শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:০২, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

ঘটনাটি লিখেছেন ড. আকবর আলি খান। তাঁর ‘অবাক বাংলাদেশ, বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি’ শিরোনামে গ্রন্থের একটি প্রবন্ধের শিরোনাম ‘নির্বাচন পরিচালনা : আমার ভোট আমি দেব’। এ প্রবন্ধে আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘উনিশ শ ষাটের দশকে তদানীন্তন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সম্পর্কে একটি গল্প প্রচলিত ছিল। তার নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক ব্যক্তি বাস করতেন। তাদের কাছে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই তারা কোনোমতেই ফজলুল কাদের চৌধুরীকে ভোট দেবেন না। অন্যদিকে সব সংখ্যালঘু ভোট তার বিপক্ষে চলে গেলে তার নির্বাচনে পাস করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে যায়। চৌধুরীর চেলারা তাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ভোটারদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। চৌধুরী এ পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তিনি সরাসরি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় যান এবং সেখানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা নেন। গ্রামের বৈঠকে তিনি প্রথমেই তার নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এবং স্বাস্থ্য খাতে যেসব কাজ করেছেন সেগুলো তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন যে তিনি কি সত্যি কথা বলেছেন? সবাই এক সুরে বলে উঠলেন- চৌধুরী সাহেব যা বলেছেন তা ঠিক। এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন, এত কাজ করার পর জনসাধারণের পক্ষে তাকে ভোট দেওয়া ঠিক হবে কি হবে না। সবাই সমস্বরে বলে উঠলেন- তাকেই নির্বাচনে ভোট দেওয়া উচিত। এরপর চৌধুরী সাহেব বললেন, জনগণের স্বীকৃতিতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং তিনি মনে করেন যে তিনি ভোট পেয়ে গেছেন। তিনি তখন তাদের পরামর্শ দেন, আপনাদের কষ্ট করে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আপনাদের ভোট পেয়ে গেছি। আর সঙ্গের চামুন্ডাদের বলে দিলেন এ অঞ্চলের কোনো ভোটার যেন কষ্ট করে কেন্দ্রে না যায় তা নিশ্চিত করতে। সংখ্যালঘু ভোটাররা তার ইঙ্গিত বুঝতে পারেন এবং ভয়ে কেউ কেন্দ্রে হাজির হননি। বিপুল ভোটে ফজলুল কাদের চৌধুরী নির্বাচিত হন।’ (পৃষ্ঠা : ৩১৭, অবাক বাংলাদেশ : বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি)

ফ কা চৌধুরী ষাটের দশকে যে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের’ ফরমুলা আবিষ্কার করেছিলেন, নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গত প্রায় পাঁচ বছরে তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার এমন কোনো পথ নেই যা তাঁর নেতৃত্বে কমিশন পরীক্ষা করেনি। কারচুপি, ভোটাধিকার হরণের যত ফরমুলা আছে সবই প্রয়োগ হয়েছে হুদা কমিশনের আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে। এখন নির্বাচন, ভোটের ফলাফল নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা মানুষ এখন বিশ্বাস করে না। এ রকম ব্যর্থ ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন বিদায় নিচ্ছে এটাই হলো জাতির সব থেকে স্বস্তি। (ভাগ্যিস প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিধান নেই।)

বিদায়ের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশন শেষ বড় নির্বাচনের তদারকি করছে নারায়ণগঞ্জে। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ভোটে যখন মানুষের তীব্র অরুচি, ভোট দেওয়ার ফ কা ফরমুলা যখন আবার জাঁকিয়ে বসেছে তখন হুদা কমিশনের জন্য নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন এক বিরাট সুযোগ। নিরুত্তাপ হওয়ার হাত থেকে এ নির্বাচন রক্ষা করেছেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জে ভোটের উত্তাপ তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর দীর্ঘদিনের বিরোধ এ নির্বাচনে নতুন সমীকরণ তৈরি করে। নির্বাচন কমিশন যদি অন্তত এ নির্বাচনে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াত, সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করত তাহলে একটা সুখস্মৃতি নিয়ে তারা বিদায় নিতে পারত। যাওয়ার আগে তাদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা ও দায়িত্বহীনতার বিপরীতে একটা ভালো নির্বাচনের উদাহরণ থাকত। কিন্তু নির্বাচন জমে উঠতেই কমিশন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে প্রচারণার ঘোষণা আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন তা রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার মতো। তিনি বলেছেন, ‘শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেননি।’ অবুঝ সিইসিকে কে বোঝাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব অভিযোগ ও বিতর্কের মুখেই কাল নির্বাচন।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা স্টালিন ভোট সম্পর্কে এক মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘জনগণ যারা ভোট দেয়, তারা কিছুই নির্ধারণ করে না, যারা ভোট গণনা করে তারাই সবকিছু নির্ধারণ করে।’ একনায়ক স্টালিনের কথার প্রতিধ্বনি দেখা যায় হুদা কমিশন পরিচালিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয়। জনগণ ভোট দিল কি দিল না, কাকে দিল এসব আজকাল আর ব্যাপার নয়। ভোটের শেষে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি রিটার্নিং অফিসাররা যা বলেন তা-ই আসল। কেন্দ্র জনশূন্য থাকার পরও রিটার্নিং অফিসাররা দেখাচ্ছেন ৭০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এটাই এখন ভোট। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাবান প্রার্থী ঘোষণা করছেন তার বাইরে কাউকে ভোট দিতে চাইলে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। অনেক স্থানে বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। ইদানীং এসব কথা লুকিয়ে, গোপনে কেউ বলে না। প্রকাশ্যে বলে। এসব বলার পরও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরং যে কোনো বাজে নির্বাচনের পরও দাঁত কেলিয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে’ বলাটা নির্বাচন কমিশনের এক রোগে পরিণত হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এসব সমালোচনা মোটেও গায়ে মাখে না। কে কী বলল না বলল তা নির্বাচন কমিশনের কিছুই যায় আসে না। বিশ্বে এই প্রথম একটি নির্বাচন কমিশন যেখানে সরকারি দল ও বিরোধী দল আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা আর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত পাঁচ বছর একে অন্যের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। নূরুল হুদা যেন আওয়ামী লীগকে জেতাতে মরিয়া। আর তালুকদার বিএনপির ভাষায় কথা বলতে ব্যাকুল। মাহবুব তালুকদারকে অবশ্য আমার নির্বাচন কমিশনার মনে হয় না। তাঁকে আমার বিরোধী দলের নেতা মনে হয়। একটি সাংবিধানিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক হন কীভাবে তা আমার এক বড় প্রশ্ন। প্রতিটি নির্বাচনের পরই তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। নির্বাচন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন না করার ব্যর্থতা তাঁরও। তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন না কেন? গাড়ি, বাড়ি, বেতন, পিয়ন-চাপরাশি নিয়ে তিনি শুধু সমালোচনা করেন। এটা কি নৈতিক?

এ নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা এখন ধ্বংসস্তূপ। হুদা কমিশনের রাজত্বে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, ভোট ছাড়া নির্বাচন। একে বলা যেতে পারে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফরমুলার নির্বাচন। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার হয় না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোটারদের ‘মনের ভাব’ বুঝে ফেলেন। সে অনুযায়ী ভোট হয়ে যায়। এ ভোটে কোনো রক্তারক্তি নেই, খুনোখুনি নেই। নির্বাচন কর্তারাই নির্ধারণ করেন ভোটের ফলাফল। হুদা কমিশন আবিষ্কৃত দ্বিতীয় ধরনের ভোট আরও নিরাপদ। এখানে একাধিক প্রার্থী ফরম কিনছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন দেখা যায় একজন ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। অন্য প্রার্থীদের ‘ম্যানেজ’ করা হয়। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ওই একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এটা অত্যন্ত আধুনিক ও ঝুঁকিহীন ভোটব্যবস্থা। এ ভোটে অর্থ খরচ কম, ভোট নিয়ে প্রচারণার জন্য শব্দদূষণের ঝুঁকি নেই। লোকজনের অযথা পরিশ্রমের দরকার নেই। হুদা কমিশন উদ্ভাবিত তৃতীয় ধরনের ভোটব্যবস্থা একটু সহিংস, ঝুঁকিপূর্ণ। একে ভোট না বলে যুদ্ধ বলা ভালো। এখানে মোটা দাগে দুটি পক্ষ থাকে। এরা নির্বাচনী প্রচারণা, জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনায় খুব একটা আগ্রহী থাকে না। চর দখলের মতো এরা এদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এলাকা দখলে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়। বেশ কিছু নিরীহ মানুষের প্রাণও যায়। তাতে কী, ভোটের অধিকারের জন্য রক্তদানের নজির তো এ দেশের পুরনো ইতিহাস। দুই পক্ষের খুনোখুনি-মারামারিতে যে পক্ষ জয়ী হয় কেন্দ্র তার। তিনিই ভোটে বিজয়ী। এ সহিংসতার সময় নির্বাচন কর্মকর্তারা খানিকটা বিশ্রামে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে যে কোনো একটা পক্ষকে সমর্থন দেয়। জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। যুদ্ধ শেষে বিজয়ীকে কমিশন নির্বাচিত ঘোষণা করে।

নির্বাচন কমিশনের এ বেহাল দশার মধ্যেই শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশন বিদায় নেবে। হুদা কমিশনের বিদায়ের দিন দেশে ভোটমুক্তির উৎসবের দিন হতে পারে। এ কমিশন যেন মানুষের ভোটাধিকার বোতলবন্দি করে রেখেছিল। কিন্তু হুদা কমিশন বিদায় নিলেই কি মানুষ দলবেঁধে, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসব করবে? বর্তমান কমিশন চলে গেলেই কি জনগণের ভোটের অনীহা কেটে যাবে? আমি তা মনে করি না। হুদা কমিশনের পর আবার যদি একই ধরনের একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় তাহলে হয়তো আমাদের ভোটব্যবস্থা আরও অন্ধকারে চলে যাবে। তা যদি হয় তাহলে গণতন্ত্র সংকটে পড়বে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন। ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শেষ হবে। কিন্তু এ সংলাপ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপিসহ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এ সংলাপে যায়নি। আমি মনে করি বিএনপির এটি আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সব দলের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ভোটব্যবস্থার এই হালের জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও কম দায়ী নয়। যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা নির্বাচনব্যবস্থা কলুষিত করেছে। জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। বিএনপি আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করে ভোটে জয়ী হতে চেয়েছিল। এরশাদ অনুগতদের নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন। বর্তমান সরকারও রকিব-হুদাদের কমিশনে বসিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছে। এবার আরেকটা হুদা কমিশন হলে তা হবে গোটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশে বহু যোগ্য ব্যক্তি আছেন। সরকারকে এখন সবার আস্থাভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতেই হবে। নূরুল হুদার মতো নির্বাচন কমিশন যদি আওয়ামী লীগ সরকার আবার গঠন করে তাহলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগই। এ দেশে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার করা দল আওয়ামী লীগ। এবার নির্বাচন কমিশন গঠন তাই আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তবে একটি কথা মনে রাখা দরকার, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব নয়। বিরোধী দলেরও দায়িত্ব। বিরোধী দল যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, ভোটে উদ্বুদ্ধ করতে পারে তাহলে ক্ষমতাসীনরা কারচুপি করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনও যা খুশি করতে পারে না। এ নারায়ণগঞ্জেই ২০০৩ সালের পৌরসভা নির্বাচন তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তখনো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হয়নি। পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করা হলো। নির্বাচনী প্রচারে গেলেই বাধা, হামলা। নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের দেড় শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু আইভী দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইভী বিজয়ী হন। চট্টগ্রামে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ মাটি কামড়ে থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেই জিতেছিলেন। ইদানীং বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হতে ‘জনগণ’ নয় ক্ষমতাসীন দলের ওপর নির্ভর করে। তারা মনে করে সরকার আদর-আপ্যায়ন করে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচনে কেউ তো কাউকে জামাই আদর করবে না। নির্বাচনে কীভাবে জয়ী হতে হয় সে শিক্ষা পাওয়া যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি থেকে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনের বিবরণ দিয়েছেন এভাবে- ‘ঢাকা থেকে পুলিশের প্রধানও গোপালগঞ্জে হাজির হয়ে পরিষ্কারভাবে তার কর্মচারীদের হুকুম দিলেন মুসলিম লীগকে সমর্থন করতে। ফরিদপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আলতাফ গওহর সরকারের পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় সরকার তাকে বদলি করে আরেকজন কর্মচারী আনলেন। তিনি আমার এলাকায় গিয়ে নিজেই বক্তৃতা করতে শুরু করলেন এবং ইলেকশনের তিন দিন আগে সেন্টারগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেখানে জামান সাহেবের সুবিধা হতে পারে। আমার পক্ষে জনসাধারণ, ছাত্র ও যুবকরা কাজ করতে শুরু করল নিঃস্বার্থভাবে। নির্বাচনের চার দিন আগে শহীদ সাহেব সরকারি দলের ওইসব অপকীর্তির খবর পেয়ে হাজির হয়ে দুটো সভা করলেন। আর নির্বাচনের একদিন আগে মওলানা সাহেব হাজির হয়ে একটা সভা করলেন। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে খন্দকার শামসুল হক মোক্তার সাহেব, রহমত জান, শহীদুল ইসলাম ও ইমদাদকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেলে আটক করা হলো। একটা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে আরও প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়। শামসুল হক মোক্তার সাহেবকে জনসাধারণ ভালোবাসত। তাঁর কর্মীরা খুব নামকরা ছিল। আরও অনেককে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র আমার কানে এলে তাদের আমি শহরে আসতে নিষেধ করে দিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা ছাড়া আশপাশের দুই এলাকাতে আমাকে যেতে হয়েছিল- যেমন যশোরের আবদুল হাকিম সাহেবের নির্বাচনী এলাকায়, ইনি পরে স্পিকার হন; এবং আবদুল খালেকের এলাকায়, ইনি পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন।

নির্বাচনে দেখা গেল ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় ১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয়নি, প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবনও দিতে পারে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী-শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা : ১৫৬-৫৭)।

রাজনীতি এবং নির্বাচনের মূল কথা এটাই, জনগণকে ভালোবাসতে হবে। জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কিন্তু এখন রাজনীতিতে তা কতটা আছে? রাজনীতিবিদরা জনগণের ওপর আস্থা কতটা রাখেন। জনগণের ওপর আস্থা থাকলে কেউ নির্বাচনে নয়ছয়ের কথা ভাবে না। হুদা কমিশনের মতো দৈত্যও রাষ্ট্রের ঘাড়ে চেপে বসে না। জনগণের ওপর আস্থাহীন রাজনীতি নির্বাচন কমিশনে হুদাদেরই খুঁজবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে