ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারে না, বোর্ডের পরিচয় দিয়ে সমাজে পরিচিত হয়। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন সবচেয়ে অসুখী পরিবার। এখানে ছেলেরা ম্যাচে নামছে যেন দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে। কোচরা যেন ভিনগ্রহের মানুষ। বাংলাদেশকে কখনো একটা ঐক্যবদ্ধ দল মনে হয়নি। বিশ্বকাপের লজ্জার পর বোর্ড যথারীতি তদন্ত করবে। রিয়াদ হয়তো ছাঁটাই হবেন। নানা রকম বাণী দেবেন বোর্ড সভাপতি। তারপর আসবে পাকিস্তান। আবার ‘বিশ্বমানের পিচ’ তৈরি করে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করা হবে। বলা হবে, আমাদের ক্রিকেট সঠিক পথে। এই যে আবার ফর্মে ফিরেছেন টাইগাররা। এ তো খেলা নয় যেন প্রতারণা। রাজনীতি যখন নষ্ট হয় তখন বলা হয় রাজনীতির মধ্যে ‘পলিটিক্স’ ঢুকে গেছে। এখন ‘পলিটিক্স’ আরও বড় পরিসরে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হয়। বলা হয় প্রশাসনে ‘পলিটিক্স’, সাহিত্যে ‘পলিটিক্স’, সব দিকে ‘পলিটিক্স’। সে রকম এখন ক্রিকেটেও যেন পলিটিক্স ঢুকে গেছে। রাজনীতিবিদ বোর্ড সভাপতি খেলা নিয়ে জনগণের সঙ্গে নির্মম প্রতারণা করছেন। ক্রিকেট আমাদের ভালোবাসা। ভালোবাসার সঙ্গে প্রতারণা করলে ঘৃণা, উপেক্ষা তৈরি হয়। ক্রিকেট নিয়ে এ ভয়ংকর প্রতারণার খেলা বন্ধ না হলে আমাদের ক্রিকেটের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর