শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৮, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

নতুন বছর ২০২২ কেমন যাবে জানি না। আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সাল, জন্মেছিলাম ১৪ জুন ১৯৪৭ সাল। আর কত দিন দয়াময় আল্লাহ এপারে রাখবেন তা তিনিই জানেন। কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, বড় কোনো কাজ করে বেশিদিন বাঁচতে নেই। বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের জেলে মারা যেতেন তাহলে তিনি হতেন বা থাকতেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। মহাত্মা গান্ধী সাধারণ মানুষের অনেক কাছের, বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-অনুরক্তদের একেবারে হৃদয়ের মানুষ। আমার বিবেচনায় তাঁর চেয়েও জনপ্রিয় থাকতেন, আকাক্সিক্ষত থাকতেন আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫, সাড়ে তিন বছরের মতো জীবিত ছিলেন। এ সাড়ে তিন বছরের জন্য কত নাহক সমালোচনা, কত কটুকথা, কত গালাগাল যা আমরা ভাবতেও পারি না। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে কোনো সময় আমি মারা গেলে এক রকম হতো, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পর কোথাও কোনোভাবে প্রতিরোধযুদ্ধের সময় চলে গেলেও ইতিহাস অন্যরকম হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা বোঝার মতো। বিশেষ করে যে দেশে বড়-ছোটর কোনো পার্থক্য নেই, প্রবীণের কোনো মর্যাদা নেই, মানবিক গুণাগুণ নেই, যখন যেমন তখন তেমন অবস্থা সে সময় বেঁচে থাকা আরও দুঃখজনক। গত কয়েক বছরে লোকজন কেমন যেন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না, দেখেও না। ক্ষমতা ক্ষমতা আর ক্ষমতা। কিছু কিছু মানুষ তো বিত্তের পেছনে এমনভাবে ছুটছে সেখানে চিত্তের কোনো জায়গা নেই। জীবনে কখনো খুব একটা ভয় করিনি। মৃত্যুভয় আমার কোনো দিন ছিল না। বাবার মৃত্যু সহজভাবে নিতে পারলেও মায়ের মৃত্যুতে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলাম। দুনিয়াটা আমার কাছে অর্থহীন মনে হতো। সবকিছু থাকতেও কেমন যেন সার্থকতাহীন ঘোর অন্ধকার মনে হতো। হঠাৎই আমার বুকে কুশিমণি জায়গা করে নিয়েছিল। কুশিমণিকে পেয়ে ব্যথা-বেদনা-হতাশা সবকিছু কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল। জীবনের সব দিক আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট বাচ্চা যার সারা শরীরে ছিল ৪২টি ক্ষতচিহ্ন। আমরা ওকে ঘরে এনেছিলাম, বুকে জায়গা দিয়েছিলাম জন্মের ৬৩-৬৪ দিন পর। যখন কুশিমণি আমাদের ঘর আলো করে এলো তখন আল্লাহর কাছে অনেক কেঁদেছিলাম, আল্লাহ যেন বাচ্চাটাকে একটু বড় করে যাওয়ার সুযোগ দেন। দয়াময় আল্লাহ কত মেহেরবান, কুশিমণি এখন ১৫ বছর পার করেছে। আমার স্ত্রী তার দুটি সন্তান নিয়ে পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। আমার ছেলেমেয়ে একে অন্যের ভাইবোন ছিল না। ওদের মধ্যে খোঁটাখুঁটি লেগেই থাকত। একেবারে ছোটবেলায় ওদের খোঁটাখুঁটিতে কিছু মনে না হলেও দীপের যখন ১৬-১৭, কুঁড়ির ১২-১৩ তখনো ওরা দুই ভাইবোন যে ঝগড়াঝাঁটি করত তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। দীপ-কুঁড়ির মা ওদের নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। কিন্তু কুশিমণি ঘরে এলে সবকিছু পূর্ণতায় ভরে যায়। আমার স্ত্রী মা হন, নারী হন। নারীর টান দীপ-কুঁড়িকে দিয়ে নয়, কুশিমণিকে দিয়ে উপলব্ধি করতে শেখেন। চারদিকে একটা অশান্তি কাজ করলেও পরিবারে শান্তির কোনো অভাব নেই। আর এ শান্তির সম্পূর্ণটাই কুশিমণির অবদান।

এ বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে পলে পলে বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ছে। ঘুম থেকে কখনো হঠাৎ জেগে উঠে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমার স্বপ্ন দেখার বাতিক নেই। তার পরও কখনোসখনো ঘুমের মধ্যে বাবা এসে নাড়া দেন। আমি মুক্তিযুুদ্ধের সময় আগস্টের প্রথম দিকে একবার স্বপ্ন দেখি। দেখি আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল এসেছেন পার্ক ময়দানে তাঁর কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছি। দুই সারিতে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য দিয়ে সটান হেঁটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। পার্কের চারপাশে লাখো মানুষ আনন্দে উদ্বেল। স্বাধীনতার পর বাস্তবে প্রায় একইভাবে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল জনসভা। অমন জনসভা টাঙ্গাইল কোনো দিন দেখেনি। জনসংখ্যা বাড়লেও এখন সাধারণ লোকজন খুব বেশি একটা জনসভায় যায় না। ইন্টারনেটের যুগে মোবাইলের মাধ্যমে অনেকেই ঘরে বসে সবকিছু দেখতে পারে। জনসভায় সশরীরে উপস্থিত না হয়ে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখে নেয়। কিন্তু তখন এমন ছিল না। প্রায় ১০ লাখ লোক হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি ’৭২ সালের সেদিনের জনসভায়। ২৪ জানুয়ারির আগে নেতা ও পিতাকে নিয়ে অনেক কিছু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে ঢাকা ফিরেছিলেন। সে ছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচি থাকায় ১০ তারিখ ঢাকা বিমানবন্দরে যেতে পারিনি। রাতে পিতার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে খুব উদ্বেলিত হয়েছিলাম, সম্মানিতবোধ করেছিলাম, এত দীর্ঘ পথ বিমানযাত্রা করে দেশে ফিরে আমাকে ফোন করেছেন এটা কম বড় কথা নয়। পাকিস্তান থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে দিল্লি, সেখান থেকে ঢাকা ১৫-১৬ হাজার কিলোমিটার তো হবেই। স্বাভাবিক কারণেই ক্লান্ত থাকার কথা। সব ক্লান্তি দূরে সরিয়ে রেখে পিতার মতো আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে লন্ডনে পৌঁছলে সেখানে সাংবাদিকরা পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, Who is Kader Siddique? বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন, Oh! he is my son. জেল থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমার সম্পর্কে তিনি জেনেছিলেন। আমরা ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করেছিলাম। সেখানে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় সন্তান জামালকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সে জনসভায় দুটি মেয়ে হরণকারী চার লুটেরাকে জনগণের নির্দেশে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। সে নিয়ে নানা কথা নানা প্রপাগান্ডা হয়েছিল। সে কথাকে বেইজ করে বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইলে পার্কের জনসভায় মুক্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কাদের চারজনকে শাস্তি দিয়েছে। যারা নারী হরণ করে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের এক হাজার জনকেও যদি কাদের শাস্তি দিত তা হলেও সে আমার ধন্যবাদ পেত।’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমাত্র তোফায়েল আহমেদ ছাড়া আর নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না। ছাত্রলীগের শেখ শহীদুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে জামাল ও রাসেল। নেতৃবৃন্দের শঙ্কা ছিল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুকে আটকে ক্ষমতা কেড়ে নেবেন। অথচ আমাদের অমন কোনো চিন্তাই ছিল না। পিতার নির্দেশে অস্ত্র ধরেছিলাম, তাঁর কাছে অস্ত্র দিতে পারা সেটাই ছিল আমাদের কাছে অনেক কিছু। এত বড় বিশাল মুক্তিযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে আর কোথাও কেউ অস্ত্র জমা দেয়নি। অনেক মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র পাকিস্তানের খেদমত করা থানাগুলোয় দেওয়া হয়েছে, যেটা ছিল খুবই নিন্দনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দাসত্ব করেছে সেসব সরকারি কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকায় স্বাধীনতার পরপরই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা না গেলেও যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ছিলেন তাদের সবাইকে এক কলমের খোঁচায় চাকরি থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আমরা কেউ আকাশ থেকে পড়িনি। নয় মাস রাতদিন যুদ্ধ করে বেঁচেছিলাম, দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছিলাম। যখন দেখলাম স্বাধীনতার পর টাঙ্গাইলের ডিসি আশিকুর রহমানকে টাঙ্গাইল থেকে সরিয়ে নিয়ে কোথায় যেন আরও একটু বড় পদে দেওয়া হলো। টাঙ্গাইলে ডিসি এলো কক্সবাজার থেকে। সেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। সে খুব সম্ভবত ফেনীতে ছিল মহকুমা অফিসার হিসেবে। এক এসপি এলো খুব সম্ভবত পঞ্চগড়ের মহকুমা পুলিশ অফিসার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। কত মানুষকে ধরিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে জীবননাশ করেছে তাদেরই একজন। স্বাধীনতার পর আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল ৩৮-৩৯ দিন। সে সময় সারা টাঙ্গাইলে একজন লোকও নিহত হয়নি, একটি ঘরেও চুরি-ডাকাতি হয়নি। কিন্তু আমরা অস্ত্র জমা দেওয়ার পরই চুরি-ডাকাতি শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আমাদের যেভাবে যাওয়া উচিত ছিল পুরোপুরি সেভাবে আমরা যেতে পারিনি। আজ যখন মাঝেমধ্যে শুনি, কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা দিলেন কেন? তিনি পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন- কথাটা মোটেই সত্য নয়। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বের করতে পাকিস্তান হানাদাররা আরও ৫-১০ লাখ মানুষকে হত্যা করত। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান ও অন্য নেতারা ভারতে যাওয়ায়, সেখানে প্রবাসী সরকার গঠন করায় মুক্তিযুদ্ধ জোরদার হয়েছিল। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী এসব ছাত্র ও যুব নেতা ভারতে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। ১ কোটি হিন্দু-মুসলমান শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ায় ভারত সরকারের ওপর, ভারতীয় জনগণের ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভারতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ দুর্বল হতো। বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল বলে বিবেচিত হতেন। অনেকে বলতে চায়, ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চাচ্ছিল তাই বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতার পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ’৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের তেমন বড় কোনো সামরিক সাফল্য ছিল না যা তারা বুক চিতিয়ে বলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তাতে অত বড় সাফল্য ভারতকে শত বছর এগিয়ে দিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের আজকের অবস্থায় আসার জন্য বড় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিশ্বের দরবারে আজকের মহান ভারতকে দেখা যেত না। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বব্যাপী অমন প্রভাব পড়ত না। বাংলাদেশের জন্য, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে অনেক অপমান-অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নিক্সনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে ইন্দিরা গান্ধী এক বিরাট ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

শুরু করেছিলাম কুশিমণিকে নিয়ে। কয়েক বছর আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেখানে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল সেখানে আসরের নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এক মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। নারীরা এক জায়গায়, পুরুষ আরেক জায়গায়। মিলাদ শেষে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুমি যা করেছ তা সবাই করতে পারে না। তোমাদের এই সন্তানের জন্য তোমরা অবশ্যই আল্লাহর রহমত পাবে এবং এই দুনিয়াতেই এর সুফল পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হৃদয় ভরে গিয়েছিল। পাঁচবার কাউকে মন্ত্রী বানানোর চেয়েও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই মূল্যবান কথায় হৃদয়-মন সব ভরে গিয়েছিল। কী পেয়েছি, কী পাইনি তার চেয়ে বড় কথা পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে বেশ শান্তিতে আছি, স্বস্তিতে আছি।

রবিবারের দুটি নির্বাচন চোখে পড়ার মতো। একটি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন, অন্যটি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে উপনির্বাচন। আরও কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন ছিল। এ দুটিতে তেমন মারামারি, কাটাকাটি, খুন-খারাবি হয়নি। ভোট পড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। অনেকে ভোট দিতেই যায়নি। ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করায় অনেকের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছে। যেভাবে ছবি দেখছি প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ইভিএম মেশিনে আঙুল দিয়ে আছেন। ওটাই যদি ভোটের পদ্ধতি হয় তাহলে তো গোপনীয়তা থাকে না। কোন বোতাম টিপবেন তা গোপন থাকার কথা। অনেকের নাকি আঙুলের টিপ মেলেনি। কেন এমন হবে? কম্পিউটারে কখনো এমন হওয়ার কথা নয়। আর ইভিএমে ভোট এটা সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত, বিশেষ করে ভোটারদের। নির্বাচনের এক বা দুই দিন আগে মহড়া দেওয়ার চেয়ে সারা বছরই মহড়া দেওয়া উচিত। যাতে মানুষের কাছে বিষয়টা সহজ হয়। আইয়ুব খান বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে জানে না। তাই বুনিয়াদি গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ যে পৃথিবীর বহু দেশের চেয়ে ভালো ভোট দিতে জানে, প্রার্থী বেছে নিতে জানে তা নানা সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় সিলেট জেলা নিয়ে গণভোট হয়েছিল। সেদিন অনেকেই ভারতের পক্ষে থাকলেও সাধারণ মানুষ সিলেটকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ভোট দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নৌকায় ভোট দিতে ভুল করেনি। যখন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে ভোট দিয়েছিল। এই ১৬ তারিখ নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিয়েছে তাতে প্রমাণ করে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে জানে। মির্জাপুরের নির্বাচনে আমাদের দলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। দলীয় কর্মীরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এক দল লাঙ্গলকে ভোট দিতে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত ছিল লাঙ্গলের দল জাতীয় পার্টি, সে-ও সরকার সমর্থিত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন আছে। তাই যে ছাগলের তিন বাচ্চা, দুটিতে যখন দুধ খায় এক বাচ্চা এমনিই তিড়িংবিড়িং করে। জাতীয় পার্টি অনেকটাই তেমন। তাহলে ছাগলের বাচ্চাকে ভোট দিতে যাব কেন? বাচ্চার মাকেই তাহলে ভোট দেওয়া ভালো। তেমনটাই হয়েছে। আমাদের লোকজন শেষমেশ নৌকাকে সমর্থন করেছে এবং ভোট দিয়েছে। আমিও তাতে কোনো আপত্তি করিনি। কারণ নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছেলে। ফজলুর রহমান খান ফারুক একসময় আমাদের নেতা ছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, ফজলুর রহমান খান ফারুক, আল মুজাহিদী, ফজলুল করিম মিঠু, আতিকুর রহমান সালু এঁরা ছিলেন একসময় টাঙ্গাইলে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা। এঁদের দেখেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। তাই যে শুভকে কোলে নিয়েছি তাকেই ভোট দেওয়া ভালো। তাই আমরাও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো আপত্তি করিনি। নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনও বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছু চোখে পড়বে। শতকরা ৫০ ভাগ সাধারণ ভোটার কেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকায়নি। বিএনপি সমর্থিত একজনও কেন্দ্রে যায়নি। তাই এখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দেওয়ার সার্থকতা বা ভোটারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দেখতে না পাবে ততক্ষণ উৎসবমুখর ভোট হবে না।

লেখক : রাজনীতিক।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
সর্বশেষ খবর
প্রতিবন্ধী সন্তানের সঙ্গে আচরণ কেমন হওয়া উচিত
প্রতিবন্ধী সন্তানের সঙ্গে আচরণ কেমন হওয়া উচিত

এই মাত্র | ইসলামী জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা

৫৬ মিনিট আগে | শোবিজ

যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক
যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক
রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে