শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৮, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

নতুন বছর ২০২২ কেমন যাবে জানি না। আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সাল, জন্মেছিলাম ১৪ জুন ১৯৪৭ সাল। আর কত দিন দয়াময় আল্লাহ এপারে রাখবেন তা তিনিই জানেন। কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, বড় কোনো কাজ করে বেশিদিন বাঁচতে নেই। বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের জেলে মারা যেতেন তাহলে তিনি হতেন বা থাকতেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। মহাত্মা গান্ধী সাধারণ মানুষের অনেক কাছের, বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-অনুরক্তদের একেবারে হৃদয়ের মানুষ। আমার বিবেচনায় তাঁর চেয়েও জনপ্রিয় থাকতেন, আকাক্সিক্ষত থাকতেন আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫, সাড়ে তিন বছরের মতো জীবিত ছিলেন। এ সাড়ে তিন বছরের জন্য কত নাহক সমালোচনা, কত কটুকথা, কত গালাগাল যা আমরা ভাবতেও পারি না। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে কোনো সময় আমি মারা গেলে এক রকম হতো, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পর কোথাও কোনোভাবে প্রতিরোধযুদ্ধের সময় চলে গেলেও ইতিহাস অন্যরকম হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা বোঝার মতো। বিশেষ করে যে দেশে বড়-ছোটর কোনো পার্থক্য নেই, প্রবীণের কোনো মর্যাদা নেই, মানবিক গুণাগুণ নেই, যখন যেমন তখন তেমন অবস্থা সে সময় বেঁচে থাকা আরও দুঃখজনক। গত কয়েক বছরে লোকজন কেমন যেন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না, দেখেও না। ক্ষমতা ক্ষমতা আর ক্ষমতা। কিছু কিছু মানুষ তো বিত্তের পেছনে এমনভাবে ছুটছে সেখানে চিত্তের কোনো জায়গা নেই। জীবনে কখনো খুব একটা ভয় করিনি। মৃত্যুভয় আমার কোনো দিন ছিল না। বাবার মৃত্যু সহজভাবে নিতে পারলেও মায়ের মৃত্যুতে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলাম। দুনিয়াটা আমার কাছে অর্থহীন মনে হতো। সবকিছু থাকতেও কেমন যেন সার্থকতাহীন ঘোর অন্ধকার মনে হতো। হঠাৎই আমার বুকে কুশিমণি জায়গা করে নিয়েছিল। কুশিমণিকে পেয়ে ব্যথা-বেদনা-হতাশা সবকিছু কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল। জীবনের সব দিক আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট বাচ্চা যার সারা শরীরে ছিল ৪২টি ক্ষতচিহ্ন। আমরা ওকে ঘরে এনেছিলাম, বুকে জায়গা দিয়েছিলাম জন্মের ৬৩-৬৪ দিন পর। যখন কুশিমণি আমাদের ঘর আলো করে এলো তখন আল্লাহর কাছে অনেক কেঁদেছিলাম, আল্লাহ যেন বাচ্চাটাকে একটু বড় করে যাওয়ার সুযোগ দেন। দয়াময় আল্লাহ কত মেহেরবান, কুশিমণি এখন ১৫ বছর পার করেছে। আমার স্ত্রী তার দুটি সন্তান নিয়ে পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। আমার ছেলেমেয়ে একে অন্যের ভাইবোন ছিল না। ওদের মধ্যে খোঁটাখুঁটি লেগেই থাকত। একেবারে ছোটবেলায় ওদের খোঁটাখুঁটিতে কিছু মনে না হলেও দীপের যখন ১৬-১৭, কুঁড়ির ১২-১৩ তখনো ওরা দুই ভাইবোন যে ঝগড়াঝাঁটি করত তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। দীপ-কুঁড়ির মা ওদের নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। কিন্তু কুশিমণি ঘরে এলে সবকিছু পূর্ণতায় ভরে যায়। আমার স্ত্রী মা হন, নারী হন। নারীর টান দীপ-কুঁড়িকে দিয়ে নয়, কুশিমণিকে দিয়ে উপলব্ধি করতে শেখেন। চারদিকে একটা অশান্তি কাজ করলেও পরিবারে শান্তির কোনো অভাব নেই। আর এ শান্তির সম্পূর্ণটাই কুশিমণির অবদান।

এ বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে পলে পলে বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ছে। ঘুম থেকে কখনো হঠাৎ জেগে উঠে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমার স্বপ্ন দেখার বাতিক নেই। তার পরও কখনোসখনো ঘুমের মধ্যে বাবা এসে নাড়া দেন। আমি মুক্তিযুুদ্ধের সময় আগস্টের প্রথম দিকে একবার স্বপ্ন দেখি। দেখি আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল এসেছেন পার্ক ময়দানে তাঁর কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছি। দুই সারিতে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য দিয়ে সটান হেঁটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। পার্কের চারপাশে লাখো মানুষ আনন্দে উদ্বেল। স্বাধীনতার পর বাস্তবে প্রায় একইভাবে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল জনসভা। অমন জনসভা টাঙ্গাইল কোনো দিন দেখেনি। জনসংখ্যা বাড়লেও এখন সাধারণ লোকজন খুব বেশি একটা জনসভায় যায় না। ইন্টারনেটের যুগে মোবাইলের মাধ্যমে অনেকেই ঘরে বসে সবকিছু দেখতে পারে। জনসভায় সশরীরে উপস্থিত না হয়ে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখে নেয়। কিন্তু তখন এমন ছিল না। প্রায় ১০ লাখ লোক হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি ’৭২ সালের সেদিনের জনসভায়। ২৪ জানুয়ারির আগে নেতা ও পিতাকে নিয়ে অনেক কিছু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে ঢাকা ফিরেছিলেন। সে ছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচি থাকায় ১০ তারিখ ঢাকা বিমানবন্দরে যেতে পারিনি। রাতে পিতার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে খুব উদ্বেলিত হয়েছিলাম, সম্মানিতবোধ করেছিলাম, এত দীর্ঘ পথ বিমানযাত্রা করে দেশে ফিরে আমাকে ফোন করেছেন এটা কম বড় কথা নয়। পাকিস্তান থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে দিল্লি, সেখান থেকে ঢাকা ১৫-১৬ হাজার কিলোমিটার তো হবেই। স্বাভাবিক কারণেই ক্লান্ত থাকার কথা। সব ক্লান্তি দূরে সরিয়ে রেখে পিতার মতো আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে লন্ডনে পৌঁছলে সেখানে সাংবাদিকরা পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, Who is Kader Siddique? বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন, Oh! he is my son. জেল থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমার সম্পর্কে তিনি জেনেছিলেন। আমরা ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করেছিলাম। সেখানে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় সন্তান জামালকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সে জনসভায় দুটি মেয়ে হরণকারী চার লুটেরাকে জনগণের নির্দেশে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। সে নিয়ে নানা কথা নানা প্রপাগান্ডা হয়েছিল। সে কথাকে বেইজ করে বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইলে পার্কের জনসভায় মুক্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কাদের চারজনকে শাস্তি দিয়েছে। যারা নারী হরণ করে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের এক হাজার জনকেও যদি কাদের শাস্তি দিত তা হলেও সে আমার ধন্যবাদ পেত।’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমাত্র তোফায়েল আহমেদ ছাড়া আর নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না। ছাত্রলীগের শেখ শহীদুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে জামাল ও রাসেল। নেতৃবৃন্দের শঙ্কা ছিল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুকে আটকে ক্ষমতা কেড়ে নেবেন। অথচ আমাদের অমন কোনো চিন্তাই ছিল না। পিতার নির্দেশে অস্ত্র ধরেছিলাম, তাঁর কাছে অস্ত্র দিতে পারা সেটাই ছিল আমাদের কাছে অনেক কিছু। এত বড় বিশাল মুক্তিযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে আর কোথাও কেউ অস্ত্র জমা দেয়নি। অনেক মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র পাকিস্তানের খেদমত করা থানাগুলোয় দেওয়া হয়েছে, যেটা ছিল খুবই নিন্দনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দাসত্ব করেছে সেসব সরকারি কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকায় স্বাধীনতার পরপরই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা না গেলেও যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ছিলেন তাদের সবাইকে এক কলমের খোঁচায় চাকরি থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আমরা কেউ আকাশ থেকে পড়িনি। নয় মাস রাতদিন যুদ্ধ করে বেঁচেছিলাম, দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছিলাম। যখন দেখলাম স্বাধীনতার পর টাঙ্গাইলের ডিসি আশিকুর রহমানকে টাঙ্গাইল থেকে সরিয়ে নিয়ে কোথায় যেন আরও একটু বড় পদে দেওয়া হলো। টাঙ্গাইলে ডিসি এলো কক্সবাজার থেকে। সেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। সে খুব সম্ভবত ফেনীতে ছিল মহকুমা অফিসার হিসেবে। এক এসপি এলো খুব সম্ভবত পঞ্চগড়ের মহকুমা পুলিশ অফিসার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। কত মানুষকে ধরিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে জীবননাশ করেছে তাদেরই একজন। স্বাধীনতার পর আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল ৩৮-৩৯ দিন। সে সময় সারা টাঙ্গাইলে একজন লোকও নিহত হয়নি, একটি ঘরেও চুরি-ডাকাতি হয়নি। কিন্তু আমরা অস্ত্র জমা দেওয়ার পরই চুরি-ডাকাতি শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আমাদের যেভাবে যাওয়া উচিত ছিল পুরোপুরি সেভাবে আমরা যেতে পারিনি। আজ যখন মাঝেমধ্যে শুনি, কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা দিলেন কেন? তিনি পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন- কথাটা মোটেই সত্য নয়। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বের করতে পাকিস্তান হানাদাররা আরও ৫-১০ লাখ মানুষকে হত্যা করত। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান ও অন্য নেতারা ভারতে যাওয়ায়, সেখানে প্রবাসী সরকার গঠন করায় মুক্তিযুদ্ধ জোরদার হয়েছিল। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী এসব ছাত্র ও যুব নেতা ভারতে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। ১ কোটি হিন্দু-মুসলমান শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ায় ভারত সরকারের ওপর, ভারতীয় জনগণের ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভারতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ দুর্বল হতো। বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল বলে বিবেচিত হতেন। অনেকে বলতে চায়, ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চাচ্ছিল তাই বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতার পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ’৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের তেমন বড় কোনো সামরিক সাফল্য ছিল না যা তারা বুক চিতিয়ে বলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তাতে অত বড় সাফল্য ভারতকে শত বছর এগিয়ে দিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের আজকের অবস্থায় আসার জন্য বড় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিশ্বের দরবারে আজকের মহান ভারতকে দেখা যেত না। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বব্যাপী অমন প্রভাব পড়ত না। বাংলাদেশের জন্য, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে অনেক অপমান-অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নিক্সনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে ইন্দিরা গান্ধী এক বিরাট ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

শুরু করেছিলাম কুশিমণিকে নিয়ে। কয়েক বছর আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেখানে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল সেখানে আসরের নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এক মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। নারীরা এক জায়গায়, পুরুষ আরেক জায়গায়। মিলাদ শেষে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুমি যা করেছ তা সবাই করতে পারে না। তোমাদের এই সন্তানের জন্য তোমরা অবশ্যই আল্লাহর রহমত পাবে এবং এই দুনিয়াতেই এর সুফল পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হৃদয় ভরে গিয়েছিল। পাঁচবার কাউকে মন্ত্রী বানানোর চেয়েও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই মূল্যবান কথায় হৃদয়-মন সব ভরে গিয়েছিল। কী পেয়েছি, কী পাইনি তার চেয়ে বড় কথা পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে বেশ শান্তিতে আছি, স্বস্তিতে আছি।

রবিবারের দুটি নির্বাচন চোখে পড়ার মতো। একটি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন, অন্যটি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে উপনির্বাচন। আরও কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন ছিল। এ দুটিতে তেমন মারামারি, কাটাকাটি, খুন-খারাবি হয়নি। ভোট পড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। অনেকে ভোট দিতেই যায়নি। ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করায় অনেকের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছে। যেভাবে ছবি দেখছি প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ইভিএম মেশিনে আঙুল দিয়ে আছেন। ওটাই যদি ভোটের পদ্ধতি হয় তাহলে তো গোপনীয়তা থাকে না। কোন বোতাম টিপবেন তা গোপন থাকার কথা। অনেকের নাকি আঙুলের টিপ মেলেনি। কেন এমন হবে? কম্পিউটারে কখনো এমন হওয়ার কথা নয়। আর ইভিএমে ভোট এটা সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত, বিশেষ করে ভোটারদের। নির্বাচনের এক বা দুই দিন আগে মহড়া দেওয়ার চেয়ে সারা বছরই মহড়া দেওয়া উচিত। যাতে মানুষের কাছে বিষয়টা সহজ হয়। আইয়ুব খান বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে জানে না। তাই বুনিয়াদি গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ যে পৃথিবীর বহু দেশের চেয়ে ভালো ভোট দিতে জানে, প্রার্থী বেছে নিতে জানে তা নানা সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় সিলেট জেলা নিয়ে গণভোট হয়েছিল। সেদিন অনেকেই ভারতের পক্ষে থাকলেও সাধারণ মানুষ সিলেটকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ভোট দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নৌকায় ভোট দিতে ভুল করেনি। যখন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে ভোট দিয়েছিল। এই ১৬ তারিখ নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিয়েছে তাতে প্রমাণ করে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে জানে। মির্জাপুরের নির্বাচনে আমাদের দলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। দলীয় কর্মীরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এক দল লাঙ্গলকে ভোট দিতে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত ছিল লাঙ্গলের দল জাতীয় পার্টি, সে-ও সরকার সমর্থিত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন আছে। তাই যে ছাগলের তিন বাচ্চা, দুটিতে যখন দুধ খায় এক বাচ্চা এমনিই তিড়িংবিড়িং করে। জাতীয় পার্টি অনেকটাই তেমন। তাহলে ছাগলের বাচ্চাকে ভোট দিতে যাব কেন? বাচ্চার মাকেই তাহলে ভোট দেওয়া ভালো। তেমনটাই হয়েছে। আমাদের লোকজন শেষমেশ নৌকাকে সমর্থন করেছে এবং ভোট দিয়েছে। আমিও তাতে কোনো আপত্তি করিনি। কারণ নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছেলে। ফজলুর রহমান খান ফারুক একসময় আমাদের নেতা ছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, ফজলুর রহমান খান ফারুক, আল মুজাহিদী, ফজলুল করিম মিঠু, আতিকুর রহমান সালু এঁরা ছিলেন একসময় টাঙ্গাইলে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা। এঁদের দেখেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। তাই যে শুভকে কোলে নিয়েছি তাকেই ভোট দেওয়া ভালো। তাই আমরাও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো আপত্তি করিনি। নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনও বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছু চোখে পড়বে। শতকরা ৫০ ভাগ সাধারণ ভোটার কেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকায়নি। বিএনপি সমর্থিত একজনও কেন্দ্রে যায়নি। তাই এখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দেওয়ার সার্থকতা বা ভোটারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দেখতে না পাবে ততক্ষণ উৎসবমুখর ভোট হবে না।

লেখক : রাজনীতিক।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা