শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৪০, শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ আপডেট:

রাজনীতির জোয়ার-ভাটা

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
রাজনীতির জোয়ার-ভাটা

আজ ২৭ নভেম্বর। শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনটিতে হালকা শীত ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বসে অনার্স ফাইনালের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সবকিছু স্বাভাবিক, শান্ত। আচমকা কয়েকটি গুলির শব্দ। কৌতূহলী হয়ে লাইব্রেরি থেকে বেরোলাম। এরপর আবার কয়েকটি গুলি। হঠাৎ আতঙ্ক। ইতস্তত ছোটাছুটি। মিনিট কয়েক গোলাগুলির পর শুরু হলো মিছিল। কেউ ঠিকঠাক মতো বলতে পারছে না। ঘটনা টিএসসি আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝামাঝি রাস্তাজুড়ে। খানিক পরই ‘ধর ধর’ চিৎকার। তারপর মিছিল। মুহূর্তেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ল বিক্ষোভ। মিছিল করতে করতেই জানলাম বিএমএর (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) দুই নেতা ডা. মিলন ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে নতুন বাংলা ছাত্রসমাজের সশস্ত্র ক্যাডাররা গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হন ডা. মিলন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ডা. মিলনের মৃত্যু যেন স্ফুলিঙ্গের মতো আন্দোলন ছড়িয়ে দেয় সারা ঢাকায়, সারা দেশে। এক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হয় দোকানপাট। অফিস-আদালত থেকে মানুষ বেরিয়ে আসে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ঘোষণা করেন। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল রাজধানী। ‘এক দফা এক দাবি এরশাদ তুই কবে যাবি’। এই একটি স্লোগান সর্বত্র। এরশাদ কি তখনো জানতেন তার শাসনকালের আয়ু আর মাত্র সাত দিন? ২৬ নভেম্বর এরশাদের একান্ত অনুগত মন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন মুন্সীগঞ্জের এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘দেশে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। এরশাদ আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবেন।’ ডা. মিলনের মৃত্যু এক লহমায় সবকিছু বদলে দেয়। ৪ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। ২৭ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অচল ছিল। অনেক নাটক হয়েছে পর্দার আড়ালে। কিন্তু এমন আচমকা আন্দোলনে এরশাদের নয় বছরের সাজানো বাগান ভেঙে যাবে তা কেউই ভাবতে পারেনি। এটাই হলো বাংলাদেশ। এ হলো জোয়ার-ভাটার দেশ। সকালে নদীর ঘাটে যেখানে নৌকা ভেড়াবেন, দুপুরে দেখবেন ভাটার টানে সে নৌকা চলে গেছে বহুদূর। দুপুরে নদীর বিরান বালু সন্ধ্যায় জোয়ারে স্রোতের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী যেমন এ দেশে সকাল-বিকাল রূপ পাল্টায়, এ দেশের মানুষের মনও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যায়। ষড়ঋতুর এই দেশে কখন যে মানুষ আবেগে কান্না করে আর কখন যে রুদ্ররোষে সবকিছু তছনছ করে কেউ জানে না। অনিশ্চয়তা এবং নাটকীয়তাই এ দেশের রাজনীতির চরিত্র। এর প্রধান কারণ হলো জনগণের আবেগ। এ দেশের জনগণ যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। কখন যে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জেগে উঠবে কেউ জানে না।

এরশাদের পতনের পর সবাই জানত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশপাশে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আওয়ামী লীগের নেতারা মন্ত্রিত্বের দফতর ভাগ-বাটোয়ারায় মশগুল। কিন্তু ওই নির্বাচনের ফলাফল হলো অন্যরকম। এরশাদের পতনের পর আওয়ামী লীগের কজন নেতা ভেবেছিলেন তাঁরা নির্বাচনে হেরে যাবেন? বিএনপি জয়ী হলো ’৯১-এর নির্বাচনে। বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন কি বেগম জিয়া জানতেন ২০২১ বাংলাদেশে আসবে? তখন কি বেগম জিয়া জানতেন তাঁকে এরশাদের চেয়েও করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাঁর শয্যাপাশে থাকবে না তাঁর পুত্র, পুত্রবধূরা। তিনি কি জানতেন তাঁর দলের নেতারা তাঁর জন্য কিছুই করবেন না। শুধু তামাশা দেখবেন?
এরশাদের পতনের পর বেগম জিয়া সুযোগ পেয়েছিলেন গণতন্ত্র, সুশাসন এগিয়ে নেওয়ার। রক্তাক্ত রাজনীতির কবর রচনার। প্রতিহিংসার রাজনীতি উপড়ে ফেলার। বেগম জিয়া যদি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিণতি আঁচ করতেন তাহলে হয়তো তিনি রাজনীতির নতুন যুগের সূচনা করতেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। মাগুরা, মিরপুরের উপনির্বাচনে কারচুপি করতেন না।

’৯১-এর নির্বাচনের পর বাংলাদেশে কজন ভেবেছিল শেখ হাসিনা ১৮ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করবেন। ’৯১-এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকেই বলতে শুনেছি, শেখ হাসিনা থাকলে আওয়ামী লীগ চিরকাল বিরোধী দলেই থাকবে। আজ যাঁরা শেখ হাসিনাকে অজস্র উপাধিতে ভূষিত করেন তাঁরাই সেদিন শেখ হাসিনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ’৯৬-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার চেহারাসুরত পাল্টে গেল। আওয়ামী লীগের অনেকে এমন আচরণ করলেন যে আর কোনো দিন তাঁরা বিরোধী দলে যাবেন না। কিন্তু ২০০১-এর নির্বাচনের ফল হলো উল্টো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের উত্থান ঘটল। যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিএনপি ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে মনোযোগী হলো। জনগণের ভোট নয়, অন্য কৌশলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এক আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠল। সে সময় বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যেসব মন্তব্য করেছিলেন, তা যদি তাঁরা এখন পড়েন তাহলে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য ৪২ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’ বেগম জিয়ার চেয়ে এক কাঠি সরস ছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক জিয়া। তৃণমূলের এক কর্মী সমাবেশে তারেক জিয়া বলেছিলেন, ‘অক্টোবর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়েছে। এখন এর জানাজা পড়াতে হবে।’ বিএনপি-জামায়াত সরকারের মন্ত্রীদের মন্তব্য ছিল আরও কুৎসিত, অরুচিকর।

বিএনপি আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য কী না করেছে? প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে বিধান সংশোধন করেছে। নিশ্চিত হতে চেয়েছে বিচারপতি কে এম হাসানই যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হন। দেড় কোটি ভুয়া ভোটার করেছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে আজ্ঞাবহদের দিয়ে। আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। জজ মিয়ার নাটক সাজিয়েছে। সারা দেশে নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হলেন। হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনলে তাঁর প্রাণটা হয়তো বাঁচত। কিন্তু তাঁকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়নি। বেগম জিয়া যদি জানতেন তাঁর জীবনে এমন দিন আসবে, তাহলে হয়তো সেদিন তিনি এমনটা করতেন না। গাজীপুরের জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করা হলো। টঙ্গীতে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হলো। মুমূর্ষু রক্তাক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঢাকায় আনতে বিলম্ব হলো দুই ঘণ্টা। বেগম জিয়া যদি ঘুণাক্ষরেও তাঁর ভবিষ্যৎ জানতেন তাহলে নিশ্চিত তিনি এ রকম অমানবিক কাণ্ড হতে দিতেন না। ক্ষমতা নিশ্চিত করতে বেগম জিয়া মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। কিন্তু সেই মইন উ আহমেদই বেগম জিয়ার গোটা পরিবারকে জেলের ভাত খাওয়ালেন! আওয়ামী লীগ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে বলে ২০০১ সালে বিএনপির যেসব নেতা উল্লাসনৃত্য করেছিলেন তাঁরাই এখন ফেরারি। এমনটাই বাংলাদেশ।

মাঝেমধ্যে মনে হয়- মানুষ যদি তার ভবিষ্যৎ দেখতে পেত তাহলে এ হানাহানি, প্রতিহিংসা, ঘৃণা, প্রতিশোধ অনেকখানি কমে যেত। মানুষ যদি তার ভবিষ্যৎ জানত তাহলে হয়তো ক্ষমতালিপ্সা, দুর্নীতি, মিথ্যাচার অনেকটাই কমে যেত। কিন্তু আবার অন্যভাবে যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব, মানুষের পরিণতি তার কাজেরই ফল। মানুষ যা করে তা-ই তার ভবিষ্যতের পথরেখা তৈরি করে। আজ আপনি যা করবেন আগামীকাল তার ফলই আপনি ভোগ করবেন। কেউ তার কাজের ফলাফল দেখে যায়, কেউ দেখে না।

জিয়া যদি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল না করতেন। খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত না মেলাতেন। নির্মমভাবে তাহেরকে ফাঁসিতে না ঝোলাতেন (অথবা হত্যা না করতেন)। তাহলে আজ হয়তো তিনি এভাবে ইতিহাসে ধিকৃত হতেন না।

এরশাদ যদি তাঁর ওয়াদা রক্ষা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতেন তাহলে এ দেশের ইতিহাস অন্য রকম হতো।

বেগম জিয়া যদি জানতেন এ দেশে তাঁর ও তাঁর পুত্রের বিচার হবে। দুর্নীতির মামলায় তাঁকে জেল খাটতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতেও তাঁকে শেখ হাসিনার করুণার ওপর নির্ভর করতে হবে তাহলে ১০ বছরের ক্ষমতায় তিনি অন্যরকম হতেন। অনেক মানবিক, সহানুভূতিশীল হতেন। যারা ক্ষমতায় গেলে ভবিষ্যতের কথা ভাবে না বেগম জিয়া তাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। তাই সুসময়ে মানুষকে শান্ত থাকতে হয়। ক্ষমতাবান মানুষকে হতে হয় সংযত। কাউকে ছোট করতে হয় না। মানুষকে শ্রদ্ধা করতে হয়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় আমরা দেখি যারা উদ্যত হয়েছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, জনগণকে অবজ্ঞা করেছেন তাঁরা এর পরিণতি ভোগ করেছেন। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো ইতিহাস থেকে কেউ শেখে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭২ বছরের পুরনো দল। যুগে যুগে এ দলের নেতা-কর্মীরা নিগৃহীত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। আর সে কারণেই বোধহয় আওয়ামী লীগকেই এ দেশের মানুষ প্রাণভরে দিয়েছে। দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগ। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায়। এ সৌভাগ্য অন্য কোনো রাজনৈতিক দল পায়নি। তাই আওয়ামী লীগকে এ দেশের মানুষ অনেক দায়িত্বশীল, মানবিক ও সংযত দেখতে চায়। বিএনপি, জাতীয় পার্টি যা করেছে আওয়ামী লীগ তা করবে না, এটাই মানুষ প্রত্যাশা করে। কিন্তু ইদানীং আওয়ামী লীগের কারও কারও কথা এবং কাজ অযাচিত অহমিকায় ভরপুর। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার কথাবার্তা, আচার-আচরণে মনে হয় আওয়ামী লীগের আগে দেশে কেউ ছিল না, আওয়ামী লীগের পরেও কেউ থাকবে না। আওয়ামী লীগ আজন্ম ক্ষমতায় থাকবে এমন অবাস্তব চিন্তার প্রকাশ্য রূপ দেখা যায় আওয়ামী লীগের কারও কারও মধ্যে। আওয়ামী লীগে অনেক রথী-মহারথী তৈরি হয়েছেন ইদানীং। এঁদের বেসামাল কাজ ও কথাবার্তায় বিস্মিত জনগণ। কেউ কেউ যেন গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের কথাই ধরা যাক। সরকারের কেউ কেউ যেন চাইছেন শিক্ষার্থীরা খেপে উঠুক। আন্দোলনে ঝাঁপ দিক। সারা জীবন দেখে এলাম শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ ভাড়া। এখন কেন এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করতে হবে? এটা তো সহজেই সমাধান করা যায়। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে আন্দোলন করছেন। দায়িত্বশীলরা তামাশা দেখছেন। ভাবখানা এই- কর দেখি কত দিন আন্দোলন করতে পারিস। জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই। গণপরিবহনে চলছে নৈরাজ্য, দেখার কেউ নেই। সারা দেশে খুনোখুনি শুরু হয়েছে, বন্ধের আন্তরিক উদ্যোগ নেই। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কিছু নেতা জনগণকে শাসাচ্ছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের বেশ কয়েক জায়গায় আধা-পাতি নেতা জনগণকে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই’। যে দলটি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এত রক্ত দিল, এত আন্দোলন করল সেই দলের সিকি-আধুলি নেতারা এ করম অর্বাচীনের মতো কথা বলেন কীভাবে? আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার আচার-আচরণে মনে হয় ভোট লাগবে না, জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা মূল্যহীন। সেদিন এক নেতা বললেন, ‘আওয়ামী লীগকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না’। ওই নেতার কথার প্রতিফলন দেখা যায় বাস্তবে। আওয়ামী লীগের অনেকেই এখন মনোনয়ন পেতে যত কসরত করেন, ভোট পেতে তা করেন না। দলের মনোনয়ন পেলেই হলো, এমন একটি রোগ আওয়ামী লীগে ভয়াবহভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। মনোনয়ন পেয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ব্যাধিতে আক্রান্ত আওয়ামী লীগ। যে দলের মহান নেতা জনগণকে সম্মান করতেন সবচেয়ে বেশি। যে দলের বর্তমান নেতা জনগণের কল্যাণে সবকিছু উৎসর্গ করেছেন সেই দলের খুচরা-পাতি নেতারা কথায় কথায় জনগণকে পিটিয়ে শায়েস্তা করতে চান।

একটু মিলিয়ে দেখুন ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি নেতারা যে ধারায় আওয়ামী লীগকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন, এখন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সেই একই ভাষায় কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ জনগণকে পিষে ফেলতেও চান। ভয় দেখান। চোখ রাঙান। সদ্যবহিষ্কৃত গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এক অডিও শুনলাম। এভাবে জনগণকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতা করতে পারেন, ভাবতে শিউরে উঠি। আওয়ামী লীগের অনেকে গত ১৩ বছরে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছেন। গাড়ি হয়েছে, বাড়ি হয়েছে, বিদেশে টাকার খনিও হয়েছে। এঁরা আওয়ামী লীগের অতীত জানেন না। আওয়ামী লীগের ত্যাগের ইতিহাস জানেন না। গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিস্ময়কর পরিবর্তন হয়েছে। এঁরা নিজেদের জনগণের সেবক ভাবেন না, জনগণের প্রভু ভাবেন। আওয়ামী লীগে কেউ কেউ মনে করেন তারাই শুধু প্রথম শ্রেণির নাগরিক, বাকিরা ক্রীতদাস। আওয়ামী লীগে কারও কারও ধারণা- ২০১৪ কিংবা ২০১৮-এর মতো বারবার তাঁরা বিপুলভাবে বিজয়ী হতেই থাকবেন। জনগণ বুড়ো আঙুল চুষবে। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই আওয়ামী লীগাররা জানেন না এ দেশটা জোয়ার-ভাটার। এ দেশের নদ-নদীর মতোই মানুষের মন। এক নিমেষেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এরশাদ ’৯০-এর নভেম্বরে জানতেন না ডিসেম্বরে তাঁর ভাগ্যে কী ঘটবে। ২০০৬-এর ডিসেম্বরে বেগম জিয়া জানতেন না ২০০৭-এর জানুয়ারিতে তাঁর জন্য দীর্ঘ অন্ধকার টানেল অপেক্ষা করছে। আওয়ামী লীগ কি জানে কাল কী ঘটবে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’
‘অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলাম’

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা