শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫৮, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ভোট দিতে জানে

নতুন বছর ২০২২ কেমন যাবে জানি না। আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সাল, জন্মেছিলাম ১৪ জুন ১৯৪৭ সাল। আর কত দিন দয়াময় আল্লাহ এপারে রাখবেন তা তিনিই জানেন। কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, বড় কোনো কাজ করে বেশিদিন বাঁচতে নেই। বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের জেলে মারা যেতেন তাহলে তিনি হতেন বা থাকতেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। মহাত্মা গান্ধী সাধারণ মানুষের অনেক কাছের, বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-অনুরক্তদের একেবারে হৃদয়ের মানুষ। আমার বিবেচনায় তাঁর চেয়েও জনপ্রিয় থাকতেন, আকাক্সিক্ষত থাকতেন আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫, সাড়ে তিন বছরের মতো জীবিত ছিলেন। এ সাড়ে তিন বছরের জন্য কত নাহক সমালোচনা, কত কটুকথা, কত গালাগাল যা আমরা ভাবতেও পারি না। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে কোনো সময় আমি মারা গেলে এক রকম হতো, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পর কোথাও কোনোভাবে প্রতিরোধযুদ্ধের সময় চলে গেলেও ইতিহাস অন্যরকম হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা বোঝার মতো। বিশেষ করে যে দেশে বড়-ছোটর কোনো পার্থক্য নেই, প্রবীণের কোনো মর্যাদা নেই, মানবিক গুণাগুণ নেই, যখন যেমন তখন তেমন অবস্থা সে সময় বেঁচে থাকা আরও দুঃখজনক। গত কয়েক বছরে লোকজন কেমন যেন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না, দেখেও না। ক্ষমতা ক্ষমতা আর ক্ষমতা। কিছু কিছু মানুষ তো বিত্তের পেছনে এমনভাবে ছুটছে সেখানে চিত্তের কোনো জায়গা নেই। জীবনে কখনো খুব একটা ভয় করিনি। মৃত্যুভয় আমার কোনো দিন ছিল না। বাবার মৃত্যু সহজভাবে নিতে পারলেও মায়ের মৃত্যুতে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলাম। দুনিয়াটা আমার কাছে অর্থহীন মনে হতো। সবকিছু থাকতেও কেমন যেন সার্থকতাহীন ঘোর অন্ধকার মনে হতো। হঠাৎই আমার বুকে কুশিমণি জায়গা করে নিয়েছিল। কুশিমণিকে পেয়ে ব্যথা-বেদনা-হতাশা সবকিছু কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল। জীবনের সব দিক আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট বাচ্চা যার সারা শরীরে ছিল ৪২টি ক্ষতচিহ্ন। আমরা ওকে ঘরে এনেছিলাম, বুকে জায়গা দিয়েছিলাম জন্মের ৬৩-৬৪ দিন পর। যখন কুশিমণি আমাদের ঘর আলো করে এলো তখন আল্লাহর কাছে অনেক কেঁদেছিলাম, আল্লাহ যেন বাচ্চাটাকে একটু বড় করে যাওয়ার সুযোগ দেন। দয়াময় আল্লাহ কত মেহেরবান, কুশিমণি এখন ১৫ বছর পার করেছে। আমার স্ত্রী তার দুটি সন্তান নিয়ে পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। আমার ছেলেমেয়ে একে অন্যের ভাইবোন ছিল না। ওদের মধ্যে খোঁটাখুঁটি লেগেই থাকত। একেবারে ছোটবেলায় ওদের খোঁটাখুঁটিতে কিছু মনে না হলেও দীপের যখন ১৬-১৭, কুঁড়ির ১২-১৩ তখনো ওরা দুই ভাইবোন যে ঝগড়াঝাঁটি করত তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। দীপ-কুঁড়ির মা ওদের নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মা ছিলেন না। কিন্তু কুশিমণি ঘরে এলে সবকিছু পূর্ণতায় ভরে যায়। আমার স্ত্রী মা হন, নারী হন। নারীর টান দীপ-কুঁড়িকে দিয়ে নয়, কুশিমণিকে দিয়ে উপলব্ধি করতে শেখেন। চারদিকে একটা অশান্তি কাজ করলেও পরিবারে শান্তির কোনো অভাব নেই। আর এ শান্তির সম্পূর্ণটাই কুশিমণির অবদান।

এ বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে পলে পলে বঙ্গবন্ধুকে মনে পড়ছে। ঘুম থেকে কখনো হঠাৎ জেগে উঠে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমার স্বপ্ন দেখার বাতিক নেই। তার পরও কখনোসখনো ঘুমের মধ্যে বাবা এসে নাড়া দেন। আমি মুক্তিযুুদ্ধের সময় আগস্টের প্রথম দিকে একবার স্বপ্ন দেখি। দেখি আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল এসেছেন পার্ক ময়দানে তাঁর কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছি। দুই সারিতে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য দিয়ে সটান হেঁটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। পার্কের চারপাশে লাখো মানুষ আনন্দে উদ্বেল। স্বাধীনতার পর বাস্তবে প্রায় একইভাবে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল জনসভা। অমন জনসভা টাঙ্গাইল কোনো দিন দেখেনি। জনসংখ্যা বাড়লেও এখন সাধারণ লোকজন খুব বেশি একটা জনসভায় যায় না। ইন্টারনেটের যুগে মোবাইলের মাধ্যমে অনেকেই ঘরে বসে সবকিছু দেখতে পারে। জনসভায় সশরীরে উপস্থিত না হয়ে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখে নেয়। কিন্তু তখন এমন ছিল না। প্রায় ১০ লাখ লোক হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি ’৭২ সালের সেদিনের জনসভায়। ২৪ জানুয়ারির আগে নেতা ও পিতাকে নিয়ে অনেক কিছু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে ঢাকা ফিরেছিলেন। সে ছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচি থাকায় ১০ তারিখ ঢাকা বিমানবন্দরে যেতে পারিনি। রাতে পিতার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে খুব উদ্বেলিত হয়েছিলাম, সম্মানিতবোধ করেছিলাম, এত দীর্ঘ পথ বিমানযাত্রা করে দেশে ফিরে আমাকে ফোন করেছেন এটা কম বড় কথা নয়। পাকিস্তান থেকে লন্ডন, লন্ডন থেকে দিল্লি, সেখান থেকে ঢাকা ১৫-১৬ হাজার কিলোমিটার তো হবেই। স্বাভাবিক কারণেই ক্লান্ত থাকার কথা। সব ক্লান্তি দূরে সরিয়ে রেখে পিতার মতো আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে লন্ডনে পৌঁছলে সেখানে সাংবাদিকরা পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন, Who is Kader Siddique? বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেছিলেন, Oh! he is my son. জেল থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমার সম্পর্কে তিনি জেনেছিলেন। আমরা ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করেছিলাম। সেখানে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় সন্তান জামালকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সে জনসভায় দুটি মেয়ে হরণকারী চার লুটেরাকে জনগণের নির্দেশে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। সে নিয়ে নানা কথা নানা প্রপাগান্ডা হয়েছিল। সে কথাকে বেইজ করে বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইলে পার্কের জনসভায় মুক্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কাদের চারজনকে শাস্তি দিয়েছে। যারা নারী হরণ করে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের এক হাজার জনকেও যদি কাদের শাস্তি দিত তা হলেও সে আমার ধন্যবাদ পেত।’ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একমাত্র তোফায়েল আহমেদ ছাড়া আর নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না। ছাত্রলীগের শেখ শহীদুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে জামাল ও রাসেল। নেতৃবৃন্দের শঙ্কা ছিল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুকে আটকে ক্ষমতা কেড়ে নেবেন। অথচ আমাদের অমন কোনো চিন্তাই ছিল না। পিতার নির্দেশে অস্ত্র ধরেছিলাম, তাঁর কাছে অস্ত্র দিতে পারা সেটাই ছিল আমাদের কাছে অনেক কিছু। এত বড় বিশাল মুক্তিযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে আর কোথাও কেউ অস্ত্র জমা দেয়নি। অনেক মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র পাকিস্তানের খেদমত করা থানাগুলোয় দেওয়া হয়েছে, যেটা ছিল খুবই নিন্দনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দাসত্ব করেছে সেসব সরকারি কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকায় স্বাধীনতার পরপরই স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের সবাইকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা না গেলেও যারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে ছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে ছিলেন তাদের সবাইকে এক কলমের খোঁচায় চাকরি থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আমরা কেউ আকাশ থেকে পড়িনি। নয় মাস রাতদিন যুদ্ধ করে বেঁচেছিলাম, দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছিলাম। যখন দেখলাম স্বাধীনতার পর টাঙ্গাইলের ডিসি আশিকুর রহমানকে টাঙ্গাইল থেকে সরিয়ে নিয়ে কোথায় যেন আরও একটু বড় পদে দেওয়া হলো। টাঙ্গাইলে ডিসি এলো কক্সবাজার থেকে। সেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। সে খুব সম্ভবত ফেনীতে ছিল মহকুমা অফিসার হিসেবে। এক এসপি এলো খুব সম্ভবত পঞ্চগড়ের মহকুমা পুলিশ অফিসার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। কত মানুষকে ধরিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে জীবননাশ করেছে তাদেরই একজন। স্বাধীনতার পর আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল ৩৮-৩৯ দিন। সে সময় সারা টাঙ্গাইলে একজন লোকও নিহত হয়নি, একটি ঘরেও চুরি-ডাকাতি হয়নি। কিন্তু আমরা অস্ত্র জমা দেওয়ার পরই চুরি-ডাকাতি শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আমাদের যেভাবে যাওয়া উচিত ছিল পুরোপুরি সেভাবে আমরা যেতে পারিনি। আজ যখন মাঝেমধ্যে শুনি, কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা দিলেন কেন? তিনি পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন- কথাটা মোটেই সত্য নয়। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বের করতে পাকিস্তান হানাদাররা আরও ৫-১০ লাখ মানুষকে হত্যা করত। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান ও অন্য নেতারা ভারতে যাওয়ায়, সেখানে প্রবাসী সরকার গঠন করায় মুক্তিযুদ্ধ জোরদার হয়েছিল। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী এসব ছাত্র ও যুব নেতা ভারতে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। ১ কোটি হিন্দু-মুসলমান শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ায় ভারত সরকারের ওপর, ভারতীয় জনগণের ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভারতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ দুর্বল হতো। বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল বলে বিবেচিত হতেন। অনেকে বলতে চায়, ভারত পাকিস্তানকে ভাঙতে চাচ্ছিল তাই বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানবতার পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ’৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের তেমন বড় কোনো সামরিক সাফল্য ছিল না যা তারা বুক চিতিয়ে বলতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তাতে অত বড় সাফল্য ভারতকে শত বছর এগিয়ে দিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভারতের আজকের অবস্থায় আসার জন্য বড় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিশ্বের দরবারে আজকের মহান ভারতকে দেখা যেত না। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বব্যাপী অমন প্রভাব পড়ত না। বাংলাদেশের জন্য, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে অনেক অপমান-অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নিক্সনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে ইন্দিরা গান্ধী এক বিরাট ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

শুরু করেছিলাম কুশিমণিকে নিয়ে। কয়েক বছর আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেখানে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল সেখানে আসরের নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এক মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। নারীরা এক জায়গায়, পুরুষ আরেক জায়গায়। মিলাদ শেষে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুমি যা করেছ তা সবাই করতে পারে না। তোমাদের এই সন্তানের জন্য তোমরা অবশ্যই আল্লাহর রহমত পাবে এবং এই দুনিয়াতেই এর সুফল পাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হৃদয় ভরে গিয়েছিল। পাঁচবার কাউকে মন্ত্রী বানানোর চেয়েও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই মূল্যবান কথায় হৃদয়-মন সব ভরে গিয়েছিল। কী পেয়েছি, কী পাইনি তার চেয়ে বড় কথা পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রহমতে বেশ শান্তিতে আছি, স্বস্তিতে আছি।

রবিবারের দুটি নির্বাচন চোখে পড়ার মতো। একটি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন, অন্যটি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে উপনির্বাচন। আরও কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন ছিল। এ দুটিতে তেমন মারামারি, কাটাকাটি, খুন-খারাবি হয়নি। ভোট পড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। অনেকে ভোট দিতেই যায়নি। ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করায় অনেকের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছে। যেভাবে ছবি দেখছি প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ইভিএম মেশিনে আঙুল দিয়ে আছেন। ওটাই যদি ভোটের পদ্ধতি হয় তাহলে তো গোপনীয়তা থাকে না। কোন বোতাম টিপবেন তা গোপন থাকার কথা। অনেকের নাকি আঙুলের টিপ মেলেনি। কেন এমন হবে? কম্পিউটারে কখনো এমন হওয়ার কথা নয়। আর ইভিএমে ভোট এটা সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত, বিশেষ করে ভোটারদের। নির্বাচনের এক বা দুই দিন আগে মহড়া দেওয়ার চেয়ে সারা বছরই মহড়া দেওয়া উচিত। যাতে মানুষের কাছে বিষয়টা সহজ হয়। আইয়ুব খান বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে জানে না। তাই বুনিয়াদি গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ যে পৃথিবীর বহু দেশের চেয়ে ভালো ভোট দিতে জানে, প্রার্থী বেছে নিতে জানে তা নানা সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির সময় সিলেট জেলা নিয়ে গণভোট হয়েছিল। সেদিন অনেকেই ভারতের পক্ষে থাকলেও সাধারণ মানুষ সিলেটকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ভোট দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী সাহেবের নৌকায় ভোট দিতে ভুল করেনি। যখন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে ভোট দিয়েছিল। এই ১৬ তারিখ নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন এবং টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর উপনির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিয়েছে তাতে প্রমাণ করে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে জানে। মির্জাপুরের নির্বাচনে আমাদের দলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। দলীয় কর্মীরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এক দল লাঙ্গলকে ভোট দিতে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত ছিল লাঙ্গলের দল জাতীয় পার্টি, সে-ও সরকার সমর্থিত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন আছে। তাই যে ছাগলের তিন বাচ্চা, দুটিতে যখন দুধ খায় এক বাচ্চা এমনিই তিড়িংবিড়িং করে। জাতীয় পার্টি অনেকটাই তেমন। তাহলে ছাগলের বাচ্চাকে ভোট দিতে যাব কেন? বাচ্চার মাকেই তাহলে ভোট দেওয়া ভালো। তেমনটাই হয়েছে। আমাদের লোকজন শেষমেশ নৌকাকে সমর্থন করেছে এবং ভোট দিয়েছে। আমিও তাতে কোনো আপত্তি করিনি। কারণ নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছেলে। ফজলুর রহমান খান ফারুক একসময় আমাদের নেতা ছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, ফজলুর রহমান খান ফারুক, আল মুজাহিদী, ফজলুল করিম মিঠু, আতিকুর রহমান সালু এঁরা ছিলেন একসময় টাঙ্গাইলে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা। এঁদের দেখেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। তাই যে শুভকে কোলে নিয়েছি তাকেই ভোট দেওয়া ভালো। তাই আমরাও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো আপত্তি করিনি। নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনও বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছু চোখে পড়বে। শতকরা ৫০ ভাগ সাধারণ ভোটার কেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকায়নি। বিএনপি সমর্থিত একজনও কেন্দ্রে যায়নি। তাই এখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দেওয়ার সার্থকতা বা ভোটারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দেখতে না পাবে ততক্ষণ উৎসবমুখর ভোট হবে না।

লেখক : রাজনীতিক।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে